আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাউন্ট এভারেস্টে পা রাখার গল্প


প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কে প্রথম এভারেস্ট জয় করেছেন সে আলোচনায় গণমাধ্যম বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো এখন সরগরম। ১৯২১ সাল থেকেই এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার অভিযান চলছে। এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে নানা অদ্ভুত উদ্যোগও নিয়েছেন অনেকে। কিভাবে একের পর এক ক্যাম্প পেরিয়ে পর্বতারোহীরা চূড়ায় পা রাখেন তা নিয়ে ঢাকা গাইডের বিশেষ প্রতিবেদন:

কে আগে এভারেস্ট চূড়ায় পা রেখেছেন, এডমন্ড হিলারী নাকি তেনজিং নরগে?
১৯৫৩ সালে এভারেস্ট জয়ের পর এ দু’জন স্থির করেন, তারা দু’জন মিলে এভারেস্ট জয় করেছেন এমনটিই বলা হবে। ঔপনিবেশিকতা বিরোধী মনোভাবকে যেন একপাশে সরিয়ে রাখতে পেরেছিল ভারত আর নেপাল।

কিন্তু তথ্য-প্রমাণ অনুযায়ী তেনজিং এর আগে হিলারীই এভারেস্টে উঠেছেন। জন হান্ট যিনি এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এবং সে সময় নেপালে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার ক্রিস্টোফার সামারহায়েস জানান তেনজিং-এর আগে হিলারীই এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছেন। রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটির আর্কাইভে হিলারীর পেশ করা তিন পৃষ্ঠার একটি মেমো সংরক্ষিত আছে, যেখানে হিলারী লিখেছেন, “আমি এভারেস্টের ওপর উঠলাম.......আমি দ্রুত তেনজিংকে আমার পাশে নিয়ে এলাম”।

অবশ্য সর্বসাধারণের জন্য যে বিবরণ হিলারী দিয়েছেন তাতে তিনি বলেছেন, “বরফ কুঠারের (আইস অ্যাকস) শেষ কয়েকটি আঘাতের মাধ্যমে আমরা শীর্ষে পৌঁছালাম”। মানে হিলারী প্রথমে চূড়ায় পা রাখলেও কখনো কৃতিত্ব দাবি করেন নি।



১৯৫২ সালে এভারেস্টের চূড়ায় প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তেনজিং
ম্যালরির (ম্যালরি সম্পর্কে লিখেছি আরেকটু পরে) মৃত্যুর পর আরও ১০টির মত প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল, যা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তেনজিং এর মধ্যে ৬টি অভিযানে অংশ নেন। সাহায্যকারীর ভূমিকায় শুরু করে এক পর্যায়ে তিনি পুরোপুরি অভিযাত্রীতে পরিণত হন। ১৯৫২ সালে তিনি এবং একজন সুইস পর্বতারোহী শীর্ষের ৮০০ ফুটের কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছে যান। তথন পর্যন্ত এটাই ছিল সর্বোচ্চ উচ্চতায় মানুষের পদার্পণ।

পরের বছর হিলারীর সাথে তেনজিং এভারেস্ট জয় করেন। আর তার পর থেকে চার হাজারের মত পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করেছেন, যাদের মধ্যে তেনজিং এবং হিলারীর ছেলেরাও আছে।

এভারেস্টই যে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সেটা জানা ছিল না ঊনিশ শতকের পূর্ব পর্যন্ত
আগে মনে করা হত আন্দিজই পৃথিবীর সর্বোচ্চ মাউন্টেন রেঞ্জ বা পর্বতমালা। কিন্তু ঊনিশ শতকে বৃটিশরা ভারতে বিস্তৃত পরিসরে একটি ত্রিকোণমিতিক জরিপের উদ্যোগ নেয়। ১৮৪৭ সালে দার্জিলিংয়ের কাছাকাছি থেকে একটি পর্যবেক্ষণ চালানো হয়।

সেবারই প্রথম ধারণা করা হয়েছিল হিমালয় পর্বতমালার ১৫ নম্বর চূড়াটি পথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া হতে পারে। ১৮৫২ সালে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় যে ১৫ নম্বর চূড়া বলে পরিচিত চূড়াটিই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া। সে সময় এর উচ্চতা পাওয়া গিয়েছিল ২৯,০০২ ফুট। সর্বাধুনিক জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চতা নির্ণয় করতে গিয়ে এর উচ্চতা কেবল ৩৩ ফুট কম পাওয়া গেছে।


* আরও বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.