এই পথে পায়ের ছাপ সব মুছে গেছে! শত বছরের পুরনো লাল শরাবের নেশা আমায় যেন পেয়ে বসেছে। অনুকরণের সেই তরঙ্গিণীতে অবগাহন বিনাই আজ আমার গন্তব্য স্থির। পথের মানচিত্রে যে ছায়া ছেড়ে গিয়েছিল তার ধূসর পদচিহ্ন, মরুঝড় আজ তার ইয়াদ মেটাতে মাতোয়ারা। মর্ত্যের বুক চিড়ে শেল সম বজ্রাঘাতে ক্ষণে ক্ষণে হরন করছে চির-জীবন। আমি তবুও হাঁটছি।
ধীর পদে আমার হাতে ধরা দিয়েছিল মৃত্যুর নীল পেয়ালা। চুম্বন বিনা স্বাগত করে ফেলে এসেছি তারে। আমায় যে হাঁটতে হবে। আমি একা??? নিজেই বেছে নিয়েছি তাকে। শত প্রাসাদের পর্দা ঘেরা কতো শত খুশবু মিলেছিল! মিলেছিল ধবল হরিণীর চর্ম করে কোন এক সন্ধ্যা ভেলায়।
কিন্তু আমায় যে হাঁটতে হবে। লাল শরাবের নেশা যে আমায় পেয়ে বসেছে। পাপড়ি পেয়ালার রূহ অদৃষ্ট বাঁধন ছেঁড়বার আগেই আমার যে যেতে হবে। আমি এখনও থামিনি। আমি হাঁটছি।
বর্ষা ধুয়ে দিতে চেয়েছিল আমার অতীত, আমি ছেড়েছি তার বাহুডোর। প্রান বিষের ঝরা ফোঁটায় অবসিক্ত ওষ্ঠ্যদ্বয় নিথর ছিল বহুকাল। শরত চলে গেছে বিনা বাক্যব্যায়। নতুন বুলি স্বাগত জানাতে সামনে জরার গোলাপজল ছড়াতে চেয়েছিল শীতের কোন এক আঁধার সকাল। জ্যান্ত লাশ কাফনে জড়িয়ে কুয়াশার অতলে দাফন করেছি।
আমায় যে হাঁটতে হবে। আমার শরাবের পাপড়ি ওই মেলে মেলে। বসন্ত তার আলোয় উদ্ভাসিত নতজানু ছড়িয়ে ধরণীতে আজ। শরাবে শরাবে মোহোকামনাতে ঘুমুরের ছন্দে আজ জলসা জমাট। এ হেন বাহারের পাশেও আমি হাঁটছি।
আমায় যে হাঁটতেই হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।