বাংলার দালাল আমি। বাংলা মায়ের ভাল ছাড়া আমি কিছুই বুঝি না। পাকিস্তানী কুত্তারা দূরে থাকিস। । শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক সময়ে স্যারদের কোচিং ব্যবসা বন্ধ করার জন্য একটি নীতিমালা জারি করেন।
যেই নীতিমালার সার-সংক্ষেপ, “কোন ছাত্র বা ছাত্রী যদি কোন বিষয়ে সমস্যা বোধ করে তাহলে সে কলেজে তার অভিভাবকের সুপারিশমতে তার সমস্যার বিষয়টি তার কলেজের পছন্দের শিক্ষকের কাছে পড়তে পারবে। অর্থাৎ কলেজের প্রিন্সিপাল তার জন্য সেই বিষয়ে তার পছন্দের শিক্ষককে দিয়ে এক্সট্রা ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে তার কাছ থেকে ১২ টা ক্লাসের জন্য ৩০০ টাকা করে নেয়া হবে...
স্যারদের কোচিং ব্যবসা এতে দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব কিনা জানি না। কিন্তু এর দ্বারা যে প্রাইভেট কলেজগুলোয় ব্যবসার নতুন মাত্রা শুরু হয়ে গেছে!!
আমি ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজের ১ম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। তারা এই নিয়মের অপব্যবহার করে নতুন ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।
তারা প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে এই এক্সট্রা ক্লাস করতে বাধ্য করছে!! তারা সরকারী কোন নিয়মে ধার না ধেরে তাদের ইচ্ছামতন এক্সট্রা ক্লাস চালাচ্ছে। যেই ৬০ জন নিয়ে কলেজের সাধারণ ক্লাস হয় সেই ৬০ জন কে নিয়েই এবং সাধারণ ক্লাসের স্যারদের নিয়েই এক্সট্রা ক্লাসের চালু করেছে। তারা আমাদের পছন্দমত স্যার বাছাই করতে দিচ্ছে না। তারা এক্সট্রা ক্লাসে তাদের মঙ্গল গ্রহ থেকে তৈরি করে আনা সিলেবাস শেষ করছে!! আপনাকে এই সিলেবাস শেষ করার জন্য আমরা মাসে ১১০০ টাকা করে দিচ্ছি??
আপনাদের পরিচিত কেউ যদি এই কলেজে পড়ে তাহলে জানবেন এই কলেজের সিলেবাস এবং এই কলেজের কর্মকাণ্ড নিয়ে।
স্যারদের কিছু বললে বলে, “তোমরা এতো কিছু বুঝলে তোমরা ছাত্র থাকতা না!!” আরেক স্যার বললেন, “তোমরা সিদ্ধেশ্বরী পড়তে চলে যাও!! আমরা কি কিছু পারি না??!! আমাদের ভাল না লাগলে এই কলেজে ভর্তি হইছো কেন??!!” স্যার, আপনার কাছে কেউ সিদ্ধেশ্বরী থেকে পড়তে আসলে আপনি কি তাকে না করবেন??
আমাদের আজ কলেজ শেষে শুধু শুধু ১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় এক্সট্রা ক্লাস করানোর জন্য।
এক্সট্রা ক্লাস শুরু হয় আরও এক ঘণ্টা পর। এই এক ঘণ্টাও আমরা একটি একটি তলায় বন্দি! এগুলো কি আমাদের সময়ের অপচয় নয়??
অনেক স্যার আছে যারা কিনা ছাত্র পান না পড়াইতে। এখন তারাও এই ব্যবসায় নামছেন এইভাবে যদি কিছু টাকা আসে!!
আমার প্রশ্ন আমি যেই স্যারের ক্লাস করে পড়া না বুঝে অন্য কোন স্যারের বাসায় যাচ্ছি আমাকে কেন তার কাছেই এক্সট্রা ক্লাস কতে হবে?? আমি যেই ৬০ জনের ক্লাসে পড়া বুঝি না দেখে ১২-১৩ জনের ক্লাসে ক্লাস করতে যাই সেখানে কেন আমাকে এক্সট্রা টাকা দিয়ে সেই ৬০ জনের ক্লাসেই ক্লাস করতে হবে??
কলেজ ছুটি হবে ৪:৩০ এ... বাসায় আসতে আসতে আমার বাজবে সাড়ে ৫ টা!! যেই ক্লাস করে আমি কিছুই বুঝি নাই। আমাকে আবার কোচিং করতেই হচ্ছে!! তাহলে আমি আমার পড়া কখন পড়বো?? এভাবে কি আমার দ্বারা কিছু শিখা সম্ভব?? কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আমার প্রশ্ন আমাদের কি মানুষ বাদে অন্য কিছু মনে হয়?? আপনারা আমাদের কড়া শৃঙ্খলার জালে আটকে রাখেন কেন?? আমাদের চুল ১ সে.মি. থেকে বড় হয়ে গেলে আপনাদের কাছে তা ঘৃণ্য অপরাধ!!
পরিশেষে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে যাই, আপনার নিয়মের অপব্যবহার করে নতুনভাবে এক ব্যবসা চালু হয়েছে। আপনি কি এই বিষয়ে নিশ্চুপ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।