বাইরে বৃষ্টি পরছে। ইংরেজিতে যাকে বলে cats & dogs। সে রকম বৃষ্টি। রুদ্র তিন তলা একটা ফ্ল্যাট এর বারান্দায় দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে বৃষ্টি দেখছে। এই বৃষ্টি মাঝে মাঝে তাকে খুব বিষন্ন করে তুলে।
তখন বুকের বামপাশে একধরনের চিনচিনে ব্যাথা হয়। আজও হচ্ছে। তীর্থক দু-মগ কফি নিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াল। একটা মগ রুদ্র’র দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, গতকাল তোর একটা চিঠি এসেছে।
রুদ্র কফির মগে চুমুক দিয়ে বলল, কার চিঠি?
অ্যামেরিকা থেকে তোর ছোটবোন রিদা লিখেছে।
ও একটা ছবিও পাঠিয়েছে। ছবির পেছনে কি লিখেছে জানিস? লিখেছে “দাদাভাই! তোর যখন মন ভালো থাকবে না। তখন আমার এই ছবিটা দেখিস। দেখবি তোর মন ভালো হয়ে যাবে। তারপরও যদি তোর মন ভালো না হয়; তখন আমার কপালে একটা চুমু খাস।
কেমন?”
রুদ্র বলল, ওহ!
রিদা চিঠিতে কি লিখেছে তুই পড়বি না? তোর কি একবারও এই বোনটাকে দেখতে ইচ্ছে করে না?
না! আমার একদম ইচ্ছে করে না। কারন আমার মায়ের মৃত্যুর সাথে সাথে আমার ইচ্ছেগুলোও মরে গেছে। তাদের জাগিয়ে তোলার মত আর কেউ নেই। ওসব কথা এখন থাক! আমি আরেকটু কফি খাব। তোর জন্য আনব?
তীর্থক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, নাহ! আমার ভয় হয় জানিস? তোর সাথে থাকতে থাকতে না জানি আমিও কবে পিশাচ হয়ে যাই।
আমি বাসায় যাচ্ছি। দরজাটা লাগিয়ে দিস।
অনেকক্ষণ ধরে ফেসবুক খুলে রুদ্র বসে আছে। কম্পিউটারে স্লো ভলিউমে গান বাজছে –
বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙ্গে
হাঁটছি আমি মেঠো পথে,
মনের ক্যানভাসে ভাসছে তোমার ছবি
বহুদিন তোমায় দেখি না যে।
তোমায় নিয়ে কত স্বপ্ন আজ কোথায় হারায়
পুরোনো গানটার সুর আজ মোরে কাঁদায়......
‘মায়াবতী’ অনলাইনে এসেই রুদ্রকে নক করল।
এই মেয়েটার সাথে কয়েক দিন আগে রুদ্রর বন্ধুত্ব হয়েছে।
- হায়...
- হ্যালো...
- কি করো?
- গান শুনি।
- কি গান?
- বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙ্গে......
- ওমা সত্যি? আমিও এই গানটাই শুনতেছি।
- ও তাই?
- হুম। আচ্ছা তোমার নামটা এমন কেন? “কাল্পনিক অভিমান” অভিমান আবার কাল্পনিক হয় নাকি?
- হয়তো।
হবে না কেন? আমরা যেমন ঘুমিয়েও স্বপ্ন দেখি। আবার জেগেও কিন্তু স্বপ্ন দেখি। তবে কারো উপর কিছুটা অভিমান কল্পনা করে নিলে ক্ষতি কি?
- কোনো ক্ষতি নেই। এবং এ বিষয়ে তোমার সাথে কোনো তর্কও করব না। কারন আমি জানি তোমার সাথে যুক্তি-তর্কে কখনই আমি পারব না।
নাস্তা করেছো?
- না। তবে এখন কফি খাচ্ছি।
- আরেহ! আমিতো এই মাত্র চা খেয়ে এলাম।
- তাই?
- হুম। তুমি নাস্তা করনি কেন?
- নাস্তা খেতে ইচ্ছে করছে না।
- আজিব! নাস্তা খেতে ইচ্ছে করবে না কেন? যাও...নাস্তা খেয়ে এসো। আমি অপেক্ষা করছি।
- অপেক্ষা করতে হবে না। নাস্তা পরে খাব। তুমি কথা বল।
- যাও বলছি। আগে নাস্তা করে এসো তারপর কথা। আমি ১৫ মিনিটের জন্য অফলাইনে যাচ্ছি। এর মাঝে তুমি নাস্তা করে এসো।
‘মায়াবতী’ অফলাইনে চলে গেল।
কিন্তু রুদ্র চেয়ার ছেড়ে উঠল না। সে মনিটরের পর্দায় চোখ রেখে অপেক্ষা করতে লাগল। মাঝে মাঝে অপেক্ষার মুহুর্তও বেশ আনন্দের মনে হয়।
তীর্থক বাসা থেকে বের হওয়ার পর দরজা বন্ধ করা হয়নি। এমনটা রুদ্রের প্রায়ই হয়।
তার দরজা বন্ধ করার কথা খেয়াল থাকে না। তবে এ নিয়ে আজ পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। মনে হয় এ পাড়ায় চোর-ডাকাতরা আসার সাহস পায়না।
জিন্স প্যান্টের সাথে কালো টপস পরা একটা মেয়ে দরজা খোলা দেখে চুপিচুপি ঘরে ঢুকে পড়ল। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল রুদ্রর খুব কাছে।
পেছন থেকে রুদ্র’র চোখ দুটো চেপে ধরে বলল, বলতো আমি কে?
তুই তিয়া পেত্নী। এবার চোখটা ছাড়। ব্যাথা লাগছে।
তিয়া হাত সরিয়ে ন্যাকামি করে বলল, এইটা যে আমি ছিলাম কি করে বুঝলি?
বোকার মত প্রশ্ন করে আবার জিজ্ঞেস করছিস কি করে জানলাম? গাধী একটা! “তুই আমার চোখ ধরেই বললি, বলতো আমি কে?” তুই ভালো করেই জানিস যে, একমাত্র তুই ছাড়া আর কোনো মেয়ে নেই। যে আমাকে ‘তুই’ বলে ডাকার সাহস পায়।
তিয়া মাথায় হাত দিয়ে বলল, ইস! রে... তাইতো! এভাবেতো আমি ভাবি নি। সত্যি আমি একটা বোকা মেয়ে। একেবারে পচা কাঁঠাল একটা।
রুদ্র বলল, এটা আর নতুন কি? তুইতো সব সময়ই পচা কাঁঠাল।
হয়েছে থাম! আমি জন্মগতভাবেই এমন মেয়ে।
এটা আমি ভালো করেই জানি। এখন যা চটপট রেডি হয়ে নে। এই বোকা মেয়েটার সাথে তোর এখন একটা বিয়ে বাড়িতে যেতে হবে।
রুদ্র বলল, বিয়ে বাড়িতে যাব আমি? তাও আবার তোর সাথে? অসম্ভব!
কেন? আমার সাথে গেলে কি তোর জাত যাবে নাকি?
জাত না গেলেও আমি তোর সাথে গিয়ে বোর হতে চাই না। তাছাড়া কার না কার বিয়ে?
তিয়া বলল, কার না কার বিয়ে মানে? আমার মিলি খালার মেয়ে মিথিলার বিয়ে।
ঐ যে ঐদিন তোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম না?
ওহ আচ্ছা! তাহলেতো আমার যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। আমাকেতো আর আগে থেকে ইনভাইট করিস নি? তুই-ই যা!
রুদ্র! তোকেও আমার আগে থেকে ইনভাইট করে নিতে হবে কেন? তুই আমার ফ্রেন্ড না? চল না যাই। প্লিজ...
কি আশ্চর্য! তোর বোনের বিয়ে তুই যা। এর মাঝে আমাকে টানাটানি করছিস কেন?
তিয়া বলল, কেন টানছি তুই জানিস না? তোকে ছাড়া আমার কোনদিন কোনো কাজ ঠিক মত হয়েছে বল? হয়েছে?
রুদ্র হেসে ফেলল। কেন জানি এই মেয়েটার সাথে বেশীক্ষন ঝগড়া করা যায়না।
তোর ছেলেমানুষী আর গেল না। বোস। আমি চেঞ্জ করে আসি।
থ্যাংক ইয়্যু।
রাত ১১টা ১৫মিনিট।
রুদ্র ফেসবুক ওপেন করল। ‘মায়াবতী’ ম্যাসেজ পাঠিয়েছে চারঘন্টা আগে। লিখেছে - একটা মানুষের যে সকালের নাস্তা করতে দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এটা আমার কল্পনাতেও ছিল না।
রুদ্র ম্যাসেজের উত্তর দিল – আসলে হঠাৎ করে একটা ফ্রেন্ড এসে ওর কাজিনের বিয়েতে নিয়ে গেল।
তাই......
ম্যাসেজ সেন্ড করার পর পরই ‘মায়াবতী’ অনলাইন হল।
- হুম। বুঝেছি। আর বলতে হবে না। এদিকে যে একজন অপেক্ষা করছিল।
সেদিকেতো খেয়ালই ছিল না। হুহ!
- সরি।
- সরি বললে হবে না। তোমাকে শাস্তি পেতে হবে।
- কিন্তু শাস্তি কি করে দেবে? আমিতো অনেক দূরে।
- উম! তাহলে যাও! আজকের মত তোমাকে বিশেষ বিবেচনায় বাম চোখে দেখা হল।
- হা হা হা...
- হাসি বন্ধ! এখন বলতো যার সাথে গিয়েছিলে সে ছেলে বন্ধু না মেয়ে বন্ধু ছিল?
- মেয়ে বন্ধু।
- কি! নাম কি মেয়েটার?
- ওর নাম তিয়া। জানো? এখনও ওর ছেলে মানুষি স্বভাবটা যায়নি। একেবারে ছোট্ট বাচ্চাদের মত আচরণ করে।
- যাও তুমি! ঐ তিয়ার সঙ্গেই বিয়ে খাও গিয়ে। আমার সাথে কথা বলতে আসছো কেন? হুহ!
হঠাৎ করে ‘মায়াবতী’ অফলাইনে চলে গেল। রুদ্র খানিকটা অবাক হয়ে বসে রইল। মেয়েটা হঠাৎ করে এমন আচরণ কেন করল? রুদ্র কয়েকবার ম্যাসেজে ডাকল। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো উত্তর এলনা।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করে সে ফেসবুক থেকে লগ আউট করে বারান্দায় এসে দাঁড়াল। আকাশে জলসানো রুটির মত রুপালী জ্যোৎস্না দেখা যাচ্ছে। রুদ্র জ্যোৎস্না দেখে মুগ্ধ হয়ে মনে মনে কবিতা আবৃতি করছে –
সমস্তটুকু মুখরতা ছিলে যদি
আধখানা কেন মৌনতা হয়ে জ্বলবে না তরু তনিমায়!
তমসায় যদি এতোটা প্রখর
অনাবাদি যদি এতো উর্বর
জোস্নায় কেন খুলবে না তবে বুকের দরোজাখানা!
রুদ্র’র ঘুম ভাঙ্গল কলিং বেল এর শব্দে। সে ঘুমভাঙ্গা চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা খুলতে গেল। দরজার বাইরে হলুদ রঙ এর সেলোয়ার কামিজ পড়া যে মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে।
রুদ্র তাকে চেনে না। আগে কখনো কোথাও দেখেছে বলেও মনে করতে পারল না। মেয়েটার সাথে রুদ্রর কোথায় যেন একটা মিল আছে। কিন্তু মিলটা কোথায় সে তা ধরতে পারছে না।
তুমিই রুদ্র?
জি।
কিন্তু আপনি?
মেয়েটা বলল, আমি তেমন বিশেষ কেউ না। এবং এর আগে তুমি আমাকে কখনও দেখও নি। আমি আসলে তোমার কাছে একটা কাজে এসেছি। কাজটা কি আমি কি ভেতরে এসে বলব?
রুদ্র এবার মেয়েটার দিকে একটু ভালো করে তাকাতেই, চোখে কালো ফ্রেমের চশমাটা চোখে পড়ল। কপালের মাঝখানে ছোট্ট কালো টিপের সাথে চোখে চশমাটা সুন্দর মানিয়েছে।
চশমা পড়ায় মেয়েটাকে যতটা সুন্দর লাগছে। না থাকলে বোধহয় এতটা সুন্দর লাগতো না। আপনি কি জানেন! আপনার সাথে আমার অদ্ভুত একটা মিল আছে?
কি সেটা?
রুদ্র বলল, আপনিও চাশমিস। আমিও চাশমিস। চাশমিস মানে কি জানেন তো? যারা চোখে চশমা পড়ে আমরা বন্ধুরা তাদেরকে চাশমিস বলে ডাকি।
মেয়েটা বলল, কই তোমার চোখেতো কোন চশমা নেই। তাহলে তুমি চাশমিস হলে কি করে?
আসলে আপনি আসার আগে আমি ঘুমে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠেই দরজা খুলতে চলে এসেছি তো! তাই চশমা পড়তে ভুলে গেছি।
ওহ আচ্ছা! শোন! আমি কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না।
সরি! আপনি আসুন। ভেতরে আসুন।
মেয়েটা ভেতরে ঢুকে খানিকটা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, এত্ত বড় বাসায় তুমি একাই থাকো? ভয় করে না তোমার?
ভয়! আমার দাদাজান যখন বেঁচে ছিলেন। তখন উনাকে ভয় করতো। উনি খুব রাগী মানুষ ছিলেনতো।
কিন্তু এখন কোনো কিছুতেই আর ভয় করে না। আপনি বসুন। আমি ফ্রেস হয়ে আসি। ওহ হ্যা! আজ বুয়া আসে নি। আপনি চা-কফি কিছু খেতে চাইলে ঐদিকে রান্না ঘর আছে।
নিজে বানিয়ে খেতে পারেন। এ ফাঁকে কষ্ট করে আমার জন্যও একটু বানাতে পারেন।
রুদ্র তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ঢুকল। মেয়েটাও সহজ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে রান্নাঘরে কফি বানাতে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই যে তোমার কফি।
চুমুক দিয়ে বল খেতে কেমন হয়েছে?
রুদ্র কফির মগে চুমুক দিয়ে বলল, বাহ! কফি খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু আপনি তখন থেকেই আমাকে ‘তুমি’ করে ডেকে যাচ্ছেন। অথচ আমি আপনাকে চিনিই না। ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগছে।
মেয়েটা বলল, আগে আমার পরিচয়টা বলি - আমার নাম ফারজানা আক্তার নীলা।
তুমি শুধু নীলা আপু ডাকতে পার। কারন আমি কম হলেও তোমার চেয়ে পাঁচ/ছয় বছরের বড়তো হবই। তাছাড়া আমি তোমার বন্ধু তীর্থক এর একমাত্র বড় বোন। যদিও আমি ওর চাচাতো বোন। তবে ওর বোন বলতে আমি একটাই।
এবার তোমাকে ‘তুমি’ করে বললে নিশ্চয় তোমার খারাপ লাগবে না?
না। আর খারাপ লাগবে না। কিন্তু আপনি আমার কাছে কোন কাজে এসেছেন। সেটা কিন্তু এখনো পরিস্কার করেন নি।
নীলা বলল, আমি আসলে তোমার কাছে ছবি আঁকা শিখতে এসেছি।
রুদ্র হা হা হা...... করে কিছুক্ষন হাসল। তারপর বলল, আপু আমি নিজেইতো ছবি আঁকতে পারি না। আর আপনি কিনা আমার কাছে ছবি আঁকা শিখতে এসেছেন? আসলে তীর্থক সব কিছুতেই একটু বাড়িয়ে বলে। আপনাকেও নিশ্চয় আমার সম্পর্কে বাড়িয়ে বলেছে।
আমি কিন্তু তোমার আঁকা বেশকটা ছবি দেখে তারপরই এসেছি।
এখন তুমি যদি শেখাতে না চাও তাহলে অন্য কথা। কিন্তু আমার সাথে ভাব নিবা না। ভাব নেয়ে ছেলেদের আমার একদম পছন্দ না।
আপু আপনি রাগ করছেন কেন? বিশ্বাস করুন আমি ছবি আঁকার ‘অ’ ‘আ’ কিছুই জানি না। আমি কোনদিন কারো কাছে ছবি আঁকা শিখিও নি।
সময় কাটানোর জন্য মাঝে মাঝে এটা-ওটা আঁকিবুঁকি করি। এইটুকুই। এর বেশী আমি কিচ্ছু পারি না। বিশ্বাস করুন।
নীলা কফির মগে শেষ চুমুক দিয়ে টেবিলের উপর মগ রেখে বলল, তোমার এই আঁকিবুঁকিই আমি শিখতে চাই।
আর না বললে কিন্তু খবর আছে। বড় বোনের সাথে বেয়াদবি খুবই বাজে ব্যাপার! কাল থেকে আমি ঠিক এই সময় আসব। আমার কফি খাওয়া শেষ। আজ যাই। কাল থেকে নিয়মিত দেখা হচ্ছে।
কেমন?
নীলা মেয়েটা রুদ্রকে আর কিছু বলার সু্যোগ না দিয়েই চলে গেল। রুদ্র মনে মনে বলল, ওহ গড! এ আবার কোন ঝামেলা এসে কপালে ঝুটল?
ফেসবুকে ঢুকেই রুদ্র দেখল ঘন্টা খানিক আগে ‘মায়াবতী’ ম্যাসেজ পাঠিয়েছে – কাল রাতে হঠাৎ করে চলে যাওয়ার জন্য আমি সরি!
রুদ্র ম্যাসেজের উত্তর দিল – সরি বলার দরকার ছিল না। যাই হোক, তোমার আসল নাম কি জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনো জানা হয়নি। এটা জানার কৌতূহল আর চেপে রাখতে পারছি না।
আর শোন! রাত ১১টায় আমি কিন্তু অনলাইনে আসব।
চলবে ...।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।