আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামুর সহিংসতা : ১৬ মামলায় ১৮৩ এজাহার নামীয় আসামী এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে

আমি যা বলতে চাই... আলম দিদার, কক্সবাজার থেকে ফিরে কক্সবাজারের রামু-টেকনাফ উখিয়ায় বৌদ্ধ পল্লী ও বিহারে তাণ্ডব চালানোর দু’মাসেও মূল হোতাদের অনেককে এ পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনার পর বিভিন্ন থানায় পুলিশের করা ১৬ মামলায় এজাহার নামীয় ২৪৬ জন আসামীর মধ্যে পুলিশ এই পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে মাত্র ৬৩ জনকে। তবে এ ঘটনায় এজারহার নামীয় ৬৩ আসামী সহ মোট ৩০৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে থেকে যারা কলকাঠি নাড়িয়েছে, অর্থের যোগান দিয়েছে, পরিকল্পনা করেছে এরা সবাই এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। পরিকল্পনাকারী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল, রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত কিছু জঙ্গী নেতা, জামায়াত, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় অভিযুক্ত কতিপয় নেতাকর্মী ঘটনার পর দিন থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।

ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় অভিযুক্ত অনেকের নামও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এদের খুঁজে না পাওয়ায় রামুসহ কক্সবাজারের উদ্বিগ্ন সাধারণ জনগোষ্ঠী। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মিছিলে নেতৃত্ব ও অংশ নেয়া দুষ্কৃতকারীদের ঐ রাতের ভিডিও ফুটেজ-ছবি ও ধৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি এবং গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করলেও তা দৃশ্যত নয়। রামু, উখিয়া ও টেকনাফে সহিংস ঘটনায় এ পর্যন্ত এজাহার নামীয় ৬৩ জনসহ মোট ৩০৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি তদন্ত কমিটির সদস্য কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুুপার বাবুল আক্তার।

অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জাননা বাবুল আক্তার। গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া সরকারি তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, রামু থানার ৩৯ নম্বর মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চার আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত আসামী ফারুক ও মুক্তাদিরকে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তাদের কাছে জব্দকৃত আলামত কম্পিউটার সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়েছে। সিআইডি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তম কুমার বড়–য়া এর ফেসবুকে ফ্রন্ট পেজ সহ ১০ টি পেজ পাওয়া গেছে।

যাতে কোরআন শরীফ অবমাননা সহ ইসলাম বিদ্বেষী ছবি রয়েছে। রামু থানার মামলা নং-৪০। এ মামলায় এজাহার নামীয় ১০ জনের মধ্যে ৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সন্দেহজনকভাবে ৯ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। পত্রিকায় যে সকল আসমাীর ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

সে সকল আসামীদের সাক্ষীদের মাধ্যমে সনাক্ত করা ছাড়াও লুণ্ঠিত মূর্তিগুলো উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রামু থানার ৪১ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ১১ জন ও সন্দেহভাজন ২১ জনসহ মোট ৩২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রামু থানার ৪ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ১১ জন ও সন্দেহাজন ১১ জনসহ মোট ২২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রামু থানার ৪৩ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ১১ জন ও সন্দেহভাজন ১৩ জন সহ মোট ২৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রামু থানার ১ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ৪৩ জন সন্দেহভাজন ৭ জনসহ মোট ৫০ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রামু থানার ৩ নম্বর মামলার প্রতিব্দনে বলা হয় এজাহার নামীয় ২৮ জনের মধ্যে ৩ জন ও সন্দেহভাজন ৬ জনসহ মোট ৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রামু থানার ৪ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ৫ ও সন্দেহভাজন ১৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উখিয়া থানার ১ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ১৫ জন আসামীর মধ্যে ৪ জন ও সন্দেহভাজন ৩৪ জনসহ মোট ৩৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উখিয়া থানার ২ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ১৬ জন আসামীর মধ্যে ৪ জন ও সন্দেহভাজন ১৪ জনসহ মোট ১৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উখিয়া থানার ৩ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ৭ ও সন্দেহভাজন ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ৪ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ১৫ জন আসামীর মধ্যে ১০ জন ও সন্দেহভাজন ৬ জনসহ মোট ১৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উখিয়া থানার ৯ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ৫ জন আসামীর মধ্যে ২ জন ও সন্দেহভাজন এক জনসহ মোট তিন জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উখিয়া থানার ১০ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ৫৪ জন আসামীর মধ্যে ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উখিয়া থানার ১১ নম্বর মামলায় সন্দেহভাজন দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টেকনাফ থানার ১ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় ৭০ জন আসামীর মধ্যে ২৫ জন ও সন্দেহভাজন ১৪ জনসহ মোট ৩৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.