দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি রহস্যময় দ্বীপ হল ইস্টার দ্বীপ। এ দ্বীপের অধিবাসীদের বলা হয় রাপানুই। রহস্যঘেরা এই দ্বীপটি বিখ্যাত হয়েছে এর মাঝে অবস্থিত শত শত (৮৮৭ টি) রহস্যময় মূর্তির জন্য। মূর্তিগুলোকে বলা হয় মোয়াই। UNESCO এই দ্বীপটিকে world heritage site হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে।
ছোট এই রহস্যময় দ্বীপটি ১৭২২ সালে ইস্টার সানডের দিনে আবিস্কার করা হয় বলে এর নাম ইস্টার দ্বীপ। প্রায় ৩০০ বছর পাড় হয়ে যাবার পরেও এই দ্বীপের মূর্তিগুলো এখনো রহস্যের অন্তরালেই রয়ে গেছে।
ইস্টার দ্বীপের মূর্তিগুলোকে নিয়ে বহুকাল ধরেই মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। ছোট একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপে এই মূর্তিগুলো কি করে তৈরি হল, কোথা থেকেই বা এলো, কিভাবে তা পরিবহন করা হল তা বহু বছর ধরেই বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয় হিসেবে রয়েছে। কিন্তু গবেষণার কোন নির্দিষ্ট ফল পাওয়া যায় নি।
ইস্টার দ্বীপে মানুষের আগমন ঘটেছিলো প্রায় ১২০০ সালে। ইস্টার দ্বীপের আদিম অধিবাসীদের ধারনা ছিল মোয়াই গুলো নিজের থেকে হেটে হেটে দ্বীপে এসেছিলো।
তবে বর্তমানে অনেক ধরনের গবেষণা, যেমন- ভাষাগত, জেনেটিক্স, প্রত্নতত্ত এসব হতে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে মোয়াই নির্মাতারা পলিনেশিয় ও তারা সাগর পার হয়ে অন্য দ্বীপ থেকে ইস্টার দ্বীপে এসেছিলো। কিন্তু এতো ভারি মূর্তিগুলো (প্রায় ৮২-২৭০ টন) কি করে আনা হল তা এখনো সঠিক ভাবে জানা যায় নি। কোন কোন গবেষকের মতে মূর্তিগুলোকে কাঠের গুড়ির উপর রেখে টানা হয়েছিলো আবার কারো কারো মতে চারপাশ থেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে আনা হয়েছিলো।
একসময় ইস্টার দ্বীপে অসংখ্য পাম গাছ ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে তা প্রায় হারিয়ে গেছে। এখন ইস্টার দ্বীপ প্রায় বৃক্ষ শুন্য। ধারনা করা হয় যে, দ্বীপটি বৃক্ষ শুন্য হবার পেছনে দ্বীপ আবিষ্কারে আসা জাহাজের ভেতরে থাকা পলিনেশিয় ইঁদুর গুলো দায়ী। এই সর্বভুক প্রজাতির ইদুরেরা গাছের ফল খেয়ে এদের বৃদ্ধি ও অঙ্কুরোদগম বন্ধ করে দেয়।
ফলে ধীরে ধীরে দ্বীপটি বৃক্ষ শুন্য হতে থাকে।
সুত্রঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।