প্রথম আলো:
কঠিন সময় পার করছে সরকার। ক্ষমতার চার বছরের মাথায় হঠাৎ করেই সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে এলেও জামায়াত-শিবিরকে সামাল দিতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। সুযোগ বুঝে বিএনপি আন্দোলনমুখী হওয়ায় সরকারের সীমাবদ্ধতা ও সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষণা এবং পরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও পদ্মা সেতু নির্মাণ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রধান দুটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থাকায় পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই বর্তমান সরকার এই সেতুর কাজ আদৌ শুরু করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে বেলজিয়াম-প্রবাসী আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে কথোপকথন ফাঁস হওয়ার দায় নিয়ে বিচারপতি নিজামুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সরকার চলতি মাসের শেষ দিকে রায়ের আশা করলেও স্কাইপ কেলেঙ্কারির ঘটনায় যথাসময়ে এ রায় হবে কি না, তা নিয়ে সরকারের ভেতর থেকেই সংশয় প্রকাশ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বিএনপির অবরোধ-হরতাল, ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে বিশ্বজিৎ দাসের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। প্রকাশ্যে বলতে না চাইলেও সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা অস্বীকার করছেন না। যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া গুছিয়ে আনা এবং বিরোধী দলের সম্ভাব্য আন্দোলন মোকাবিলা নিয়েও সরকার যথেষ্ট ভাবনায় আছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।