একজন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ পিয়াস করিম।
টিভি টকশোতে একজন শুশিল সুপরিচিত জামাত তোষনকারি হিসাবে নিয়মিত অংশগ্রহনকারি। গত রাতে চ্যানেল ৭১ এ যুদ্ধাপরাধী ও স্কাইপ হ্যাকারদের সাফাই গাইতে যেয়ে চরম ধরা খেলেন শাহারিয়ার কবিরের হাতে, আর ছিলেন ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
ধরা খেয়ে রাগে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন, বললেন "আগে জানলে এখানে আসতাম না"। বলেন শাহারিয়ার কবিক কে? উনি কি ১৫ কোটি জনগনের প্রতিনিধিত্ব করেন?
এর আগের এক অনুষ্ঠানে নর্থসাউথ এর শিক্ষক আরাফাতের সাথে না পেরে বলে উঠেন, -
"আপনি আওয়ামীলিগ করেন আপনার কথার কি জবাব দিব"
কয়েক মাস আগে একাত্তরের উপস্থাপক সামিয়া রহমান অধ্যাপক পিয়াস করিমকে প্রশ্ন করেছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক শেয়ার হোল্ডার গরিব নারীরা কখনই লাভের অংশ পান না।
তাহলে তারা ওই ব্যাংকের মালিক থাকেন কীভাবে?
পিয়াস করিম সচেতনভাবে এই প্রশ্নের এড়িয়ে গেলে সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম কিছু বলেন। এতে তার ওপর চটে বসেন, ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকাইয়া রিকশাওয়ালাদের মতো ঝগড়া করতে থাকেন এই অধ্যাপক। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা ইউনূস সাহেব তার ৮ লাখ নারী ঋণগ্রহিতাকে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক বানিয়েছেন এটা নাকি একটা ফিলোসফি?
নাইমুল ইসলাম খান তার বক্তব্যের বিরোধিতা করায় অধ্যাপক সাহেব ‘মিথ্যা বলছেন' 'মিথ্যা বলছেন’ বলে চেঁচাতে থাকেন এবং নাঈমুলকে ‘বাজে সাংবাদিক’ বলে মন্তব্য করেন। এই টকশোজীবী অধ্যাপক RTV, এনটিভি, দিগন্ত চ্যানেলগুলোতে প্রায় প্রতিরাতে সরকার দলের মন্ত্রী-নেতাদের বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে থাকেন। তাদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন।
কিন্তু এই অধ্যাপক নিজে একটি অনুষ্ঠানে যে আচরণ করেছেন তা শুধু দৃষ্টিকটূ নয়, পিয়াস আসলে জামাতের হয়ে নগ্ন উম্মাদের মত ঘাতকদের স্পকসম্যান হয়ে কথা বলছিলেন। নাইমুল ইসলাম বা অন্যরা তার পাশে থাকলে নিশ্চিত ডঃ পিয়াস তাদের গায়ে হাত তুলতেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।