আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন বিশ্বজিৎ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা!

ইদানীং নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতে খুব লজ্জা লাগে। বিশেষ করে গত পরশুর পর থেকে মাথা থেকে একটা ব্যাপার কিছুতেই সরাতে পারছিনা। এতদিন জেনেছি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হল জ্ঞান-বিজ্ঞানের আধার। আর আমি,আমরা এখন কি শিখছি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে? নিজেকে খুব ছোট মনে হয়,যখন দেখি আমারি বয়সী,আমার মতই একটা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে চাপাতি,রড দিয়ে বিশ্বজিতের মত একজন নিরীহ ছেলের প্রাণ কেঁড়ে নিচ্ছে! তবে কি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের সন্ত্রাসী হতে শেখায়? শেখায় কলম খাতা রেখে কিভাবে ছুরি,চাপাতি দিয়ে মানুষ মারতে হয়?? সন্দেহাতীত ভাবেই যেকোনো ভার্সিটি স্টুডেন্ট মেধাবী। কয়েক হাজার এমনকি লাখেরও উপর অন্যান্য ভর্তিচ্ছুদের পেছনে ফেলে তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় একজন ছাত্র।

মনে বড় প্রশ্ন জাগে,একজন মেধাবী ছাত্র কি করে,কিসের বিনিময়ে বই,কলমের মত পবিত্র জিনিস রেখে হাতে তুলে নেয় রামদা,চাপাতি আর পিস্তল??? কতটুকু নিচে নেমে গেলে একজন ছাত্র তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে মারতে উদ্যত হয়? আবার উল্টা ঘটনাও আছে,লোকমুখে শোনা যায় বুয়েটের ভিসি নাকি ছাত্রলীগের কিছু চ্যালা পালেন নিজের প্রটেক্টের জন্য। তারা ভিসির হয়ে আন্দোলনরত ছাত্র আর শিক্ষকদের শায়েস্তা করে থাকেন। সেলুকাস! সুযোগে একা পেয়ে আমরা যে কত হিংস্র হতে পারি সেটা টের পেলাম আজকের পত্রিকা দেখে। জগন্নাথের শাকিল,নাহিদ,লিমন,ইমদাদুল আর ওবায়দুলরা গর্ব করতেই পারে কারন তারা একা পেয়ে একটা নিরীহ ছেলেকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছে। গর্ব আমিও করতে পারি কারন আমিও যে শাকিল নাহিদদের জাতভাই,একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র!! থাক...বিশ্বজিতের জন্য মায়াকান্না করে তার আত্মাকে আরও অপমান করতে চাইনা।

দুনিয়ার আদালতে শাকিল,নাহিদ,লিমন,ইমদাদুল আর ওবায়দুলদের বিচার তো দূরে থাক,বরং হত্যার বিনিময়ে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। কদিন পর এদেরকেই দেখব কেউবা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আবার কেউবা সভাপতি। তারপর হয়তঃ জাতীয় সংসদে......বিশ্বজিত দুনিয়াতে বিচার পাবেনা ঠিক। তবে দুনিয়ার জীবনের পর যে আরেকটি জীবন আছে,সেখানে পরম প্রতিপালকের ন্যায়বিচারে বিশ্বজিতদের আত্মা নিশ্চয়ই শান্তি পাবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.