আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি জহির সাহেব কে ল’ মিনিস্টার ডাকাই নিয়া বলল যে, রিজাইন করেন। রিজাইন করলাম... রিজাইন দিয়ে আসলাম।

বিচারপতি নিজামুল হক : একজন ‘জাজ’ হিসাবে বাহিরের বা তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে পারি না । ইকোনমিস্ট: ট্রাইব্যুনালের বিষয় নিয়ে কি, কেউর সাথে ইমেইল লেন-দেন করেছেন? বিচারপতি নিজামুল হক: না, না, না, ট্রাইব্যুনালের বিষয় নিয়ে নয়, বিচারের আদেশ অথবা প্রসিডিং নিয়ে কোন কথা হয় নাই । পরে আবার বিচারপতি, ইকোনমিস্ট কে বলেন, “এক জন ‘’সুপ্রিম কোটের জাজ, অমন কি আমাদের বউর সাথে ও আমরা ট্রাইব্যুনালের বিষয় নিয়ে কথা বলি না” । বিচারপতি নিজামুল হকের কথার বিপরীতে ২৩০টা ইমেইল এবং ১৭ ঘন্টার অডিও ইকোনমিস্টের কাছে আছে বলে দাবি । ইকোনমিস্ট এখন ২৩০টা ইমেইল আসল কি না তা তদন্ত করে দেখছে, যদি আসল হয় তবে, আইন বিধি নিয়ম ও British press’s code of conduct মেনে জন স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হলে ইমেইল গুলা প্রকাশ করবে ।

বিচারপতি নিজামুল হকের ৬ তারিখের আদেশ মেনেই জন স্বার্থে সব প্রকাশ হবে । আজকে বিচারপতি নিজামুল হক আরেকটা আদেশ হয়তো দিতে পারেন, তা না হলে ইমেইল গুলা ও এই অডিও মত বাংলাদেশে ও প্রকাশ হয়ে যাবে । তবে প্রশ্ন থাকে বিচারপতি নিজামুল হক আগেই বলে দিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালের বিষয় নিয়ে বাহিরের কারো সাথে কোন কথা বা ইমেইল করেন নাই, সে কথা ইকোনমিস্ট এর কাছে এর রেকড আছে। আজকে শুধু শুনে নেই কি কথা বার্তা হয়েছিল, ট্রাইব্যুনাল নিয়ে যদি কথা বার্তা হয়ে থাকে তবে জন স্বার্থে শুনবো, নতুবা ব্যক্তিগত আইন বিধি নিয়ম আদেশ বহাল রহিল । অডিও লিংক: আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ্যাঁ..., খবর তো আমরা কালকে নিজেরা কথা বলছি।

সো... একটা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে এগুলোর। আপনার সাথে কালকে যেটা কথা হইছে। কাল মালুম ভাইর সাথে কথা হয় নাই। কাজেই... আজকে ওই গোলাম আযমেরটা কতদূর আগাইছে? নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযম ফার্স্ট হাফ হইছে। সেকেন্ড হাফে আবার সাঈদী ধরছিলাম।

আগাচ্ছে আর কি। সাঈদীর তো ওই ডকুমেন্ট জমা হচ্ছে। ১৩ নম্বর সাক্ষী এখনও চলতেছে, চলবে...। আহমদ জিয়াউদ্দিন: উনাদের কারো সঙ্গে কালকে কথা হয় নাই অবশ্য। কালকে বোধহয় ছুটির দিন ছিল দেইখ্যা উনারা ব্যস্ত ছিলেন বোধহয়, এইজন্য স্কাইপি আসতে পারে নাই।

নিজামুল হক নাসিম : আইজকে তো... আচ্ছা দেখা যাক, সাঈদী এবং গোলাম আযম কেসই তো আগাচ্ছি। আহমদ জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ, ওই যে দুই নাম্বারের চক্করটা। এটা বুঝার জন্য আলোচনা কালকে রাত্রে হওয়ার কথা ছিল। আমি ধারণা করছিলাম হয়তোবা আজকে হবে। দেখা যাক, আমি মনে করি এইটা যে, দুই-তিনটা স্ট্র্যাটিজি হতে হবে।

একটা হচ্ছে যে, একটা অলরেডি মেসেজ দেওয়া হইছে আর কি...। আইনমন্ত্রীকে দেয়া হইছে। মানে দেওয়ার কথা আজকে মেসেজ পৌঁছানোর কথা আছে। নিজামুল হক নাসিম : মেসেজ দেলে কি কাজ হইবে..., মেসেজে? আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা জানি না। কিন্তু এটা তো দিতে হবে।

একদিক থেকে শুরু করতে হবে আরকি। এটা উনাকে মেসেজটা দেওয়া হচ্ছে যে একটা, ইয়েটা-ডিসিশনটা হবে দুই বছরে। মানে এটা একটা কাইন্ড অব পলিসি ডিসিশনের পার্ট হিসাবে হবে। যে, কোনো কেসটা আগে যাচ্ছে? অ্যাটলিস্ট প্রথম কেসটা। সেকেন্ড হচ্ছে যে, না হলে এটা একদম উপরে যেতে হবে।

কারণ এখানে গুড রিজন আছে। যে, সবচেয়ে বেশি যার দায়বদ্ধতা—বেশি, যেটা সবচেয়ে বেশি সিগনিফিকেন্ট পলিটিক্যালি অ্যান্ড আদারওয়াইজ, সেগুলো তো আগে অ্যাড্রেস করতে হবে। বিশেষ করে রেসপনসিবিলিটির দিক থেকে। এটার রিয়েল এরিয়াতেও সিগনিফিকেন্ট এবং পলিটিক্যাল কনটেক্সটেও সিগনিফিকেন্ট। যে বড়গুলারে বাদ দিয়া ছোটগুলারে আগে নিয়া আসার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

এটা প্রথম থাইকা এই সমস্যাটা ছিল। কিন্তু এখন এইটা যে পর্যায়ে আসছে, এটাকে ওভারকাম করা যেতে পারে, যদি মন্ত্রীর একটা সিদ্ধান্ত হয়। এখন পর্যন্ত ১২টা সাক্ষী এই সেন্সে বাকি আছে। আর ওইখানে যে কেসটা নিয়ে কথা হচ্ছে, একজাক্টলি সেই কেসটা কী অবস্থায় আছে, সেটা আমি জানি না। কয়টা সাক্ষী ডি ডব্লিউ চলতেছে... ডিডব্লিউই তো চলতেছে ওদের ওইখানে, তাই না? নিজামুল হক নাসিম : না, ডি ডব্লিউ শুরু হয় নাই।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই কেইসে ডিডব্লিও শুরু হয় নাই এখনও? নিজামুল হক নাসিম : না। আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে তারা অনেক বেশি... না কাছাকাছিই তো এগিয়ে আছে বলা যেতে পারে। নাকি না ? নিজামুল হক নাসিম : হ্যা.. হ্যা... হ্যা...। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার ডি ডব্লিউ শুরু হইতে... ওইটার ব্যপারে আপনার কি কোনো ধারণা আছে? ঠিক আছে...। আজকে আমি জিজ্ঞাসা করব।

নিজামুল হক নাসিম : না... না... আমার ধারণা নাই। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার প্রসিকিউটিং ল’ইয়ার কে? নিজামুল হক নাসিম : তা-ও আমি জানি না। আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইগুলাই জিজ্ঞাসা করে নিব আজকে, যদি কথা হয়। আর আমাদের আরেকটা লিস্টও করতে হবে। আসলে কে কে হেল্প করতেছে, কে প্রসিকিউটার, মানে লিড প্রসিকিউটার, এই আর কি।

কাদের মোল্লার মামলাটা... এটা বোধহয় তারেক। নিজামুল হক নাসিম : না, তারেক না। তারেক দেখে কামারুজ্জামান। সে মামলা ঢিল দেছে...। আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে, এটা অন্য কেউ দেখে তাহলে।

এটা একটা সিনক্রোনাইজ একটা ডিসিশনটা হতে হবে, এই জিনিসটা বুঝাতে হবে যদি...। নিজামুল হক নাসিম : শোনেন, আমি একটা জিনিস মনে করি। যেডা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সম্ভব হইলে গোলাম আযম ফার্স্ট, সাঈদী সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ড। আর যদি তা প্রবলেম হয়, তাইলে সাঈদী ফার্স্ট, গোলাম আযম সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ডই থাক। কেননা সাঈদীর কেসটা ডিফারেন্ট।

এই সাঈদীর কেসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশি না। এডা আমাদের দেশি দরবারের মতোই। গোলাম আযম হইলো সেটেলমেন্ট অব ল’ হয়ে যাবে এবং... আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাইট। নিজামুল হক নাসিম : এই গোলাম আযম হইলো টিম লিডার। সাঈদী সাইড ট্র্যাক।

সাঈদীর লগে আপনার লিডার-টিডারশিপের কোনো প্রশ্ন আসতেছে না। গোলম আযমের রায়ের পরে আপনার নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান—সবগুলা রায় হইতে পারে, এর পরে। কিন্তু গোলাম আযম ফাস্টে। ওই গ্রুপের থেকে একমাত্র সাঈদী, সাকা এরা বায়রায় (বাইরে)। সাকারে তো আমি থামাইয়াই দিছি।

সাঈদীরে থামাচ্ছি না। কারণ, সাঈদী প্রায় শেষ। এইটা যদি উনাদেরকে বইল্লা... এইডা ওনাদেরকে (ট্রাইব্যুনাল-২) হায়ার লেভেল থেইকা বইল্লা, থামায়া দিতে হবে যে, আপনি কাদের মোল্লারে ঢিল দেন। ঢিল দিয়া বাকিগুলারে সামনে আগান। কেননা, ওই যে অ্যাবসেন্ট যে আছে, ওর নাম জানি কী...? ও বাচ্চু, হ্যারে দিয়া শুরু করেন।

আরেকজনরে নিয়া আগান সামনে। এরপর আপনার, পর পর ৩-৪টা রায় দিয়া দেন, অসুবিধা নাই কোনো। বাট আফটার গোলাম আযম। নট বিফোর দ্যাট। আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, এটা আপনি যেটা বললেন, সেটা ঠিক।

আবার লিগ্যাল অ্যাঙ্গেল থেকেও এটা ঠিকই যে, সাঈদীরটা লিডারশিপে বা অফ ল’ ইনভলবমেন্ট নাই। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, বাইরের ওয়ার্ল্ডে অর্থাত্ আউটসাইড দ্য কোর্ট রুম...। নিজামুল হক নাসিম : তারা চাইবে গোলাম আযমের রায়। আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটা হচ্ছে ইম্পরটেম্লট। সেই অডিয়েন্সটা আছে।

আর সেকেন্ড হচ্ছে খুবই ইম্পরটেম্লট... । যদি, সাঈদী যদি প্রথম হইয়া যায়, তাইলে এইটা কিন্তু হিস্টোরিক। মানে ইট উইল নট হিস্টোরিক অ্যানিথিং। মানুষের প্রত্যাশাটা থাকবে হচ্ছে এ্যাঁ এ্যাঁ......। নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযমের দিকে।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : সকল দিক বিবেচনা করে বড়টার রায়...। নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... শিওর। আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই সেইটাকে ওইভাবেই টিউন করে নিতে হবে। এখন হয়তোবা পরের দিন জাজমেন্ট দিলেন বা এক সপ্তাহ পরে জাজমেন্ট দিলেন, কোনো অসুবিধা নাই। মানে ডিসিশন এরা পরে দেক, কোনো অসুবিধা নাই।

কিন্তু পরে হতে হবে। নিজামুল হক নাসিম : এডা আমি একমত আপনার লগে। এরা চাপে কেবল... গোলাম আযম শেষ করতে গেলে...। কেননা গোলাম আযম এখনও আইও চলতেছে, তারপর ডিফেন্স উইটনেস হবে। তারপরও এইডা আপনার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির আগে হবে না।

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি লাগবে শেষ করতে। এই পর্যন্ত গভর্নমেন্ট ওয়েট করবে না। গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরডা হলে আমি ডিসেম্বরে রায় দেতে পারব। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া।

তারা একটা রায় চায়। আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ..., না মানে.., কিন্তু আরেকটা, তাদের সাথে তো কোনো কথা হইতেছে না। সাঈদীরটা আগে রায়ের মধ্যে সিগনিফিকেন্সটা কী? তারা তো শুধু একচোখা হিসাবেই আগাইতেছে, বা তারা পেনিকড হইতেছে। এখানে পেনিক তো হওয়ার কিছু নাই। নিজামুল হক নাসিম : তারা গেছে পাগল হইয়া মোটমাট, আমি আপনারে বলতেছি।

একটা জাজমেন্ট না পাইলে ১৬ই ডিসেম্বর... ১৬ই ডিসেম্বর কইরা ডাহাডাহি করতেছে। এটা কোনো অর্থ হয় না। তারা একটা জাজমেন্ট চাচ্ছে, সোজা হিসাব। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত তো এর আগেরবারেও ছিল। নিজামুল হক নাসিম :সে ব্যাপারে সাঈদী আগাইয়া আছে, সাঈদীর রায়ডা হইয়া গেলে গভর্নমেন্ট ঠাণ্ডা হইত।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরে ভূত কিন্তু, এটা নুতন ভূত না। নিজামুল হক নাসিম : ডিসেম্বরের আগে না, ডিসেম্বরে হইতে পারে সাঈদীরডা। আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত করতে করতেই তো সমস্ত বিপদে ফেলতেছে আরকি। নিজামুল হক নাসিম : সব, আর শুরু হইছে তো গোলাম আযম ছয় নাম্বরে। সাঈদী এক, সাকা দুই, নিজামী তিন, কাদের মোল্লা চাইর, কামারুজ্জামান পাঁচ।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : তদন্ত সংস্থা তো ওইখানেই প্রবলেমটা করেছে। নিজামুল হক নাসিম : তাইলে এইডা করবেন কী আপনি? আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়েল, এইটা যদি হয়ে যায়, তাইলে তো আর অসুবিধা নাই। নিজামুল হক নাসিম: তারা তো বাই হুক-অর বাই ক্রুক, এইটা ঠেকাইবে সবাই এবং আমরাও তো তাল পাচ্ছি না। কারণ সাঈদীর সাক্ষী কমে যাচ্ছে। আমি তাকে ফিরিয়ে দিব কীভাবে... ডিফেন্স উইটনেস! সাঈদী তো প্রায় শেষ।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : না না ডিফেন্স উইটনেস তো আর ফেরানো যাবে না। নিজামুল হক নাসিম : সাঈদী তো প্রায় শেষ। ঈদের আগে তাদের সাক্ষী শেষ হয়া যাবে আশা করতেছি। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঈদের আগে কি তার সাক্ষী, ডি ডব্লিউ শেষ হয়া যাবে? নিজামুল হক নাসিম: হ্যাঁ শেষ হয়া যাবে। আর গোলাম আযমের কেইসে তারা দুই সপ্তাহ সময় চাইছে, সাক্ষীর নাম দেওয়ার জন্য।

সেইডা আমি রিজেক্ট কইরা বলছি, কালকে পাঁচটা দিবেন, পরশু সাতটা দিবেন, এইডা লাস্ট চান্স। বললাম আমি। কিন্তু, তারা দেল না, তাইলে কী করবেন আপনে। আমি যদি স্টপ কইরা দেই, তাইলেও তো হইচই হবে যে, সাক্ষীর নামই জমা দিতে দেয় নাই। টাইম চাইছে টাইম দিতা...।

তখন গভর্নমেন্ট কইবে, তুমি টাইম দেতা, খমাহা (খামোখা) তাদেরকে আরেকটা পয়েন্ট, তাগো পক্ষে যোগ করাইলা... আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু এরা তো আসলে কাউন্টার-এনকাউন্টার। নিজামুল হক নাসিম : তাই তো। আহমদ জিয়াউদ্দিন : এজন্যই তো প্রবলেমটা। যে, আইসিটি যে যতগুলা কাজ করছে...। নিজামুল হক নাসিম : এ গভর্নমেন্টই তো তহন আমারে কইবে, তুমি টাইম দিতা।

তুমি একদিন সময় তাগো দেতা, দিয়া রাখতা হেগো কোর্টে। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। দেখেন আপনি ওইভাবে। দেখা যাক এই... এইটা কতদূর আগানো যায়। নিজামুল হক নাসিম : আমার প্ল্যান হইলো, ল’ সেটেল হইবে গোলাম আযমের কেইসে, এইডা ঠিক।

সাঈদীর কেইসে কোনো ল’ সেটল হইবে না। নরমাল একটা জাজমেন্ট দিয়া, নরমাল না সেডা ভালো জাজমেন্ট ইনশাল্লাহ হবে। তবুও যা হয় হবে, সেডা ভিন্ন কথা। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফার্স্ট কেস তো...! ফার্স্ট কেইসের একটা সিগনিফিকেন্ট আছে। এবং ফার্স্ট কেইসের জাজমেন্টটা একটা ফরম্যাটের মধ্যে আসবে।

নিজামুল হক নাসিম : সে তো বটেই। আহমদ জিয়াউদ্দিন :এবং পরবর্তীগুলাও ‘মোর অর লেস’ ওই একই ফরম্যাটের উপরে হবে। ভিন্ন ভিন্ন জিনিস হবে। কিন্তু, ফরম্যাটিংটা ঠিকই থাকবে। আর এইটাকে ছোট কেস হিসাবে দেখার কোনো স্কোপই নাই, যেহেতু এইটা আইসিটির কেস।

আইসিটির প্রত্যেকটা কেসই সিগনিফিকেন্ট। আর এইটা এইভাবেই দিতে হবে। কারণ এটা ন্যাশনালি এবং ইন্টারন্যাশনালি স্ক্রুটিনাইজ হবে। নিজামুল হক নাসিম : আর আমি এমন টেকনিক শুরু করছি যে, আমি সাকার কেস রাখি না, টাইম দিয়া দেই। আপনার নিজামী রাখি না।

যদি সাঈদীরে বাধা দেতে চায় তাইলে গোলাম আযম চলবে। গোলাম আযমরে বাধা দিলে, সাঈদী চলবে। যার ফলে ওরা... আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... ঠিকই আছে। এটাই আপনার ফার্স্ট ট্র্যাকে থাকতে হবে। ডান-বাম সব চালাইয়া যেতে হবে।

নিজামুল হক নাসিম :আমি তো সুযোগ দিচ্ছি তাদের। তারা বলে যে, এইডা অ্যাডজর্নমেন্ট দেন ওইডা শুরু করেন। এই সুযোগই দিচ্ছি না আমি, এ দুইডার মধ্যে একটা আরম্ভ করতে হইবে। কেস করতে হইবে তোমার, কোনডা করবা কও। যেডা করবা, যেডার সাক্ষী আছে হেইডাই নিব।

বল, কোনডা করবা। হা... হা....হা .... আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হি... হি... নিজামুল হক নাসিম : আইদার সাঈদী অর গোলাম আযম—এই দুইডার কোনো অ্যাডজর্নমেন্ট হবে না, এডাও বলে দিছি। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভেরি গুড। নিজামুল হক নাসিম : আমি আজকে এডাও বলছি, যেদিন ক্রস আইওর শেষ হবে, সঙ্গে সঙ্গে ডিফেন্স উইটনেস শুরু হয়ে যাবে। এটা বলে দিলাম আপনাদের।

বি রেডি ফর দ্যাট। উইদাউট অ্যানি গ্যাপ, উইদাউট অ্যানি অ্যাডজর্নমেন্ট, ইমিডিয়েটলি আফটার অ্যান্ড অফকর্স একজামিনেশন অব আইও, দ্য ডিফেন্স উইটনেস উইল বি স্টার্টেড। ওরা খুশি মনে নেয় নাই, কিন্তু শোনতে হইছে ওদেরকে। আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... এর মধ্যে তো কোনো অন্যায় নাই। নিজামুল হক নাসিম : সোজা হিসাব।

আরো শুনার আছে আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদীর জাজমেন্টের একটা রাফ স্কেচ তৈরি করা হইছে। স্ট্রাকচারটা কী হতে পারে হয়তোবা কাল আমি স্ট্রাকচারটা আপনাকে পাঠাব। জাস্ট টু দেখার জন্য। এটাকে আমরা রিয়েলি, এই স্ট্রাকাচরটা এমনভাবে করছি আমরা, তাতে খুব বেশি কষ্ট হবে না আপনার। আমাদের কিন্তু এমন করতে হবে, যেটা আমাদের দেশের কিছু টুকু থাকে।

কিন্তু, এইটার স্ট্যান্ডার্ডটা, মানে অন্যরা যেন এইটা ফিল করে। আমাদের মেইন টার্গেট যদিও ডিসিশনের ক্ষেত্রে, মেইন টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু, এটার যে ক্রিটিক্যাল অ্যাঙ্গেলে যেটা দেখবে, সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ওইভাবে দেখবে না। তো, এই জাজমেন্টটা কীভাবে ওয়ার্ডেড হচ্ছে, কীভাবে স্ট্রাকচার্ড হইছে, কীভাবে ফ্রেইম হইছে...। আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি কি জানতেন? ও জহির সাহেব ইয়ে করতেছে।

উনি কিছু বলছেন টলছেন আপনাকে? নিজামুল হক নাসিম : না না না, উনি ফাস্ট হাফে আমার লগে কোর্ট করছেন। কোর্ট কইরা নামছেন নিচে। নামার পরে উনি পট কইরা দশ মিনিট পর ফোন কইরা বলল, স্যার, আমি একটু ইমারজেন্সি...। আমি আসতেছি, স্যার। এই কথা কইয়া চইলা গেল।

তখন নাকি তারে ল’ মিনিস্টার ডাকাইয়া সেক্রেটারিয়েট নিছে। সে আইসা আমারে বলে, ‘আই এম নো মোর ইয়োর মেম্বার’। আমি কই মানে! কী বলছেন আপনে? উনি বললেন, আপনি কোর্টে উঠেন...। আপনার লগে দেখা করে যাব। তবে আমি কোর্টে উঠবো না, উঠতে পারতেছি না আমি।

শ্যাষে আমি কোর্টে উঠলাম। কোর্ট সাইরা চারডার সময় দেখা করল। তখন আমাকে বলল যে, এ রকম ডাকাইল... ডাকাই নিয়া বলল যে, রিজাইন করেন। রিজাইন করলাম... রিজাইন দিয়ে আসলাম। আর আজকে স্বীকার পাইছেন উনি যে, পরশু দিন রাতরে উনারে মন্ত্রী ডাকাইছিলেন বাসায়।

নিজামুল হক নাসিম : আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইসা চিফ জাস্টিসের রিকোমেন্ডেশন হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি।

যা-ই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা... স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে। তাঁর নাম হলো সোনা জাহাঙ্গীর। আহমদ জিয়াউদ্দিন : হেয়... হে য়ে, ও মাই গড! এইটা হইল কী কইরা! নিজামুল হক নাসিম : হেডা আমি জানি না।

আমার সঙ্গে ল’ মিনিস্টারের যে কথা, তাতে আওনের কথা বাবু । ল’ মিনিস্টার তাই বলছেন। কালকে চিফ জাস্টিসের লগে দেখা হইলো। কালকে উনি এমন কিছু বলেন নাই। এসব আলাপ করেন নাই।

উনি বলছেন যে, আপনাদের খুব সুনাম আছে এবং বায়রায় কোনো বদনাম নাই, এইটা মেইনটেন করতেছেন। এটা খুব ভালো। কোনো ধরনের বদনাম আপনাদের নাই। আইজকে দেখলাম যে নাম দিছে। এখন যাক, কী আর করার।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তো... তার মানে একটা করাপ্ট মানুষকে দেওয়া হইছে? নিজামুল হক নাসিম : অন্ততপক্ষে হি ওয়াজ করাপ্ট—এটা বলা যাইবে। আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরে এইটা কি এমন একটা জিনিস যে, কালকে ছিলেন করাপ্ট, আজকে ভদ্রলোক হয়া গেলেন? নিজামুল হক নাসিম : হা... হা... হা... হা...। যা-ই হোক, কী কমু আমি?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.