ওয়াশরুমে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হল শাখা সাধারণ সম্পাদকসহ আহত হয়েছেন চারজন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের পর হল তল্লাশি করে ২০টি ককটেল, ১টি চাপাতি, ৩টি রামদা ও শতাধিক রড উদ্ধার করা হয়েছে। হলের ছাত্ররা জানান, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরেই গতকাল সূর্যসেন হলের ক্যাফেটেরিয়ায় দুপুরে ও হলের ভেতরে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরেফিন সিদ্দিক সুজন ও এনামুল হাসানের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
গতকাল জুমার নামাজের পর দুই গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা সূর্যসেন হলের ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে যান ও সেখানেও কথাকাটাকাটি হয়।
তবে সভাপতি গ্রুপের অনুসারীরা অভিযোগ করেন, সেখানে এনামুলকে সুজনের চার-পাঁচ জন কর্মী মারধর করেন। এ ঘটনার পর সুজনের নেতৃত্বে হলের ভেতরে প্রবেশ করে তার অনুসারীরা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে সভাপতি পক্ষের নেতা-কর্মীরা হল মসজিদের সামনে অবস্থান নেন। এ গ্রুপে নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ শরিফ, আবদুল হামিদ, শাহ আলম ও রাজীব। দুই পক্ষই রড, চাপাতি নিয়ে মারামারিতে অংশ নেয়। এতে হলের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজন, যুগ্ম-সম্পাদক কামাল হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ কবির চৌধুরী সানী ও সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
তবে সুজন বলেন, 'আমি আহত নই। ধাক্কাধাক্কির সময় আঘাত লেগেছে। তল্লাশি করে একটি চাপাতি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র শাহবাগ থানা পুলিশ নিয়ে যায়।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ আমজাদ আলী বলেন, 'ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।' হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, 'হলের বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তৎক্ষণাৎ হল তল্লাশি করে রড, চাপাতি ও ককটেল পাওয়া গেছে।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।