আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ওর বুক চিরে কলিজা দেখতে চেয়েছি'

'শিপন অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। গোপনে তাদের অশ্লীল ছবি তুলেছে। ওর সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পর বিষয়টি জানতে পারি। তখনই তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেই। আমি ওর বুক চিরে কলিজা কত বড় দেখতে চেয়েছি।' খুলনার চাঞ্চল্যকর মেডিকেল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক শিপন (২৫) হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া গৃহকর্মী ফাতেমা আক্তার গতকাল পুলিশের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য প্রকাশ করেন। পুলিশ জানায়, সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার কৈয়া জয়খালী থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, নিহতের ল্যাপটপ বিক্রির ২২ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুলনার পুলিশ লাইন পূর্বগলি থেকে হত্যাকাণ্ডের সহযোগী অনিক (২২) নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করে। গত ৮ মার্চ রাতে নগরীর নূরনগর গণপূর্ত বিভাগের আবাসিক কোয়ার্টারের মামার বাসায় খুন হন খুলনা মেডিকেল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক শিপন (২৫)।

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি সাহাবুদ্দিন আজাদ জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফাতেমা আক্তার জানিয়েছে তার সঙ্গে শিপনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শিপনের নূরনগরের বাসায়ও মেয়েটি কয়েকবার গিয়েছে। ঘটনার রাতে একটি আরসির বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শিপনকে খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। তারপর হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। আর তাকে সহায়তা করেছে অনিক নামের এক যুবক। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাতেমার স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ স্পষ্ট হয়েছে। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফাতেমা ঢাকার একটি বাড়িতে কাজ করে। খুলনায়ও একজন সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িতে সে কাজ করত। ঢাকায় যে বাড়িতে কাজ করে তাদের খুলনার বাড়ির ভাড়াটিয়া হচ্ছে গ্রেফতার হওয়া অনিক। মূলত অনিকের মাধ্যমেই ফাতেমা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ঘুমের ওষুধ সংগ্রহ করে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.