আমি কেবলই আমার মতো যারা রাজনৈতিক দর্শন বিশ্বাসে ভিন্নমতাবলম্বী তাদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক দর্শনের ভালমন্দ নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা বা বিতর্কের কিছু নেই। কেননা, এই বিতর্কের কোন শেষ নেই। কথা হতে পারে কেবল রাষ্ট্র পরিচালনার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। উপরন্তু যাঁদের বয়স ২৫ পেরিয়ে গেছে এবং একটি রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস স্থাপন করে ফেলেছে তাঁদেরকে ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি আস্থাশীল হওয়ার ন্যুনতম কোন সুযোগ নেই। বয়স ২৫ পেরুবার পরে কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থজনিত কারনেই দল বদলের ঘটনা ঘটে এবং অনাদর্শিক রাজনৈতিক সুপ্ত বাসনা যাঁদের ভিতরে লুক্কায়িত থাকে তাঁদের পক্ষেই কেবল দল বদল সম্ভব হয়।
অবশ্য দল নিজেই যদি লক্ষ্যহীন ও আদর্শহীন পথে চলতে শুরু করে তাহলেও আদর্শবান কর্মীর সম্মুখে দল বদলের যৌক্তিক ও আদর্শিক কারন উপস্থিত হয়। এক্ষেত্রে অপর দলটিকেও উন্নততর আদর্শিক হওয়া বাঞ্চনীয়। এছাড়া নিশ্চুপ থাকা উচিৎ। তবে এক্ষেত্রে আমি মনে করি, তৃতীয় বিশ্বের সকল দেশেই যেসব কর্মীরা গণতান্ত্রিক কোন দলে একবার নাম লিখিয়েছে তাঁদের আজীবন সেই দলের কর্মী হয়ে থাকাই বাস্তবসম্মত কাজ।
যারা আদর্শহীন জীবন পার করে সবকিছু অর্জন করতে চায় তাঁদের উদ্দেশ্যে বেশি কিছু বলার নেই।
শুধু এটুকু বলে রাখি যে, একদিন কর্মহীন ও কর্মজীবন সাঙ্গ হবে। দেহ মাটিতে মিশে যাবে। আত্মার প্রস্থান হবে। এই বাস্তবতায় বর্তমান পৃথিবীর চারপাশ দেখে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কোনরুপ পদচিহ্ন, কর্মচিহ্ন, স্মৃতিচিহ্ন, এমন কি রক্তচিহ্নও না থাকলেই ভালো। এই যে কিছু একটা চিহ্ন রেখে যাওয়ার বাতিক মানুষের মধ্যে দেখতে পাই, এটা ক্রমেই মানুষকে আগ্রাসী করতে তুলছে।
অমানুষ করে তুলছে। কেননা এক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বের মানুষ মূলত যেকোন উপায়ে টাকা কামাই, যশ ও খ্যাতির চুড়ায় আরোহন এসবকে প্রধান কর্ম জ্ঞান করছে। অথচ এরা জানেনা যে, যে কোন উপায়ে আহরিত 'কোনকিছু' কেবল 'পরপারে' চলে যাওয়া 'আত্মার' কষ্টই বৃদ্ধি করে। শান্তি দূর পরাহত। চলে যাওয়ার পরে গালি খাওয়ার চেয়ে যাতে কেউ গালি দেয়ার মতো কোন কিছুর অস্তিত্ব খুঁজে না পায় সেটাই ভাল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।