চট্টগ্রামে ভাতঘর বলে কিছু রেষ্টুরেন্ট আছে। আমি চট্টগ্রাম আসলে এসব দোকান খুজে বের করে খাই। ভাত ঘরে কোন নাস্তা বা স্ন্যাক্স হয়না শুধুই ভাত। আমরা খাবার কারন হলো এখানে অনেক রকম তরকারী করা হয়। ৫-৬ রকমের সবজি, শুটকি সামুদ্রিক মাছ মাংশ কি নেই? আর মজা? আমার কাছৈ অমৃত।
মজার ব্যাপার হলো এসব ভাতঘরে আবার সিঙ্গেল বলে একটি কথা আছে। যে কোন তরকারীর সিঙ্গেল পাওয়া যায়। মানে এক প্লেট মুরগির দাম যদি হয় ৪০ টাকা তাহলে সিঙ্গেল এর দাম হাফ মানে ২০ টাকা। পরিমানেও একটু কম।
তো কাল এমন এক ভাতঘরে বসে পুইশাক, লাল শাক, কচু শাক, মুড়িঘন্ট, বাংলা কদু (মানে লাউ), চিংড়ি মাছ সিঙ্গেল আর দেশী মাগুর এক প্লেট (আমার খুব প্রিয় বলে এটা আর সিঙ্গেল নিলাম না) অর্ডার দিলাম।
এরপর আবার নিলাম এক সিঙ্গেল ডাল।
প্রায় ৪০ মিনিট ধরে খেলাম সে খাবার। তাগড়া তোগড়া বয় ছেলেটা পুরো সময়টা আমার খাবার দেখলো। তারপর বল্লো- অনের লাই কোয়াটার থাকোন আছিল, তইলে আরো লইত পাইত্তোন (মানে হলো আপনার জন্য সিঙ্গেল এরও অর্ধেক কোয়াটার এর ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিলো তাইলে আরো কয়টা তরকারী নিতে পারতেন)।
আমি কিছু বল্লাম না।
খারাপতো কিছু বলেনি বেচারা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।