চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই ! এক গাছে ধরেছে নানা জাতের কমলা। তাও আবার বাসার ছাদে। আর এ কৃতিত্বের দাবিদার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সৌখিন কৃষক ও কৃষি গবেষক আব্দুল আজিজ। কয়েক বছর আগে একটি বড়ই গাছে বছরে ৪ বার ফল উত্পাদন করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করার পর তিনি এক গাছে কয়েকজাতের আম, বছরে কয়েকবার ধরা আমড়া, কাঁচা মরিচ, বেগুন চাষে সফলতার পর এবার তিনি কমলা গাছেও একই সাফল্য ধরে রাখতে পেরেছেন। কমলা গাছটিকে দেখলে মনে হয় গৃহস্থ গাছটির প্রতি কতটা যত্নশীল ছিলেন আর গাছটিও প্রতিদান হিসেবে ফল দিয়ে গৃহস্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
ধান, সবজি ও ফলদ ক্ষেত্রে নানা সাফল্য গাঁথা আজিজের বাসার ছাদে উঠলেই দেখা যায়। শুধু এ মৌসুমেই নয় প্রত্যেক মৌসুমেই তার ছাদে উঠলে আপনাকে অভিবাদন জানাতে প্রস্তুত থাকে কোনো না কোনো জাতের ফল।
এ সময় মৌলভীবাজারের কমলা বাগানগুলোতে কমলা খুব একটা দেখা না মিললেও শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার সড়কে আব্দুল আজিজের একতলা বাসার ছাদে উঠলে নিশ্চিত দেখা মিলবে হরেক রকম কমলার। টবে গাছ হলেও আজিজের এই গাছে এখনো প্রায় চার কুড়ি কমলা রয়েছে। আর গাছের কাছে গিয়ে একাধিক জাতের কমলা ধরার প্রমাণও মেলে।
সরজমিনে তার বাসার ছাদে উঠা মাত্রই চোখে পড়ে কাঁচা পাকা কমলা। গাছের কাছে গিয়ে দেখা যায় একদিকে পাকা কমলা, একদিকে কাঁচা অন্যদিকে আসছে নতুন কমলা, আবার কোনোটা বড় কোনোটা ছোট। আব্দুল আজিজ জানান, জাম্বুরা গাছের সাথে গ্রাফটিং করে চার ধরেনের কমলার জাত এক করে প্রায় তিন বছর আগে এর পরিচর্যা শুরু করেন। দুই বছরের মাথায় কমলা গাছটি ফল দিতে থাকলেও এ বছর তার চেষ্টার পুরো সফলতা দেখা মেলে। আজিজ আরো জানান, চলমান বছর গ্রাফটিং করা সব জাতেরই দেখা মিলেছে।
গ্রাফটিং পদ্ধতি সংম্পর্কে তিনি জানান, একটি দেশি জাম্বুরা/বাতাবিলেবুর সাথে ছাতক, দার্জিলিং, লকেল বিট ও জারা লেবুর সংযুক্ত করে এ জাতের উদ্ভব হয়। ইচ্ছে করলে যে কেউ তার বাসার ছাদে এই প্রজাতির চাষ করতে পারেন। যদি কেউ চান এর জন্য প্রয়োজনীয় চারা সরবরাহ থেকে পরিচর্যার পদ্ধতি দিয়েও তিনি সহায়তা করবেন।
আজিজের বাসার ছাদে বর্তমানে বড়ই, আমড়া, আম, কাঁচা মরিচ, বেগুন, শিমসহ বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে যার অধিকাংশই গ্রাফটিং এর মাধ্যমে বছরে একাধিকবার ফল ধরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।