সত্যকে সত্য না বলা মিথ্যার চেয়ে বড় অপরাধ এতে কোন সন্দেহ নেই আর তেমনি দেশের এরকম এক সংকটময় পরিস্থিতির জন্য যে কোথাও না কোথাও সরকার দায়ী এই কথাটি যদি আমরা না বলি সেটিও হবে ওই মিথ্যার শামিল।
হরতাল এবং আজকের বিক্ষোভে যতটা বিএনপি এবং জামাত ঘৃণিত ঠিক তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী ঘৃণিত আজ আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গসংঘটনগুলি ।
চারটি লাশ পড়েছে , এর ভিতর বিশ্বজিৎ এর ঘটনা বিশেষ করে সবাইকেই নাড়া দিয়েছে। এখন কথা হল সরকার আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গসঙ্ঘঠনগুলি মাঠে কেন । অন্যায়ের বিরুদ্ধে অন্যায়তো কোন সমাধান নয় ।
বিরোধীদল তাদের নানা দাবি আদায়ে মাঠে নামবে তাদের সুশৃঙ্খল কার্যক্রম নিয়ে ( অবশ্যই এখন যেমনটা তারা করছে তেমনটা না) যদি সেরুপ না হয় কঠোর হস্তে তা দমন করা হবে এবং তার জন্য আছে পুলিশ, র্যাব এবং বিশেষ প্রয়োজনে আছে আর্মি।
কিন্তু তা না করে দেখা যাচ্ছে সব যায়গায় লীগের সমর্থকরা নামছে মাঠে এবং সহিংসতা বাড়ছে আবার সরকারী দল হিসেবে পুলিশও কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না এদের বিরুদ্ধে।
যেন এক অস্থিরতা চারিদিকে। এর মধ্যে নতুন করে সরকার প্রমান করল যে মির্জা ফকরুল বাংলাদেশের কত বড় মহান নেতা যাকে জেলের বাহিরে রাখা ছাড়া আওয়ামীলীগ আসলেই অসহায়। আসলে আগামি কালের হরতালে এই লোকটি থাকলে কি হত ? বড়জোর দুটি ভাষণ , চারটি বড় ঘোষণা এই আর কি ।
কিন্তু তাকে এই সব সাজানো মামলায় ভিতরে নিয়ে সরকার কালকের দিনটিকে আরও মারাত্মক ভয়াবহ করে তুলল।
প্রশ্ন এখন যাহা মুখ্য সেটি হল সরকার কি জেনেশুনে এসব অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশকে ?
আমি তো দেখতে পাচ্ছি হ্যা । আপনারা হয়ত ভিন্ন মত রাখতে পারেন কিন্তু আর যাই বলেন সরকারের কাজে সন্তুষ্ট হতে পারছি না।
Change the TIME ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।