ঘুম থেকে জেগে দেখি মৃত্যু শিয়রে গুনছে প্রহর...... (সুপার ফ্লপ খাওয়া প্রথম পর্বটি পাবেন এখানে)
আমরা প্রথমে ধাঁধাটি বুঝতে পারছিলাম না। আমরা আরেকটি এসএমএস পেলাম। ধাঁধার উত্তরের ক্লু চাইতে পারবো আমরা। সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে টাইম পেনালটি করবে। আমরা মোবাইলের এসএমএস লেখার অপসনে গিয়ে চেষ্টা করতে লাগলাম ধাঁধাটি ধরতে, যেমন এসএমএস এর T9 অপশ্ন।
যাই হোক কিছুক্ষন চেষ্টার পর আমরা ধাঁধার উত্তরের ক্লু চাইলাম এবং ক্লু চেয়ে এসএমএস করার পর পরই আমরা ধাঁধাটি ধরে ফেললাম।
এবং ইতিমধ্যে আমরা ৩০ মিনিট পেনাল্টিও খেয়ে ফেললাম। এই মিনিট পেনাল্টির ব্যাপারটা হলো, আমাদেরকে পরবর্তী ডেস্টিনেশনে ৩০ মিনিট বসে থাকতে হবে। ৩০ মিনিট পর আমাদেরকে পরবর্তী টাস্ক দেয়া হবে।
যাই হোক, ধাধার উত্তরে একটি জায়গার নাম ছিল।
National Heart Foundation
৬২ ২১ ৮১ ৪৩ ৬৩ ৬২ ২১ ৫৩ ০ ৪২ ৩২ ২১ ৭৩ ৮১ ০ ৩৩ ৬৩ ৮২ ৬২
৩১ ২১ ৮১ ৪৩ ৬৩ ৬২
মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে ৬ দুইবার চাপুন - N, ২ একবার চাপুন - A, ৮ একবার চাপুন - T... ০ অর্থ একটি স্পেস।
- লাগালাম দৌড়। সন্ধ্যা ৭ টায় ফার্মগেট থেকে মিরপুরের কোন বাসে কি আর সহজে উঠা যায়। সাইদ ভাই কিভাবে যেন চিপা ঠেলা দিয়ে আমাকে আর আসিফকে বাসের ভেতরে চালান করে দিলেন। আর তিনি বাসের পেছনের বাম্পারে উঠে হেল্পারের সাথে গলা মেলাতে লাগলেন।
ন্যশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন পৌছে দেখলাম আমরাই প্রথম পৌছেছি। ওখানে ট্রেজার হান্ট ম্যানেজমেন্ট টিম দাড়িয়ে ছিল। নাম, পৌছানোর সময় লিখে নিয়ে রাতের মিল খেয়ে নিতে বলল আর দলা পাকানো একটি নিউজপেপার হাতে ধরিয়ে দিল। পরবর্তি কি করনীয় তা নাকি ঐ ময়লা দলা পাকানো নিউজপেপার টিতে লেখা রয়েছে!! যাই হোক সাইদ ভাইয়ের চিৎকারের চোটে ভাত না চিবিয়েই ডাইরেক্ট গিলতে লাগলাম। আর আসিফতো হাসির চোটে কিছু খেতেই পারছিল না।
ওর আবার "মুন্না ভাই এমবিবিএস" এর ডক্টর আস্তানার মতো রাগ হলে নাকি হাসি পায়।
যাই হোক, খাওয়া-দাওয়া শেষে সাইদ ভাই দলা পাকানো নিউজপেপারটি খুললেন। পেপারটি কুটি কুটি করে ছেড়া হয়েছে। কয়েকটি টুকরোতে দেখা গেল মোটা কালো দাগ। তার অর্থ পাজল মেলাতে হবে।
হোটেলের দুই টেবিল একসাথে করে তিনজনে হুমরি খেয়ে পড়লাম টুকরো গুলোর উপর। ৩ জনের ৬ হাত একসময় প্যাচ খাইয়ে পাজলটি মেলানো হল। লিখা রয়েছে - দারুস্সালাম পুলিশ স্ট্শেন।
(প্রথম পর্ব সুপার ডুপার ফ্লপ হওয়ার পর ভয়ে ভয়ে তৃতীয় পর্ব লিখছি....)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।