আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়ছেন আফগান নারীরা

আমার স্বামী ও আমি দেশের জন্য লড়াই করছি। আমাদের কোনো ভয় নেই। যদি তালেবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানে ফিরতে চায়, তাহলে আমরা তাঁদের পিছু হটতে বাধ্য করব। ’
কথাগুলো আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের এক নারী সেনার। তাঁর নাম নাজলা।

কাবুলের বিশেষ একটি সেনা দলের সদস্য নাজলা। ওই দলটির সবাই নারী। তাঁরা সংখ্যায় কম। প্রায় সবাই প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সাহসের দিক দিয়ে অদম্য ওই নারী সেনারা।


এনডিটিভির খবরে জানা যায়, নাজলা কাবুলে প্রতিটি সেনা অভিযানে অংশ নেন। লড়াই করেন তালেবানদের বিরুদ্ধে। যারা তাঁর দেশের নারীদের অন্ধকারে রাখতে চায়, সেসব উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকেন তিনি। নাজলা দুই সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশের একজন সেনা।

স্বামীর কাছ থেকে সব ধরনের সমর্থন পান নাজলা।
আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে যেখানে মাত্র কিছুদিন আগেও নারীরা ছিল গৃহবন্দী, সেখানে নাজলার এগিয়ে আসার ঘটনাটি বিরল। নাজলার মতো সেনারা আফগানিস্তানের নারীদের জন্য প্রেরণা।
কাবুল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে থাকেন রেহমাত। তিনি সাবেক তালেবান যোদ্ধা।

তিনি তালেবানের দ্বিতীয় শীর্ষ জঙ্গি মোল্লা বারাদার পক্ষে যুদ্ধ করতেন। তবে এখন তিনি তালেবানদের পক্ষ ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ জানতে চাইলে রেহমাত বলেন, তালেবান জঙ্গিদের এখন নিয়ন্ত্রণ করছে পাকিস্তান। রেহমাত অবস্থার পরিবর্তন চান। চান তাঁর সন্তানেরা শিক্ষিত হোক।


রেহমাত জানান, তাঁর বাবাও একসময় তালেবান জঙ্গিদের পক্ষে বিদেশি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কিন্তু এখন তিনি চান বিদেশিরা আফগানিস্তানে থাকুক। শিগগিরই বিদেশি সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যেতে পারে, এমন খবরেও তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন। বিদেশি সেনাবাহিনীকে দেশে রাখার ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রেহমাত বলেন, আফগানিস্তানের হেলমান্দ, কান্দাহার ও গজনি প্রদেশে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। রেহমাত থাকেন কাপিসা এলাকায়।

সেখানকার ৮০ ভাগ এলাকা তালেবান জঙ্গিদের দখলে। কাপিসার মতো আফগানিস্তানের অনেক স্থানই এখনো দখল করে রেখেছে তালেবান জঙ্গিরা। তাই রেহমাতের প্রশ্ন হলো, বিদেশি সেনাবাহিনী ছাড়া কীভাবে সরকার পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেবে।
রেহমাত মনে করেন, তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো খুব বেশি শক্তি আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর নেই। তাঁর মতে, আফগান জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকতে চায় না।

কিন্তু মার্কিন সেনাবাহিনী এত তাড়াতাড়ি দেশ ছেড়ে চলে যাবে, এটাও তাঁরা সমর্থন করেন না। কারণ, এতে করে আফগানিস্তানের জনগণকে তালেবানদের মুখোমুখি হতে হবে। আর সেই শক্তি তাঁদের নেই। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.