গত এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর পর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেনি টাইগার ক্রিকেটাররা। আগামী অক্টোবরে নিউজিল্যান্ড আসছে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। সেই সিরিজকে সামনে রেখে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ব্যস্ত মুশফিকুর রহিমরা। ক্যাম্পে ফিটনেস ও স্কিল বাড়াতে ঘাম ঝরাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তার পরও থেকে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ প্রস্তুতি। এই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে মুশফিকরা সবাই তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে আছেন প্রিমিয়ার ক্রিকেটের দিকে। অবশ্য জাতীয় দলের বেশ কয়েক ক্রিকেটার কিছুটা হলেও ম্যাচ ঘাটতি পুষিয়ে নিচ্ছেন ইংল্যান্ড সফর করে। ইংল্যান্ডে ৮টি ওয়ানডে খেলতে বর্তমানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ 'এ'। স্কোয়াডের ১৪ জনই কোনো না কোনো সময় খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। আজ ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে সফরের শেষ ম্যাচ খেলবে 'এ' দলের ক্রিকেটাররা। এর আগে যে ৭টি ম্যাচ খেলেছে 'এ' দল, তার সবকয়টিতেই হেরেছে বড় ব্যবধানে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতে বিধ্বস্ত হয়েছে পুরোপুরি। প্রথমটি হেরেছে ২০২ রানে এবং দ্বিতীয় ১৯১ রানে। আজ হারলে হোয়াইটওয়াশ। অথচ ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল গত বছর।
ইংল্যান্ডে শুধু 'এ' দলই সফর করছে না। সফর করেছে অনূধর্্ব-১৯ দলও। কিন্তু তিন জাতির সিরিজের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে যুবারা। সফরে একটি মাত্র জয় পেয়েছিল অনূধর্্ব-১৯ ক্রিকেটাররা। সেই পথেই হাঁটছে 'এ' দলের ক্রিকেটাররা। পাঁচটি কাউন্টি দলের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে হারের পর মুখোমুখি হয় শক্তিশালী লায়ন্সের বিপক্ষে। গত মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে লায়ন্সের ৩৫৩ রানের জবাবে ১৫১ রান করেছে 'এ' দল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে লায়ন্সের ৩৬৭ রানের জবাবে এ দল করে ১৭৬ রান। দুই ম্যাচে সেঞ্চুুরি করেন চার স্বাগতিক ক্রিকেটার। আর 'এ' পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন জহুরুল ইসলাম অমি। ব্যাটিং লাইনের এমন ভঙ্গুর অবস্থা দেখে হতাশ কোচ কোরি রিচার্ডস, 'সফরের জন্য আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। আমরা জানতাম ইংল্যান্ডের কন্ডিশন কেমন হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনো বিভাগেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারিনি।' এই ভালো না করার জন্য ক্রিকেটাররা পরিকল্পনামাফিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি। কোচ জানান, 'আমরা আসলে পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলতে পারিনি। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের শেষ ১০ ওভার ছিল খুবই হতাশার। পাওয়ার প্লেতে বোলাররা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বোলিং করতে পারেনি।'
সফরে লায়ন্সের বিপক্ষে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি অমির। আর সফরে এখন পর্যন্ত একটি মাত্র সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। সফরে তার রান ২০০-এর উপরে। বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানি ভালো বোলিং করছেন সফরে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ৯ ওভারে ৯৫ রান দিয়েছেন। এমন পারফরম্যান্স টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবিয়ে তুলেছে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।