আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিয়াকে নিয়ে ‘মিথ্যাচারে’ আওয়ামী লীগ: বিএনপি

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় এই অভিযোগ করে বিএনপি নেতারা বলেন,যতই ‘মিথ্যাচার’ হোক স্বাধীনতার ‘ঘোষক’ হিসেবে জিয়াকে বাংলাদেশের মানুষ মনে রাখবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় দলের চেয়ারম্যান খালেদা জিয়াও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বক্তব্য না রাখলেও বক্তব্য শোনেন এবং আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও দেখেন।
সভায় বিএনপি নেতা ছাড়াও এলডিপি সভাপতি আহমদ, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ বক্তব্য রাখেন।
তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী’ আখ্যায়িত করে তাদের হটাতে রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।


বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা বলেন, “একাত্তরে যখন সারা জাতি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েছিল, ঠিক ওই সময়েই মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে সারা জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
“এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি একদিন নয়, পাঁচ ঘণ্টার জন্য হলেও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। আজ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ যত মিথ্যাচারই করুক, জনগণের হৃদয় থেকে তার নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। ”
কাজী জাফর বলেন, “শেখ মুজিব মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। একাত্তরে মেজর জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে নিজেই রণাঙ্গনে যুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

আজ আওয়ামী লীগ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নানারকম মিথ্যাচার করছে। ”
“তাদের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, ৭ মার্চ যদি শেখ মুজিব রহমানের এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামের ঘোষণাকে যদি স্বাধীনতা ঘোষণা বলা হয়ে থাকে, তাহলে কেন ৭ মার্চের পর তিনি (বঙ্গবন্ধু) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। ”
অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেন, “জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। এই ইতিহাসকে কেউই আড়াল করতে পারবে না। ”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।

আজ দেশে গণতন্ত্র নির্বাসিত। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ”
অলি আহমদ আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কেবল বসে বসে স্লোগান দিলে চলবে না, রাজপথে সবাইকে নামতে হবে। আমরা না নামলে আল্লাহর গজব পড়বে। ”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।



আলোচনা সভার পর ‘দৃষ্টিতে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি গীতিনাট্য মঞ্চস্থ হয়। দলের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাজহারুল আনোয়ার তা পরিচালনা করেন।
গীতিনাট্যে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, আওয়ামী লীগের শাসনামল, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শামনামল এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
অতিথি সারিতে বসে খালেদা জিয়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে এই গীতিনাট্য দেখেন।
অতিথি সারিতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, আবদুল হালিম, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবউন নবী খান সোহেল, মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, আফরোজা খান রীতা, জাসাস সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মুনির খান, ছড়াকার আবু সালেহ, বাবুল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.