বড় শিল্পে বিনিয়োগ খরার কারণে রাজ্যটিতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় কড়া গ্রীষ্মেও প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকছে বলে জানিয়েছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিমবঙ্গের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ জরুরি ভিত্তিতে দেশে ব্যবহারের কোনো সুযোগ তৈরি না হলে তা দেশের বাইরে বিক্রির জন্য এর মধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা যদি পশ্চিমবঙ্গে বড় শিল্পগুলোকে আনতে না পারি তবে বিদ্যুৎ বিক্রি করে হলেও আমাদের অর্থ তুলে নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিৎ। ”
কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলোর কাছে পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে এবিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে জোরালো অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা আমাদের অনুরোধ জানিয়েছি।
আমরা জানিয়েছি যতো দ্রুত সম্ভব এটা করা দরকার। ”
২০১১ সালে সফরে এসে বাংলাদেশকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এছাড়াও মিয়ানমারকে অপ্রকাশিত পরিমাণ বিদ্যুৎ বিক্রির প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ভারতে ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি) ও পাওয়ার ট্রেডিং করপোরেশনের (পিটিসি) মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেনাবেচার কাজ হয়।
প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ রপ্তানি হবে ভারতের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশনে (পিজিসি) সঙ্গে যুক্ত হয়ে।
পিজিসির কর্মকর্তারা জানান, দুদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আদান-প্রদানের জন্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে মুর্শিদাবাদে ৪০০ কেভির একটি সাব-স্টেশন নির্মাণকাজ ২০১৩ সাল নাগাদ শেষ হবে।
এ স্টেশন নির্মিত হলেই কেবল পশ্চিমবঙ্গ তাদের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে পারবে।
তবে বাংলাদেশ কিছু বিদ্যুৎ পেলেও পশ্চিবঙ্গের সমস্যা থেকেই যাবে।
পশ্চিমবঙ্গের ওই কর্মকর্তা বলেন, “যদি ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি করি তারপরও আরো প্রায় ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদের উদ্বৃত্ত থেকে যাবে। ”
প্রতিশ্রুত বিদ্যুতের বাইরেও এই বাড়তি বিদ্যুৎও বাংলাদেশে বিক্রি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন করা হবে কি না সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
সিঙ্গুরে টাটাবিরোধী আন্দোলনের কারণে মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সেখানে শিল্পে নতুন কোনে বিনিয়োগ আসছে না।
একারণে চাহিদা কম থাকায় পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ক্ষমতার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।