আশাবাদী। মোটামুটি বাধ্য হয়েই একটু লিখতে বসলাম। কারন বর্তমানটা একটু জগাখইচুরি টাইপ লাগছে। ঠিক যেমন দুই নৌকায় পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থা। একটা ঊদাহারন দিয়েই শুরু করি।
আমার ছোট মামার ছেলে টগরের বয়স আড়াই বছর। সেদিন বাসায় আসল বেড়াতে। মামী বল্ল টগরকে যেভাবেই হোক ইংলিশ মিডিয়াম এ পড়াবে। খুব ভাল....কিন্তু আমি তার যুক্তি শুনে পুরা টাসকি....একটাই ছেলে..এর পিছনে টাকা পয়সা খরচ করে না পড়ালে কি হয়....তাছাড়া যুগটাই ইংলিশ এর......এই হল তার যুক্তি।
আসলে ইংলিশ মিডিয়ামটা সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে গেছে আরকি।
কিন্তু দৃঢ় কন্ঠে একটা কথা বলতে দ্বিধা নেই যে এই সব চিন্তা বাদ দিন।
অনেক বাবা মা আছে(ইংলিশ মিডিয়াম পার্টি) যারা চায়ই না তাদের সন্তান বাংলা শিখুক। আমরা আমাদের পরিচয় অর্থাৎ ভাষা সংস্কৃতি ছাড়া যতই উপরে উঠতে যাব ততই কিন্তু আমাদের জন্য খারাপ হবে। কবি আব্দুল হাকিমের ভাষায় অনেকগুলো বেওয়ারিশ মানুষ তৈরি হবে।
যারা ভাবছেন আমি ইংলিশ মিডিয়ামের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি তাদেরকে বলছি....ডোরেমন নামক কর্টুনটা শিক্ষা প্রতিষ্টানের বাইরে থেকেই অসাধারন অসাধারন অসাধারন হিন্দি ভাষা শিক্ষাদান করে যাচ্ছে।
১০ বছরের বাচ্চাদের মুখে অনর্গল হিন্দি শুনে আমরা মুগ্ধ হতে বাধ্য হচ্ছি।
এখন কথা হল আমরা কোন পদক্ষেপই নিচ্ছি না। কেন নিচ্ছি না তা ঠিক জানি না। আগামী পাঁচ কি ছয় বছর পরের ভয়াবহ ছবি আমাদের চোখের সামনে তবুও আমরা চুপ। হয়তো এমনই হবে,২০২৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদদের আত্না সমবেত স্বরে গেয়ে উঠবে "তোমরা আমাদের ভুইলা যাও........." ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।