তিনি মাঝে মধ্যে গুছিয়ে কথা বলেন। কেউ শুনে কেউ শুনেনা। আগেই তেমন কেউই শুনতনা। এখন শুনে। কারণ বিভক্ত সমাজে কেউ নিজের মনুষত্যের মুখোশ যতই খুলবে ততই তার কথার কদর বাড়বে।
একজন মানুষের জন্য মনুষত্য বিসর্জন দেয়া খুব সহজ নয়। তবে যারা এতদিন সর্বহারার সমঅধিকারের কথা বলেছেন, আজ ক্ষমতা পেতে, ক্ষমতার আনুকূল্য পেতে তারা যে তা কত সহজেই বিসর্জন দিনে পারে তা মানুষ রুপী ইনুকেই দেখলেই বুঝা যায়। বাংলায় কথা আছে লাঠির ছেয়ে কন্ছি বড়। ইনু, লেনিনরাই এখন বড় আওয়ামীলীগার। আর তা প্রমান করার জন্য তাদের মানুষ্যত্যের খোলস খুলে প্রমাণ দিতে হচ্ছে।
এ এক বড়ই আজিব অবস্হা।
কথা বলছিলাম সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা বাদলের আজকের সংসদের দেয়া বক্তব্য নিয়ে। এ সমস্ত রাস্তার নেড়ি কুত্তাগুলো আওয়ামীলীগের উপর ভর করে সংসদে গিয়ে যে ভাষায় বক্তব্য দেয় তা শুধু সংসদকেই অপমানিতই করেনা, পুরো জাতিকেই অপমানিত করে। সংসদের ভিতর দেয়া বক্তব্যের মূল লক্ষ্যই থাকে জাতিকে বার্তা দেয়া। কি বার্তা দিল এই বাদল।
খালেদা বা হাসিনা, তাদের ব্যক্তিগত অনেক সীমাবদ্ধতা থাকেতে পারে, কিন্তু তাদের সাথে জনগনের যে সমর্থন আছে, তাদেরকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করা মানে এই জনগণকেই হেয় করা।
টক শোতে এই বাদলের কিছু গুছিয়ে কথা বলা দেখে খুশি হতাম। ভাবতাম যাক আমাদের নতুন প্রজন্ম অন্তত এদের থেকে ভাল কিছু শিখার সুযোগ পাবে। এখন দেখছি ইনু , বাদল এরা সবাই একই নৌকার মাঝি।
উল্লেখ্য আজ আন্দোলন দিয়ে গিনিজ বুকে নাম উঠানের খালেদার বক্তব্যের জবাবে বাদল অত্যন্ত অশালীন ভাষায় খালেদাকে আক্রমণ করেন যা সাংবাদিকেরা পত্রিকায় সেন্সর করে প্রকাশ করে।
আমি অশালীন সেই ভাষা এখানে উল্লেখ করলাম না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।