একইসঙ্গে চার বছরের ওই শিশু সাবালক না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রকে তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক রেজাউল করিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নূরুল আলম (৩৩) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মধ্যম গুয়াপঞ্চক গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন। ডিএনএ টেস্টে সন্তানের পিতৃত্ব প্রমাণ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছে আদালত।
ট্রাইবুন্যালের পিপি চন্দন তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০০ সালে দায়ের হওয়া এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ছয় জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছে।
রায়ে নূরুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
দণ্ডিতের সম্পত্তি থেকে ওই টাকা সংগ্রহ করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে মামলার বাদীকে তা দেয়ার জন্য জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নূরুল আলম একই গ্রামের প্রতিবেশী স্বামী পরিত্যক্তা দুই সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৮ সালের ১৮ অগাস্ট ভোর রাতে তার বাড়িতে ঢুকে প্রথম এবং পরে আরো বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
এ অবস্থায় ২০০৯ সালের ১ অগাস্ট ওই নারী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
সন্তান জন্মের পর নূরুল আলম শিশুটির পিতৃত্ব এবং ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি আদালতে গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ২০১১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে চার্জ গঠন হয়।
পিপি চন্দন বলেন, নূরুল আলম আদালতেও মেয়েটির পিতৃত্ব অস্বীকার করায় ২০১২ সালের ৯ মে ডিএনএ টেস্ট করার নির্দেশ দেন বিচারক।
একই বছরের ৬ অগাস্ট ডিএনএ টেস্টে নূরুল আলম মেয়েটির পিতা শনাক্ত হওয়ার পর তিনি পালিয়ে যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।