ছবিঃ হাসান রাজা, প্রথম আলো, ১০/১২/১২
আমরা গতকাল সবাই এই ছবিটা দেশের অন্যতম প্রধান দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতায় দেখে ঘুম থেকে জ়েগে উঠি আর রক্তাক্ত বিশ্বজিৎ এর জন্য আফসোস করেছি। আজ ফেসবুক এ পরিচিত জনদের ওয়াল এ আর অনেকের মুখেই হামলাকারীদের বিচার দাবী করতে শুনেছি। অবশ্যই দাবী করা উচিত।
এবার আসি আমার লেখার প্রসংগে। “ফটোগ্রাফারের ক্যামেরার ক্লিক!” খবরে প্রকাশ, “প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে আজ সকাল নয়টার দিকে ঢাকার জজকোর্ট এলাকা থেকে বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত আইনজীবীরা একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলটি ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আইনজীবীদের ধাওয়া দেন। এ সময় ভিক্টোরিয়া পার্ক-সংলগ্ন একটি তেলের পাম্পের কাছে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাম্পের দিকে ধাওয়া দিয়ে যেতে থাকলে আতঙ্কে পথচারী বিশ্বজিৎ দৌড়ে সেখানকার একটি ডেন্টাল ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাঁকে জাপটে ধরে এলোপাতাড়ি রড দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
গুরুতর আহত হয়ে পালাতে দৌড় দেন বিশ্বজিৎ। দৌড়ে শাঁখারীবাজারের একটি গলিতে গিয়ে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এক রিকশাচালক বিশ্বজিৎকে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
(Click This Link)”
খবর পড়ে যা বুঝা গেলো, ঘটনাস্থলে দুই পক্ষ উপস্থিত ছিলো। হামলাকারী আর প্রত্যক্ষদর্শী। হামলাকারীদের আমরা উপরের ছবিতেই দেখলাম। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেখি নাই। পড়েছি যে, একজন রিকশাচালক বিশ্বজিৎকে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান।
আমাদের ফটোগ্রাফার ভাই রা কোন পক্ষে ছিলেন? উনারা হামলাও করেন নাই আবার ওই রিকশাচালকের মতো বাচাতেও যান নাই। খালি ক্যামেরা নিয়ে ক্লিক ক্লিক করছেন!!! ভয়-ডরহীন সাংবাদিক!!! পুরষ্কার পাইবো!!!
এইবার এই ছবিটা দেখেন। পুলিৎজার পুরষ্কার পাওয়া, ১৯৯৩। ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার। দক্ষিন সুদানের দুর্ভিক্ষের ছবি।
এই ছবি তাকে পুলিৎজার এনে দেয় ঠিকই, কিন্তু তাকে সমালোচনাও শুনতে হয়েছিল, ”The man adjusting his lens to take just the right frame of her suffering might just as well be a predator, another vulture on the scene,”
“I’m really, really sorry I didn’t pick the child up,” he confided in a friend. Consumed with the violence he’d witnessed, and haunted by the questions as to the little girl’s fate, he committed suicide three months later. (Click This Link)
আমাদের সাংবাদিকেরা কি করবেন?????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।