স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক তোলার পর এখন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নিয়ে বিতর্ক তোলায় বিএনপির সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে ইয়াহিয়া খান তাঁকে গ্রেপ্তার করল না কেন? ইয়াহিয়া তো বঙ্গবন্ধুকেই গ্রেপ্তার করল। ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করে। আর তো কারও নাম নেয়নি। জিয়া আসলে নামেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
’
আজ বৃহস্পতিবার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) এখন ফর্মুলা পাল্টেছে, এত দিন বলেছেন জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক, এখন বলছেন প্রথম রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। ’
আ.লীগ ভোট কারচুপি করেনি
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করেনি বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কারচুপি করলে জামায়াত একটা চেয়ারম্যান পদেও জিততে পারত না। অথচ তারা বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিতেছে।
তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকার আনার ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো সক্রিয়। অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় আনতেই একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী উপজেলার নির্বাচন নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সহিংসতার সংবাদ প্রচার করছে।
উপজেলা নির্বাচনের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায়ও আওয়ামী লীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কারা কেন্দ্র দখল করেছে, টাকা ছিটিয়েছে, জাল ভোট দিয়েছে এক দিন তা প্রকাশ পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল।
ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন প্রথম ধাপে। বসতে বলা হলেও তারা তা না শুনে বরং বলেছে বিজয়ী হয়ে আপার (শেখ হাসিনা) গলায় বিজয়ের মালা দেব। আরও কত কী। আমার এলাকায়ও প্রার্থী ছিল ছয়জন। এগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে দেখি, আমাদের ভোট বেশি কিন্তু সিট কম।
পরের ধাপগুলোতে আমরা একক প্রার্থী দেওয়ার ব্যবস্থা করি। তাতে বেশি সিটে আমাদের জয় আসে। তখন পত্রপত্রিকায় লেখা শুরু হলো অন্য কথা। ’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় না। দলীয় হলে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া যেত।
একটা নিয়ন্ত্রণ থাকত। এখন না আছে নিয়ন্ত্রণ, না আছে কিছু। অথচ গণনার সময় হিসাব করা হয় দলীয়ভাবে। সবাই সবাইকে চিনে, তাই দলীয়ভাবে হিসাব করে ফলাফল লিখে দেওয়া হয়। তিনি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলগতভাবে করা এবং নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পক্ষে মত দেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।