আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের 'স্টিকার' লাগিয়েছে বগুড়া শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তবে ২০০৬ সালের পর থেকে অপেক্ষার প্রহর গুনলেও এ মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের দেখা পায়নি দর্শকরা। টানা আট বছর নিথর থাকতে থাকতে স্টেডিয়ামটি এখন বোঝা হয়ে গেছে শহরের জন্য! পর্যাপ্ত সংস্কার ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ না থাকায় দিন দিন অবকাঠামোয় পড়ছে মরিচা। এভাবে চলতে থাকলে আন্তর্জাতিকমানের এ স্টেডিয়ামটি একদিন ঠাঁই নেবে ইতিহাসের পাতায়।
শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ম্যাচ না হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো হতাশ বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারাও।
এ স্টেডিয়ামে এখন জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেট লিগের কিছু ম্যাচ ছাড়া আর কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় না। কিছু দিন আগেই গেল টি-২০ বিশ্বকাপ। ফতুল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং বিকেএসপিতে অনেক প্রস্তুতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও এখানে কোনো ম্যাচ দেওয়া হয়নি। ম্যাচ না থাকায় স্টেডিয়ামও আর নতুন রঙে চকচক করে না।
১৯৬২ সালে নির্মিত স্টেডিয়ামটির আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭০ সালে যাত্রা শুরু হয়।
ওই সময় ফুটবল, ক্রিকেট খেলাসহ স্থানীয় বিভিন্ন দিবসের অনুষ্ঠান হতো এ স্টেডিয়ামে। দীর্ঘদিন এভাবে চলার পর ২০০৩ সালের ৩ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বগুড়া শহীদ চান্দু ক্রীড়া কমপ্লেঙ্রে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি স্টেডিয়ামটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। অনূধর্্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা করে বগুড়া স্টেডিয়াম। আইসিসির স্বীকৃতি পাওয়ার পর একটি মাত্র টেস্ট আর পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এখানে।
একমাত্র টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। চারটি ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছে এখানে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদটা এ মাঠেই পেয়েছিল বাংলাদেশ। এ ছাড়া কেনিয়ার বিরুদ্ধে একটি এবং জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচে জয় রয়েছে এ মাঠে। ১৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামটি বাংলাদেশ দলের জয়ের ইতিহাসেই সমৃদ্ধ।
বগুড়া প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক এইচ আলিম বলেন, 'ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে এবং ক্রিকেটের উন্নয়নের স্বার্থে শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা নয়; বগুড়ার মতো অন্যান্য জেলায়ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিতে হবে। তাহলে আরও বেশি ক্রিকেটের কাছে আসতে পারবে তরুণ প্রজন্ম। ' তিনি প্রশ্ন তোলেন- ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট আর খুলনায় ম্যাচ হলে বগুড়ায় কেন হবে না? বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি খাজা আবু হায়াত হিরু বলেন, 'বিসিবি কর্মকর্তাদের একাধিকবার বলার পরেও কোনো ম্যাচ পাওয়া যায়নি এখানে। অবকাঠামো যা আছে তা কিছুটা সংস্কার করে নিলেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ চালানো সম্ভব হবে। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।