আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাতিল হোক পাকিস্তান সফরের এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত-

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড গঠিত হওয়ার পর অনেকটা লম্বা পথ পাড়ি দেয়া। তারপর ১৯৯৭ সালে আই সি সি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী হবার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত সুযোগ লাভ করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে নিজেদের তুলে ধরার। অংশ নেয় “আই সি সি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৯৯” এ। আর প্রথম বারের অংশগ্রহণই বাংলাদেশকে এনে দেয় স্কটল্যাণ্ড ও ১৯৯২ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান এর বিপক্ষে ঐতিহাসিক বিজয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই বিজয় বাংলাদেশকে দিয়েছিল নতুন এক যুদ্ধজয়ের অনুভূতি।

অবশ্য এর আগে ১৯৯৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত একটি ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতায় কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের প্রথম জয় লাভ করে। ঐ বছরেরই অক্টোবর মাসে সব টেস্ট খেলুড়ে দেশকে নিয়ে বাংলাদেশে আয়োজিত হয় নকআউট ধাঁচের মিনি বিশ্বকাপ। এছাড়া ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে এদেশে প্রথম শ্রেণীর জাতীয় ক্রিকেট লীগ শুরু হয়, যাতে অংশ নেয় সকল বিভাগীয় দল। অন্যদিকে বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড এবং পাকিস্তানকে হারানোর সুফলও পায় বাংলাদেশ। এই জয় বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেস্ট দলের সদস্য হতে সহায়তা করে।

২৬ জুন, ২০০০-এ বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে। সেই বছরের ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ তাদের অভিষেক টেস্ট ম্যাচ খেলে ভারতের বিপক্ষে। তারপর টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির দীর্ঘ একযুগেও ক্রিকেট বাংলাদেশকে দিয়েছে আনন্দে মেতে ওঠার, গর্বে বুক ফোলানোর অসংখ্য উপলক্ষ্য। আর সর্বশেষ ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১১’ এর স্বাগতিক হওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে যোগ করেছে আরেকটি বড় অর্জনের স্মারক। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী সাড়া জাগিয়েছে সারা বিশ্বে।

বাংলাদেশ পেয়েছে ক্রীড়ামোদী জাতির এক অনন্য বৈশ্বিক পরিচিতি। আর এভাবেই ’৭২, ’৯৭-’০০, ’১১ এই সালগুলো বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে স্থান করে নিয়েছে গৌরবের অর্জন হিসেবে, আনন্দের স্মৃতি হিসেবে। সেই সাথে মানুষ মনে রেখেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা, মনে রেখেছে তাঁর সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা এবং সাবেক ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর ভূমিকাও। এতসব অর্জন যেন ধূলিস্যাত হয়ে না যায় কেবলমাত্র একটি ভুলে। এতদিনের এত অর্জন, এতসব গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস যেন ম্লান না হয় এক লোটাস কামালের লোভের ফাঁদে পড়ে।

সজাগ হোন নেত্রী, কান পেতে শুনুন এদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের কি চাওয়া... বাংলাদেশের মানুষ চায় না তাদের আশা-ভরসার প্রতীক প্রিয় ক্রিকেটারেরা ওই মৃত্যুকূপ পাকিস্তানে গিয়ে বিপন্ন হোক। তারা চায় না ঐ সন্ত্রাসীদেশ; যারা আমাদের জাতশত্রু, যারা টুঁটি চেপে মারাতে চেয়েছিল এদেশের মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্নকে, আজ তাদের ক্রিকেট বাঁচাতে এদেশি কোনো ক্রিকেটার বলি হোক। আর তাই বাতিল হোক পাকিস্তান সফরের এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত- এইটেই আমাদের এক দফা, এক দাবি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।