আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধোনির দিনে বিধ্বস্ত বেইলি

জর্জ বেইলির চেহারাই বলে দিচ্ছিল সবকিছু। যে দল সর্বশেষ কবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৭০ রানের কম করেছিল, যখন এনিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা, ঠিক তখনই এই অভাবনীয় ভেঙে পড়া। স্বভাবতই হতাশ, হতভম্ব অস্ট্রেলিয়া দল। সংবাদ সম্মেলনে এসে ঠিক তাই বললেন বেইলি, ‘এটা অচিন্ত্যনীয় ব্যাটিং বিপর্যয়। আমি সত্যিই হতাশ।

দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থক ছিল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের হার সেমির পথকে রূদ্ধ করে দিয়েছে জেনেই ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাহলে কি ধোনিদের বিপক্ষে ম্যাচে উদ্দীপনার ঘাটতিই এই বিপর্যয়ের কারণ? বেইলি তা মনে করেন না, ‘অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলতে নামাটাই এক ধরনের উদ্দীপনা। বাংলাদেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ওই ম্যাচটা তারা জিতুক তা আমরা মনে-প্রাণেই চেয়েছিলাম। সেটা যখন হলো না তখনও ভারতের বিপক্ষে আমাদের প্রমাণ করার একটা ব্যাপার ছিল।

কিন্তু অভাবনীয় ব্যাটিং বিপর্যয়ে তা হয়নি। অথচ, আমাদের বোলিং আর ফিল্ডিং কিন্তু ভালোই হয়েছে। ’
অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের ঠিক উল্টো চিত্র ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাবে-ভাবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন দারুণ মুডেই। এসেই কয়েকটি রসিকতা করে মাত করলেন সংবাদ সম্মেলন কক্ষ।

অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটিং বিপর্যয় ধোনির কাছেও অপ্রত্যাশিত হলেও ওটা উপভোগ করার কোনো বিষয় ছিল না বলেই জানিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক, ‘এই ধরনের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচে আপনাকে সবসময় তৈরিই থাকতে হবে। আপনার সেরাটা দিয়েই এমন প্রতিপক্ষকে হারাতে হবে। অস্ট্রেলিয়া বাজে খেলেছে, কিন্তু তাদের ইনিংস উপভোগের কিছু ছিল না। কারণ আমরা জানতাম, এই ফরম্যাটে একটি বাজে ওভার বা একজন ব্যাটসম্যানের একটি ইনিংসই পাল্টে দিতে পারে সবকিছু। আমাদের রানটা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জন্য তেমন একটা ব্যাপার ছিল না।

তারপরেও এই ম্যাচটা কুড়ি ওভারের অনেক আগেই জিতে আমি খুশি। ’
এই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে পেরে এক অর্থে খুশিই, ‘আমরা আগে ব্যাট করতেই চেয়েছিলাম। পরে ব্যাটিং করলে উইকেট একটু ধীরগতির হয়ে যায়। আজকের ম্যাচে আমাদের মিডল অর্ডারের পরীক্ষাটা হয়ে গেছে। ’ যুবরাজ সিংয়ের ফর্মে ফেরাটা দলের জন্য দারুণ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তিনি, ‘যুবরাজ আজ দারুণ একটা ইনিংস খেলেছে।

সে আজ নিজেকে প্রকাশ করতে পেরেছে। এমন একটা ইনিংস তাঁর জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। সে এমন একজন ব্যাটসম্যান যাঁর জন্য পেসার বা স্পিনার কোনো সমস্যা নয়। সে শুরুতে কিছু বল রখ করে নেয় পরে সে নিজের খেলাটা খেলে। একদিন সে সেটাই করতে পারছিল না।


২০০৭ সালে ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ধোনি। ২০১৪ সালে, সাত বছর পর ভারত আরও একটি টি-টোয়েন্টি সাফল্যের খুব কাছে দাঁড়িয়ে। দুটি সময়ের মধ্যে পার্থক্য টানতে বলা হয়েছিল তাঁকে। প্রশ্নটি শুনেই রসিকতায় মাতালের সবাইকে, ‘পার্থক্য তো আছেই। ২০০৭ সালে আমার পাকা চুল অনেক কম ছিল।

এখন আয়নায় নিজেকে দেখলে বুড়োই মনে হয়। তখন ভারত থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় এত সাংবাদিকও যায়নি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা ছিল “ফান গেম”। এখন এটা খুব শক্ত একটা ফরম্যাট। পার্থক্য তো আছেই।


এমন বিজয়ের দিনে এমন রসিকতা ধোনি তো করবেনই। রসিকতা করেই তাঁর সঙ্গে সবসময় টক্কর লাগিয়ে রাখা ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে একহাতও নিয়েই নিলেন তিনি।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.