আমি জাতির চাচা........এই আমার পরিচয়....।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াতই দায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব দাবি করেছেন, বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কেউই ছাত্রলীগের কর্মী নন। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ওপর দোষ চাপানো তাদের (বিএনপি-জামায়াত) ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বিকাল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত খুনি মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমন, মো. ইমদাদুল হক ও মো. ওবাইদুল কাদেরের পরিবারের সদস্যদের পরিচয় ও নানা তথ্য তুলে ধরেন।
প্রেস সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী অভিযুক্তদের মধ্যে মো. ওবায়দুল কাদেরের পিতা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি মাদরাসার শিক্ষক। তার বড় ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের বড় নেতা ছিলেন। ওবায়দুল কাদের আগে শিবিরের কর্মী ছিলেন। এছাড়া মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিলের পিতার নাম আনছার আলী। তিনি কর অফিসের একজন অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন।
তার বড় ভাই পটুয়াখালী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক। অন্যদের মধ্যে মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ ভোলার একটি মাদরাসা থেকে আলিম ও ফাজিল পাস করেন। তার নানা কুখ্যাত রাজাকার। তার বড় ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা। তিনি ছাত্রলীগের নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি।
এছাড়া মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ছিনতাই, অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত মো. ইমদাদুল হকের বাড়ি যশোরে শার্শা উপজেলায়। ইমদাদুলের চাচা শাহজাহান আলী জামায়াতের কর্মী। অন্যদের মধ্যে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিলের বাড়ি নরসিংদীতে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র।
প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বজিতের খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু বিশ্বজিতের নয়, হরতাল ও অবরোধে নিহত ও আহত সবার হতাহতের তদন্ত হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, সন্ত্রাসীদের কোন দলীয় পরিচয় নেই। তারা যে কেউ হোক, তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। প্রেস সচিব জানান, তারা জ্বালাও, পোড়াও, মানুষ হত্যা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে।
তাদের এ অরাজকতা সৃষ্টির কারণেই গত রোববার অবরোধের সময় পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাস নৃশংসভাবে খুন হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।