প্রবল ঘৃনাই মানুষকে ধ্বংস করে আবার প্রবল ঘৃনাই মানুষকে বাঁচায় বিরক্তি চেপে রাখতে না পেরে তুমি বারবারই জানতে চাইছিলে আমার অবস্থান, আর আমি তোমার কাছে যেতে হলে কোনমুখী বাসে উঠব তা জিজ্ঞেস করে প্রথমবারের মত তোমার মনে যে সর্বজয়ী আমি সত্ত্বার উপস্থিতি ছিল তাকে টলিয়ে দিলাম। তুমি বারবার বলা সত্ত্বেও আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না তোমার নির্দেশনা। তুমি পুনঃ পুনঃ বলছিলে, তিন নং বাসে উঠে কাজীর দেউড়ীতে নেমে তোমাকে ফোন করলেই তুমি হাজির হয়ে যাবে ঠিক আমার সামনে। তোমাকে আমার খুঁজে বের করার প্রয়োজন নেই, তুমিই বরং আমাকে খুঁজে বের করবে। তা সত্ত্বেও আমি বাসে উঠছিলাম না রাস্তার কোন প্রান্তে তোমার অবস্থান তা বুঝতে না পেরে।
তুমি প্রতি মিনিটেই আমার অবস্থান জানতে চাইছিলে, এর জবাবে আমি যতবারই বলছিলাম এখনো বাসে উঠিনি, আগের জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে, ততবারই যেন তোমার সামনে আমার মুখোশ খুলে খুলে পড়ছিল।
সামান্য ষোলশহর থেকে কাজীর দেউড়ী আসার যোগ্যতা রাখেনা একটা ছেলে এটা কতইনা বিস্ময়ের হয়ে এসেছিল তোমার কাছে। বিস্ময় বৈকি। তুমি তোমার মত করেই ভাবছিলে, কারন এই শহরে বেড়ে উঠা তুমি প্রতিদিন যেমন দু'বেলা আহার কর তেমনি নিয়মিত এই পথটুকু পাড়ি দাও ,তাই কারো এপথটুকু না চেনা তোমার কাছে অষ্টম আশ্চর্য লাগছে। তুমি মফস্বলে বড় হওয়া এবং প্রথমবারের মত শহরে আসা কারো কাছে যে এ দুরত্বটুকু বাস্তবের চেয়ে অনেক বেশি এ সত্যটি বুঝতে চাওনি।
আমার অসহায়ত্ব দেখে আমার সম্পর্কে তোমার ভাবনাগুলো সম্পূর্ন বিপরীত দিকে মোড় নিতে শুরু করল এবং পরবর্তীতে এ ভাবনাগুলোই বেড়ে উঠল লকলকিয়ে।
শেষ পর্যন্ত তুমি হুমকি দিলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমি পৌঁছতে না পারলে তুমি বাড়ি ফিরে যাবে, তোমার পক্ষে আর কাঠফাটা রৌদ্রে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছেনা। মরিয়া আমি তখন আর উপায় খুঁজে না পেয়ে অথবা গেঁয়ো ভুত প্রমানিত হবার লজ্জা থেকে বাঁচতে অথবা শহুরে জীবনস্রোতে গা ভাসাতে ব্যর্থ হয়ে রিকসায় উঠলাম। অথবা এমনও হতে পারে যে আমি ভেবেছিলাম বাসে উঠলে যদি ঠিক জায়গায় নামতে না পারি তারচেয়ে রিকসাটাই বেশি নিরাপদ।
পৌঁছে তোমাকে ফোন করতেই তুমি বললে পার্কের গেটে আসতে।
পার্ক না চেনা আমি যেইনা জিজ্ঞেস করলাম পার্কটা কোথায় তেমনি তুমি কাজীর দেউড়ীর ছোট্ট পরিসরে পার্কটা খুঁজে পাচ্ছিনা কেন ভেবে আশ্চর্য হলে। হয়তো এই প্রথমবার নিজেকে প্রশ্ন করলে, সত্যিই কি আমি তাকে ভালোবেসেছি ? পার্কের সামনে এসে তোমাকে বলতেই তুমি বললে তুমি অন্যপাশের গেটে আছ, আমি যেন সেই গেটে যাই। আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। যেহেতু আমি সেই গেট চিনিনা তোমাকে উল্টো বললাম আমি যেখানে আছি সেখানে চলে আসতে।
কিছুক্ষন পরেই দেখলাম একটি মেয়ে আসছে।
মোটামুটি সুন্দরী, লাল ফতুয়া, কাঁধ ঢাকা চুল আর মোহনীয় হাঁটার ভঙ্গিমায় নজরকাড়ার মত। আমার মাথায় মুহূর্তে খেলে গেলো তোমার নিজের দেয়া বর্ণনাগুলো। তুমি মোটামুটি লম্বা, বেশি মোটা নয়, চুল কাঁধ পর্যন্ত। তোমার নিজের দেয়া বর্ননার সাথে কোন মিল না থাকার পরও ভাবলাম এই তুমি। পরক্ষনেই ভাবলাম, আমি যা ভাবি তা কখনোই হয়না তাই ভাবার চেষ্টা করলাম এটা তুমি নও।
কিন্তু ঐ যে আগে ভেবে ফেলেছিলাম এটাই তুমি তাই সেই মেয়েটি অতিকায় এক দীর্ঘশ্বাস হয়ে আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। পরক্ষনেই দেখলাম আর একটি মেয়ে আসছে। ভীত হরিনীর দৃষ্টি, উশকো খুশকো চুল, সেকেলে মেয়েদের কায়দায় বিশাল এক ভ্যানিটি ব্যাগ কাঁধে নয় হাতে ঝুলানো আর ঢলঢলে থ্রী-পিছ পরা। ভাবলাম এ তুমি হতেই পারোনা। তোমার বর্ননা শুনে যে তোমাকে আমি মনে মনে দাঁড় করিয়েছি সে তুমি এমন নও।
তাই অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ দেখলাম মেয়েটি আমার একটু দুরে দাঁড়িয়ে পড়ল তারপর মোবাইল বের করে কাকে যেন কল করল। মনে মনে আঁতকে উঠলাম। সৃষ্টিকর্তার কাছে বললাম, হে খোদা, এ যেন সে না হয়। তোমার একটাই অপরাধ, তুমি যথেষ্ট সুন্দরী ছিলেনা।
তোমাকে সুন্দরী বলার মত মিথ্যাচার আমি করতে পারিনা, বলতে পারলে আমার চেয়ে বেশি খুশি কেউ হতনা।
সৃষ্টিকর্তা আমার কথা শুনলেন না, তিনি তো আর বোকা নন যে আমার কথা শুনবেন ! আর আমি যা ভাবি তা তো কখনোই ঘটেনা সুতরাং আমার মোবাইল বেজে উঠল। আমি প্রশ্নের দৃষ্টিতে পেছনে ফিরে তাকালাম তোমার দিকে। তোমার চোখেও তখন প্রশ্নের বান। আমার দিকে ফিরে মনে মনে হয়তো ভাবছিলে, এই কি সেই উজবুকটা যে আমাকে সকাল থেকে বিরক্ত করে ছেড়েছে! চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছে কাছে গিয়ে ঘ্রাণ নিলে দুধের গন্ধ পাওয়া যাবে এখনও।
ছাগলের মত আবার থুতনির নিচে দু'তিন খানা দাঁড়িও দেখা যাচ্ছে । ফকিরের মত কি একটা শার্ট পরেছে, এর থেকে ভালো কোনো শার্ট কি এর নেই ? হাতে কি ওটা ? অতঃপর বলেই ফেললে, আপনি দীপ্র ? ভেবেছিলাম কারও সাথে দেখা করতে যাচ্ছি যে কিনা আমার প্রিয়াও হতে পারে, কতইনা মজার হবে সাক্ষাৎপর্বটি, কত কথা হবে, খুনসুটি হবে, চোখে চোখে কথা হবে, হাতে হাত রাখা হবে। কিসের কি ! তুমিই জড়সড় হয়ে থাকলে আর আমার কথাতো বলারই অপেক্ষা রাখেনা। পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভাইভা বোর্ডেও আমি এর চেয়ে বেশি উৎফুল্ল থাকি। কোনো মতে মাথা নেড়ে বোঝাতে সক্ষম হলাম আমিই সে।
বললে এত দেরি কেন? আমিতো আরেকটু হলেই চলে যেতাম। দায়সারা গোছের কি যেন বললাম কাষ্ঠ হাসি হেসে যাতে প্রমান হয়ে গেল আমি আদতে গ্রাম্যভুত। তারপর কোনদিকে যে হাঁটা শুরু করলে আমার সম্মতির তোয়াক্কা না করেই। কি আর করা? আমি তোমাকে অনুসরন করলাম কিন্টার গার্ডেনে প্রথমদিন যাওয়া শিশুর মত যে এখনও মা ছাড়া কিছু করায় অভ্যস্থ হতে পারেনি। "জিয়া স্মৃতি জাদুঘর"-এ গিয়ে ঢুকলে টিকিট কেটে।
আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না তোমার কাজকারবার। তুমি হয়তো কি করবে বুঝতে না পেরে হয়তোবা নার্ভাসনেস কাটাতে হয়তোবা একই স্থানে প্রেমিকের সাথে প্রথম দেখা করা কোন বান্ধবীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমার সাথে দেখা করতে ঐ জায়গাটা বেছে নিলে। টুকটাক কথা যাও হচ্ছিল তাতে কেউই নিজেদের সংকীর্নতা অতিক্রম করে অন্যের মুখপানে তাকাচ্ছিলাম না পাছে বিব্রত হতে হয়। সেখানে সময় মোটেই কাটছেনা বলে বেরিয়ে এসে সামনের পার্কে ঢুকলাম। টিকিট কেটে ভেতরে ঢোকার জন্য তুমিই উল্টো আমার দায়িত্ব নিলে।
এ কি ? তুমি আমায় এ কোথায় নিয়ে এলে ? বুঝলাম, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে যারা প্রেম সাগরে হাবুডুবু খেতে চায় এ তাদের তীর্থস্থান। নিজেকে আমার সেখানে মঙ্গল গ্রহ থেকে হঠাৎ এসে পৃথিবীর তাল-লয় খুঁজে না পাওয়া কোন এলিয়েন মনে হচ্ছিল। দু'জন বসার জন্য ফাঁকা কোন জায়গাই অবশিষ্ট ছিলনা। খুঁজে পেতে এক জামতলায় বসে শুরু হল আমাদের ভালোবাসাবাসির মহড়া যা কিছুক্ষন পরপরই আসা আইসক্রিমওয়ালা, বাদামওয়ালা আর চটপটিওয়ালার জ্বালাতনে মোটেই জমতে পারছিল না। সেই সাথে অন্যদের চোরা চোখের দৃষ্টি তো ছিলই যার সাথে আমার সেদিনই প্রথম পরিচয়।
সবার চোখে সেদিন দেখেছি সে স্থানের সাথে সম্পূর্ন বেমানান আমাদের দু'জনের প্রতি স্পষ্টতই তাচ্ছিলের ভাব যেন গার্মেন্টস থেকে ছুটি নিয়ে শহুরে প্রেম শিখতে আসা একজোড়া ক্লাউন, সবাই আমাদের দেখছে আর বিনা পয়সায় আনন্দ পাচ্ছে। আমার বেশ তেমনই ছিল, মলিন একটা সাদা হাফশার্ট, তিন বছর ধরে ব্যবহার করে জীর্ন করে ফেলা এক সস্তা গেবাডিন, মাসখানেক আগে ন্যাড়া হওয়া মাথায় ছোট ছোট চুল আর মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ হয়ে থুতনির পুরোটাও দখল করতে না পারা ফিনফিনে কটা দাঁড়ি। কোনোটাই সে পরিবেশের সাথে মানানসই নয়। তুমিও আহামরি কোন সুন্দরী ছিলেনা। তারচেয়ে বড় কথা, উগ্র কোন সাজ তোমার ছিলনা যা দেখে মনে হতে পারে তুমি এই লাইনে বেশ পুরনো।
বেশ সাদামাটা ছিলাম দু'জনেই, যার কারনে সবাই দু'একবার করে আমাদের দেখছিল, হয়তো সবাইকেই এভাবে দেখে তবে আমাদের দেখে অবাক যে হচ্ছিল এটা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি। কলেজের এক বান্ধবী আমার সাথে তোমাকে দেখে ফেলেছে বলে সংকুচিত তুমি আরও সংকুচিত হয়ে পড়লে। পরে এই ভেবে কিছুটা স্বাভাবিক হলে, তুমি যেমন তার কাছে ধরা পড়েছ তেমনি সেও তোমার কাছে ধরা পড়েছে কারন সেও এক ছেলের সঙ্গে প্রেম করবে বলেই পার্কে এসেছিল।
আমার সাথে দীর্ঘদিন কথা বলে কি করে যেন তোমার ধারনা হল আমি ধার্মিক তাই আমাকে আয়াতুল কুরসি লেখা একটা শো-পিস উপহার দিলে, বিনিময়ে আমি তোমাকে দিলাম গাঢ় নীল আর সাদার মিশেল দেয়া জর্জেটের একটি কাপড় যা দিয়ে অনায়াসে একটি কামিজ এবং ওড়না বানানো যাবে। আর হ্যাঁ, কাপড়ের মাপটা আমি জানতাম যেহেতু সেলাইয়ের দোকানে বসার অভিজ্ঞতা আমার ছিল।
লেনদেন শেষে অনেক কথাই হল আমাদের। শৈশব কৈশোর, আনন্দ-বেদনা, পছন্দ- অপছন্দ, মজার স্মৃতি, শখ, প্রিয় বন্ধুবান্ধবী কিছুই বাদ পড়ল না। তুমি অবাক হচ্ছিলে খুব আমার জীবনের ঘটনাবলি শুনে কারন মানুষটি আমি ছোটখাট হলেও জীবনটি আমার যথেষ্টই বর্নিল। তুমি যেসব ঘটনা শুনছিলে সেগুলো ছিল একজন জীবন্ত কিংবদন্তির কথা ফলে তুমি মুগ্ধ হচ্ছিলে কিন্তু তোমার সামনে কথক আমি ছিলাম খুবই সাদামাটা। চেহারা, বেশ, পোষাক কোনোটাই আমার হিরোর ছিলনা ফলে তুমি ক্রমান্বয়ে দ্বিধান্বিত হতে লাগলে।
একদিকে গল্পের আমি আর বাস্তবের আমির পার্থক্য অন্যদিকে হৃদয়ে অহর্নিশি বাজতে থাকা ভালোবাসার হাহাকার তোমাকে দিশেহারা করে ফেলল। সেই দুপুর থেকে বিকাল গড়ানোর সময় পর্যন্ত চলল আমাদের কথা। শেষদিকে তোমাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে তোমার কেমন মনে হল ? তুমি জবাব দিলে, আপনাকে যেমন ভেবেছিলাম আপনি তেমন নন। বললাম কেমন ভেবেছিলে আর কেমন দেখছ ? উত্তর দিলে, আপনার কথা শুনে আপনাকে অনেক সাহসী ভেবেছিলাম আসলে আপনি অনেক ভীতু। আর আপনি অনেক ছোট, আপনাকে আমি আরও বয়স্ক ভেবেছিলাম।
তোমার কথা শুনে আমি মোটেই অবাক হইনি সেদিন। দেখা হওয়ার পর আমার সম্পর্কে তোমার এমন প্রতিক্রিয়া হতে পারে সে আমি আগেই ভেবেছিলাম। এজন্যই পরিচয়ের প্রথমদিকে তোমাকে আমি নিভৃত করতে চাইতাম।
বিদায়ের ক্ষন ঘনিয়ে আসছিল বলে সারা দুপুর গল্পে গল্পে ক্লান্ত আমাকে তুমি নিয়ে গেলে খাওয়াতে। সেখানেও আমার আড়ষ্ঠতা কাটছিল না।
একটি ছেলে যেখানে একটি মেয়েকে আগলে রাখে সেখানে উল্টো তুমি আমাকে আগলে রাখলে। এমনকি খাবারের বিলটাও বরাবরের মত তুমিই দিলে।
সেকেলে, গ্রাম্য আমি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাজীর দেউড়ী পর্যন্ত আসতে অনেক দুর্ভোগ সয়েছিলাম সেটা তোমাকে না বললেও তুমি বুঝে নিয়েছিলে। তাই হয়তো ঠিকমতো ফিরতে পারবনা এই আশঙ্কায় রাস্তার কোথায় দাঁড়াতে হবে, কোনদিকগামী বাসে উঠতে হবে, কিভাবে উঠতে হবে, ভাড়া কত টাকা নেবে, এমনকি কোন পা দিয়ে বাস থেকে নামতে হবে সব বুঝিয়ে বললে যেভাবে প্রথমবার পরীক্ষা দিতে যাওয়া সন্তানকে মা ভুলের আশঙ্কায় বারবার করনীয় মনে করিয়ে দেন।
তোমার সাথে দেখা হবে বলে যে তোমাকে আমি মনে মনে সাজিয়ে রেখেছিলাম বাস্তবের তুমি তার মত যথেষ্ট সুন্দরী না হওয়ায় যে আমি মনে মনে আশাহত হয়েছিলাম সে আমিই তোমার স্বতস্ফুর্ততা, সরলতা, আন্তরিকতা সর্বোপরি তোমার মধ্যে মেয়েলী সংকীর্নতার অনুপস্থিতি দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হয়েছিলাম।
তোমার সাথে দেখা করে ফিরে আসার পর তোমাতে মুগ্ধতা স্বত্ত্বেও আমি তোমার সঙ্গে সম্পর্কটি আর এগিয়ে নিতে চাচ্ছিলাম না যেহেতু তুমি শুধুমাত্র সুন্দরী নও বলে আমার মধ্যে সে মুগ্ধতা স্থায়ী হয়নি। তুমিও বাস্তবের কাঠখোট্টা আমার সাথে তোমার রূপকথার রাজকুমারের বিন্দুমাত্র মিল না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলে, আমার সাথে তোমার সম্পর্কটা আর থাকছে না। এই প্রথম হয়তো তোমার আর আমার ভাবনা একবিন্দুতে মিলে গেল।
(চলবে)
আগের পর্বগুলো
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
চতুর্থ পর্ব ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।