আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদার হিটলার, ভারতীয় জিন্নাহ,কমিউনিস্ট মুসোলিনি

আলুভাজা তাকেই বলে চিপস নাম যার। অ্যাডলফ হিটলার কালকে অ্যাডলফ হিটলারের যুবজীবন নিয়ে একটা লেখা পড়ছিলাম। উনি ১৯১০ নাগাদ ভিয়েনা্য় থাকাকালীন খুবই কষ্ট করে জীবন নির্বাহ করতেন, সে সময় ওনার বন্ধু বলতে ছিল অশি্ক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত কিছু জার্মান যুবক যারা তীব্র ইহুদি-বিদ্বেষী ছিল। আজকে হয়তো প্রায় সবারই অবাক লাগবে, কিন্তু পরবর্তীতে হলোকস্টের জনক হিটলার কিন্তু তখন বন্ধুমহলে খুব উদারমনস্ক হিসেবে হিসেবে পরিচিত ছিলেন, শুধু ইহুদি বলে কাউকে নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে দেখলে উনি তার বিরোধিতা করতেন, ইহুদি-বিদ্বেষী কাগজগুলিকেও সমালোচনা করতে ছাড়তেন না। কিন্তু পারিপার্শ্বিক কিছু ঘটনায় তিনি ক্রমশ ইহুদি বিদ্বেষী হয়ে পড়েন (মাইন কাম্ফ-এর ব্যাখ্যা ছাড়াও অনেক ঐতিহাসিক এসময় হিটলারের একটি ব্যর্থ প্রেমকে এর কারণ বলে অনেকসময় বলে থাকেন।

) পরবর্তী ঘটনা সবারই জানা। ইউরোপের ৯০ লাখ ইহুদির মধ্যে ৬৫ লাখ শেষ। আমার আজও জানতে ইচ্ছা করে যে বা যাদের জন্য হিটলার এরকম চরমপন্থী হয়ে উঠেছিলেন তারা কি হলোকস্টের বীভৎসতা দেখে যেতে পেরেছিল? মহম্মদ আলি জিন্নাহ: জিন্নাহ প্রথম জীবনে সেকুলার মুসলিম নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন, এমনকি খিলাফত আন্দোলনে তিনি সমর্থনও করেননি। গান্ধীজির সাথে মতপার্থক্যের পর তিনি ভারত ছেড়ে যখন বিলেতে থাকা শুরু করলেন তখনও পাকিস্তান প্রস্তাব নিয়ে আসা কয়েকটি যুবককে তিনি কড়া ভাষায় ধমকেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার মাত্র ৫ বছর পরেই লাহোর অধিবেশন থেকে যে মানুষটি পাকিস্থানের দাবিতে সরব হলেন তার নাম মহম্মদ আলি জিন্না।

দেশভাগ এল তাঁরই হাত ধরে। আমার সত্যিই অবাক লাগে ভাবতে যে জিন্নার মত একজন মানুষ একটি থিওক্র্যাসী প্রতিষ্ঠা করলেন, যাঁর জীবনযাত্রা দেখলে সামুর নেট-মৌলবীরা তাঁকে যথার্থ মুসলিম বলে স্বীকার করবেন কিনা তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। বেনিটো মুসোলিনি: ইটালির ভবিষ্যত নেতা, যে উপাধি আজও বাকস্বাধীনতা ,সাম্য আর প্রেস স্বাধীনতার হরণকারীদের দেওয়া হয় সেই ফ্যাসিজমের উদ্গাতা মুসোলিনি নিজে প্রথম জীবনে প্রেসের স্বাধীনতা নিয়ে লেখার জন্য বিখ্যাত ছিলেন ,ইটালির কমিউনিস্ট পার্টির বড়মাপের নেতাও ছিলেন। তাঁর বাবাও ছিলেন পাঁড় কমিউনিস্ট। পরবর্তীতে যুদ্ধবাজ এই নেতা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইটালির অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে বিরাট বিরাট সম্পাদকীয় লিখতেন।

আশ্চর্য, তাই না? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.