ইহা কঠোরভাবে একটি রাজনীতি মুক্ত ব্লগ । ।
গত ৫ই ডিসেম্বর কেনিয়া সরকার সকল প্রকার জিএমও খাদ্য এবং জিএমও সংশ্লিষ্ট খাদ্য আমদানী কঠিনভাবে বন্ধ ঘোষনা করেছে। সেখাণকার স্বাস্থ্য মন্ত্রী Beth Mugo বলেছেন, "“My ministry wishes to clarify the decision was based on genuine concerns that adequate research had not been done on GMOs and scientific evidence provided to prove the safety of these foods. our health officials would ensure GM foods are removed from sale"
EU watchdog EFSA কতৃক একটি ফরাসী গবেষনায় পাওয়া গেছে যে জিএম ভুট্টার কারনে ইদুরের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছে সুতরাং এই সব জিএমও খাদ্য মানুষের জন্যও হুমকি স্বরূপ।
জিএমও হচ্ছে Genetically Modified Organism আবার কখনো কখনো জিইও অর্থাৎ Genetically Engineered Organism-ও বলা হয়।
আমাদের বাংলাদেশ সরকার বুঝে হোক বা না বুঝেই হোক, বাংলাদেশে জিএম শস্য উৎপাদনের অনুমোদন দিচ্ছে বলে জানি। জিএম শাকসবজি নিয়ে ভারতজুড়ে বিতর্ক পুরো এশিয়াকে নাড়া দিয়েছে। এর ফলে ভারতে আপাতত জিএম শাকসবজি উৎপাদন বন্ধ থাকছে। আর ইউরোপের অনেক দেশেই জিএমও খাদ্য বিক্রি হয়না, আমি দেখেছি কিছু দেশে দোকানে বিক্রি হলেও তা আলাদা তাকে এবং আলাদা ভাবে লেবেল করা থাকে জিএমও ফুড বলে। ইতোমধ্যে জিএমও'র ব্যবহার অনেক প্রসার হয়েছে।
প্রচুর গবেষণা চলছে এর পক্ষে- বিপক্ষে। আমেরিকা, ব্রিটেন, চীন প্রভৃতি দেশে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে ব্যাপকভাবে। সয়াবিন, টমেটো, আলু, ভুট্টা, তুলা ও ধানের জিএমও সারা বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা জিএমও'র অনেক নেতিবাচক দিক তুলে ধরতে শুরু করেছেন।
গবেষণায় বেরিয়ে আসছে ক্ষতিকারক দিকগুলো। পরিবেশবাদীদের পাশাপাশি সাধারণ জনসাধারণও প্রতিবাদ শুরু করেছেন জিএমও'র বিরুদ্ধে। অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে উন্নত দেশগুলো তাদের জিএম ফসলের প্রভাব দেখার জন্য আমাদের দেশকে বেছে নিয়েছে। সাহায্যের নামে জিএম ঢুকিয়ে দিচ্ছে আমাদের নিরীহ মানুষের খাদ্য তালিকায়। আমরা গিনিপিগের ভূমিকায় রয়েছি না জেনেই।
আমরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যে পপকর্ন বা সয়াবিন তেল খেয়ে থাকি, এ গুলোও কিন্তু জিএম ফসল। জিএম সয়াবিন তেলের ব্যবহার আধিক্যের কারণে আমাদের দেশে উদ্বেগজনকভাবে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনো জিএমওর ক্ষেত্রে কোনোরকম লেবেলিং করা হয় না। অর্থাৎ জিএমও প্যাকেটে, জিএমও শব্দটিও লেখা থাকে না। সুতরাং, যদি কেনিয়া পারে তবে আমরা কেন নয়, যেখানে আমরা জানছি জিএম ফসল আমাদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা অবৈজ্ঞানিক, ঝুঁকিপূর্ণ।
আমাদের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের উচিত যথাশীঘ্র জিএমও আমদানী সকল চুক্তি ব্যান করা, বাজারে ছড়িয়ে যাওয়া সকল খাদ্যপন্যের বিক্রয় বন্ধ করে দেশের অজ্ঞ জনগনকে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুকি হতে রক্ষা করা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।