আমি, জুম্মান, শাওন, সাথি আর নীলিমা এই পাঁচজন কোচিং এ একসাথে পড়ি। তখন আমি ক্লাস টেন এ। তিনজন মেয়ে আর আমরা দুইজন ছেলে।
ঘটনা ছিল এইরকম, তিন মেয়ের সাথেই আমার ব্যাপক ভাব আর জুম্মান একা একা কাঁদো কাঁদো অবস্থা
যেহেতু সখ্যতা আছে তার মানে বিপর্যয় ও আছে, একদিন ক্লাস শেষ হতে দেরি হয়ে গেল, রাত প্রায় ৮ টা। টিচার বললেন আমাকে সাথি আর নীলিমাকে এগিয়ে দিতে, ওরা মহা খুশি কোন এক আজগুবি কারনে
আমার তো মেজাজ খারাপ, বাসায় যাব তা না অন্ধকার গলি ধরে ওদের ছেড়ে আসতে হবে
(আমি আসলে ওই এলাকা চিনিনা, শুনেছি ওই এলাকা খুবই খারাপ, আবার আমাকে আসতে হবে একা)
গাই গুই করে কোন লাভ হলো না।
দুজন মিলে টানাটানি শুরু করে দিলো
ভয়ে ভয়ে ওদের সাথে রওনা হলাম। যাই হোক সাথির বাসা প্রথমে তাকে বাসার গেটে রেখে গেলাম নীলিমার বাসার দিকে।
বাসার কাছে এসেই শুনলাম কারো গর্জন (আক্ষরিক অর্থেই) আমি একটু থমকে যেতেই নীলিমা বলল আব্বু
বাসার গেটে আ্সতেই জম বাবা গেটে এসে দাঁড়ালেন, হুঙ্কার দিয়ে বললেন এতো দেরি কেন? আর এই ছেলেই বা কে??
আমার তখন নিম্নচাপে ভুগছি, আল্লাহ করছি, এই যাত্রায় বেঁচে গেলে জন্মেও কোন মেয়ের বাসার ধারে কাছে থাকবনা। নীলিমা মাথা নিচু করে সেইভাবেই বলল ভিতরে এসো
আমি চি চি করে বললাম আমি যাই। সে একটু জোর দিয়ে বলল এসো তো।
আমি কম্পিত পায়ে তাদের বাসার ভিতরে ঢুকলাম যেখানে নীলিমার বাবা রন মূর্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন, (যে কোন মুহুরতে আমার টুটি চেপে ধরবেন)। এই অবস্থা তে আমা্কে একটা রুমে বসিয়ে নীলিমা চলে গেল। কিছুক্ষণ পর চানাচুর এনে দিলো খাওয়ার জন্য কোন মতে দুটো মুখে দিয়ে আমি সেই মুহুরতে পালিয়ে এলাম।
দুইদিন নীলিমা আসেনি কোচিং এ। আমি জানি সে কেন আসেনি।
টিচার আমাকে খোঁজ নিতে বললেও আমি যাইনি। দুইদিন পরে যখন সে এলো তার গালের কালশিটে দেখে বাকি শরীরের অবস্থা বুঝতে আমার দেরি হয়নি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।