শেষ পর্যন্ত দেখা গেল কবির ঘরের আর কিছুই অগোচরিত নেই
ট্রাঙ্কের কোনায় পাঁচ টাকার নোট
পুরনো খাতায় লেপটে থাকা স্মৃতিভারাতুর গোলাপ
কাজের ভুয়ার বোতাম খসা ব্লাউজ
আর কীই বা লেখার বাকি আছে,
শো-কেসে ধুলোর উপর অনাদরে বেঁচে থাকা মূর্তিটাও লিখেছি
তোমাকে লিখতে লিখতে আঙুল ক্ষয়ে ফেলেছি
লিখতে লিখতে সতীত্বলুপ্তপ্রায় কবিজাত !
তোমাকে খণ্ডে খণ্ডে
তোমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আমি
গুঁজে দিয়েছি মেঘফুল
তুলে দিয়েছি প্রতিমার আকর !!
আমি নতুন কি আর লিখতে পারি,
সন্ধ্যার গুরুগম্ভীর বিষণ্ণতা বোঝে হয়ত আসন্ন আঁধার
আমি কম বুঝি বলেই লাফিয়ে পড়ি তোমাকে খোঁপা খুলতে দেখে
তুমি রিমোটে চ্যানেল পাল্ঠাচ্ছ তখন
আমার ক্লান্ত হবার কালেও !!!
এসব ঢের লেখা গেছে
পাঠকের খাপখোলা ঠোঁটের বর্জ্যে ভেসেও গেছে ।
খুচরো কয়েনের মত উড়ু উড়ু শব্দগুলো
কিংবা ধরো নেহায়েত তোমার মত,
এত ভাঙ্গন নিয়ে বসে থাক
এত আলো- আঁধার পাশাপাশি রেখে হেঁটে যাও
আমার খরা বেলায় কিছুই চোখে আসে না আর !
ছিটকে পড়া নিজের মগজ
যখন আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে উৎসব করে চুষে খায় মাছি
আমি হাত নেড়ে তাড়াতে পারি না দুঃসময় !!
যখন একদল ঘাতক আমাকে পা মাড়িয়ে লুঠে নিয়ে যায় সভ্যতা
ক্লান্ত আমি একটু মাথা তুলে
একটু চোখ খুলে আবার ঘুমিয়ে পড়ি ।
ভাঙা চাঁদ
ভাঙা মাঠ
ঘাঁট
রসুই ঘরের গুনগুন গান
কিছুই আর কহতব্য নয়, দৃষ্টিনন্দনও নয় ।
গলা বেয়ে নেমে আসা ঘামের নদী
যখন সাগর ছুঁতে চেয়েও পারে না
বুকের ভেতর চুপ্সে যায়,
বুকের ভেতর আদরে থাকে সবাই ।
গুরু বলেছেন,
যেভাবেই থাক, সময়কে গিলে খাও
নশ্চেত, সময় তোমাকে গিলে ফেলবে !
আমি তাই উপভোগ করে খাই আমার অধঃপতন !!
০২ এপ্রিল ২০১৪
১৯ চৈত্র ১৪২০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।