সততাই সবসময় রাখা চাই,বাচিবার তরে । কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধপল্লির বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগকারী আবুল হাশেমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের ঘুনাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাশেম ওই গ্রামের কবির আহমদের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ রামুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলায় লোক আনার কাজে ব্যবহূত ট্রাকসহ চালকের সহকারী ছৈয়দ আলমকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে।
গতকাল পর্যন্ত হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে ২১৯ জনকে।
রামু থানার পুলিশ জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টায় সময় আবুল হাশেমের নেতৃত্বে রামু সদরের মেরংলোয়ার বড়ুয়াপাড়া সংখ্যালঘুদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ঘরের মালামাল লুটপাট করা হয়। পরদিন রামু থানায় দায়েরকৃত আটটি মামলার একটিতে আবুল হাশেমকে অভিযুক্ত করা হয়। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপন করেন।
রামুর বৌদ্ধমন্দির ও বসতবাড়িতে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের বিপরীতে দায়ের করা মামলাগুলো তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম) মো. ইলতুত মিশ প্রথম আলোকে বলেন, আবুল হাশেমের নেতৃত্বে বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজ দেখে তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে হাশেম অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। পুলিশ জানায়, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বাংলাবাজার থেকে রামুতে লোক আনা-নেওয়ার কাজে যে ট্রাকটি ব্যবহার করা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে তা আটক করেছে পুলিশ। সঙ্গে ট্রাকচালকের সহকারী ছৈয়দ আলমকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর বলেন, রামুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলার সময় ট্রাক, পিকআপ, মিনিবাসে করে বাইরে থেকে লোকজন আনা হয়েছিল।
এখন ওই সব যানবাহন ধরার চেষ্টা চলছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাসু দত্ত চাকমা বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বৌদ্ধ যুবক উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুকে ছবিটি ট্যাগ করা এবং সেই ছবি প্রচার করা হয়েছিল কি না, তা অনুসন্ধান চলছে।
লিন্ক:-http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-13/news/297508 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।