ঝিনাইদহে গতকাল এক যুবককে গুলি, বগুড়ায় এক নারীকে জবাই করেছে দুর্বৃত্তরা ও বাগেরহাটে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের কাকিলাদাড়ি গ্রামের মাঠে মাসুম হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মাসুম কোটচাঁদপুর উপজেলার কলেজ বাসস্ট্যান্ডের বিহারিপাড়ার চরমপন্থি নেতা সজিব আহম্মেদের ছেলে। তবে পুলিশের দাবি, নিহত মাসুম এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর থানায় ডাকাতি ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মহেশপুর থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, গতকাল সকালে কাকিলাদাড়ি গ্রামের মাঠে মাসুমের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মাসুমের মাথা, গলায় ও বুকে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহের পাশে দুটি গুলি ও একটি ছুরি পড়েছিল। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মাসুমকে তার দলের সন্ত্রাসীরাই হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বগুড়া : বগুড়ায় এক নারীকে জবাই করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত জরিনা (৪৭) বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের আইসিটি বিভাগের খণ্ডকালীন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে কলেজ সংলগ্ন কামারগাড়ি এলাকায় তার বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
জানা গেছে, জরিনা বেগম স্বামী পল্টু মিয়াকে তালাক দিয়ে বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। তার এক মেয়েরও বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। মঙ্গলবার রাতে যে কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তার ঘরে প্রবেশ করে জবাই করে হত্যার পর বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে যায়। সকালে স্থানীয় লোকজন জরিনার বাড়ি থেকে রক্ত গড়িয়ে আসতে দেখে ভেতরে প্রবেশ করে ও লাশ পড়ে থাকতে দেখে। নিহতের স্বজনরা জানান, জরিনার কোনো শত্রু ছিল না। তবে তার এক ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
বাগেরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাটে সঞ্জিব নন্দী (২৮) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টায় ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের একটি বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত সঞ্জিব ওই গ্রামের মৃত শিবপদ নন্দীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও ফকিরহাট থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবদুল হালিম জানান, সঞ্জিব নন্দী রাতের কোনো এক সময়ে ঘুম থেকে বাইরে বের হন। সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের বাগানে গাছের সঙ্গে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় তার মুখ টেপ দিয়ে আটকানো ছিল। তার বেতাগা বাজারে ফটোকপির দোকান ছিল। তার কোনো শত্রু ছিল না বলে দাবি করে তার পরিবার। তবে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে লোন নিয়ে দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েন সঞ্জিব নন্দী।
ফকিরহাট থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, হত্যা না আত্দহত্যা ময়নাতদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।