চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
তুরস্কে একটি আদালত গতমাসে একজন প্রফেসরকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ মাসের জেল দেয়। তার দোষ ছিল তিনি কামাল আতাতুর্কে অপমান করেছিলেন। গাজী ইউনিভারসিটির আতিল্লা ইয়ালাকে এই দন্ড দেয়া হয়।
তুরস্কে কামাল আতাতুর্ককে অপমান করা একটি দন্ডনীয় অপরাধ, যিনি কিনা সেক্যুলার তুরস্কের জন্মদাতা।
২০০৬ সালে দেয়া এক স্পীচে আতিল্লা ইয়ালা বলেছিলেন যে কামাল আতাতুর্ক একদলীয় যে শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিলেন তা প্রগতিশীল ছিল না।
তিনি আরে বলেছিলেন শুধুমাত্র কামাল আতাতুর্কের অসংখ্য মুর্তি আর অফিসগুলোর দেয়ালে টাংগানো তার ছবিগুলো ইউরোপনীয়দের কাছে দুর্বোধ্য মনে হবে।
তিনি আরো বলেন তুরস্ককে সভ্য হতে হলে কামাল আতাতুর্কের সমালোচনা আর মুল্যায়নের মত মুক্তচিন্তা চর্চার অধিকার দিতে হবে।
এছাড়া ইউটিউবকেও তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয় এইজন্য যে এতে কামাল আতাতুর্কের জন্য অপমানজনক প্রচারনা চালানো হয়।
আমাদের এই ব্লগে অতি বিদ্যান সেক্যুলারগন আমাদের ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বদের অসম্মান করে বিভিন্ন পোষ্ট দেন মুক্তচিন্তার অজুহাত দেখিয়ে। অথচ তাদের সমমনারা তুরস্কে কিভাবে মুক্তচিন্তা আর বাকস্বাধীনতাকে স্তব্দ করে রেখেছেন তা সহজেই বোধগম্য।
মহান এক শ্রষ্টার পরিবর্তে নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছেন এক ব্যক্তি পুজায়।
তথাকথিত তুরস্কের এই সেক্যুলারদের প্রধান অবলম্বন তুরস্কের সেনাবাহিনীও বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করে থাকে। বিভিন্ন কন্টাক্ট হাতিয়ে নেয়া থেকে শুরু করে অবসরকালীন বিশেষ সুবিধাদি ভোগ করে এই সেক্যুলার সেনাবাহিনী।
তাই ব্লগে সেক্যুলাররা নিজেদের একটা মহান উদার চেহারা ফুটিয়ে তোলার যে চেষ্টা অনবরত করে থাকেন তাতে কিন্তু প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।