কয়েকটা পিসি গেমস চাই শুরুতেই বলে নেই,পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি পাল্টাযুক্তি আছে। অনেক বড় আকারে তথ্যগুলো শেয়ারের চেষ্টা করব,তাই ধারাবাহিকভাবে আসবে এবং প্রথমেই কোন উপসংহারে যাব না।
আমেরিকার উদ্দেশ্যে ভেসে যাচ্ছিল এলেন হস্টিন, নাবিকেরা একটি খালি জাহাজকে ভাসতে দেখে অবাক হন। ব্যাপারটা দেখবার জন্য ক্যাপ্টেন নাবিক পাঠিয়ে দিলেন, হঠাত চারদিক কুয়াশায় ঢেকে যায়। কিছুক্ষণ পর কুয়াশা কেটে গেল কিন্তু নাবিকরা কই , জাহাজটা সেখানেই ভাসছে।
আবার নাবিক পাঠানো হল, তখনই দুলে উঠে সমুদ্র ছোটখাটো ঝড়ই যেন বয়ে যায়। ঝড়ের পর ক্যাপ্টেন দেখলেন সব ভ্যানিশ , জাহাজ সহ নাবিকরা হারিয়ে গেছে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নাম শুনলেই গল্পটা চলে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, বাহামা দ্বীপ এবং ক্যরিবীয়ান দ্বীপ এই তিনটি স্থানকে নিয়ে যে ত্রিভুজাকার এলাকা পাওয়া যায় সেটাই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভুজ নামেও পরিচিত। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে কল্পকথার শুরু সেই ১৯৪২ সালে। ইতালীয় নাবিক ও ঔপনিবেশিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস সর্বপ্রথম এই ত্রিভুজ নিয়ে তার অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
কলম্বাসের লগ বই অনুযায়ী, ‘আকাশের পূর্ব প্রান্তে অদ্ভুত এক রেখা দেখা গেল, এটি মনে হয় না সূর্যের আলো , না চন্দ্রের আলো,এটা কি বুঝা গেল না'! কলম্বাস আরো লিখেছেন, এই এলাকায় কম্পাসের এলোমেলো দিক নির্দেশনার কথা। ১৯৪৯ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ৭টা ৪৫মি. জ্যামাইকার উদ্দেশে এরিয়েল নামের একটি প্লেন রওনা দিল। তখন আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক ও সুন্দর অথচ ওড়ার ৫৫ মি পর বিমানটির আর কোন খবর নেই! গরু খোজা খোজা হল কিন্তু কোন খবর নেই এর। অনুসন্ধানকারী দল জানাল ,' সমুদ্রের এক বিশেষ এক জায়গায় নীলচে আলোর আভা দেখা গেছে '। আশ্চর্যের ব্যাপার হল ঠিক এই জায়গা থেকে এক বছর আগেই DC-3 নামের একটি প্লেন হারিয়ে গেছিল! ই. ভি. ডব্লিউ. জোন্স ১৯৫০ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর সর্বপ্রথম বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে খবরের কাগজে লিখেন।
তখন থেকেই এই ত্রিভুজ নিয়ে মানুষের মনে জমতে থাকে রহস্য। তারও প্রায় দুই বছর পর ‘সী মিস্ট্রি এট আওয়ার ব্যাক ডোর’ শিরোনামে ফেইট (Fate) ম্যাগাজিনে জর্জ এক্স. স্যান্ড একটি প্রবন্ধ লিখেন। এ প্রবন্ধেই তিনি বলেন ইউ এস নেভীর পাচটি প্রশিক্ষন বিমানের (ফ্লাইট নাইনটিন) নিরুদ্দেশ কাহিনী এবং সবার সামনে তুলে নিয়ে আসেন এই অপরিচিত ত্রিভুজাকার অঞ্চলের গল্প। ১৯৬২ সালে লিজান (American Legion) ম্যাগাজিনে আবার উঠে আসে এই বিমানগুলোর নিরুদ্দেশ কাহিনী। লিজান ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রবন্ধ অনুযায়ী, নিরুদ্দেশ হওয়ার ঠিক আগমুহুর্তে ফ্লাইটের দলপতিকে বলতে শোনা গেছে, We don't know where we are, the water is green, no white!We’re completely lost।
যার অর্থ দাঁড়ায় "আমরা কোথায় আছি জানি না, সবুজ বর্ণের জল, কোথাও সাদা কিছু নেই,আমরা হারিয়ে গেছি"! এখানেই প্রথমবারের মত ফ্লাইট নাইনটিনকে অতিপ্রাকৃত ঘটনার সাথে যুক্ত করা হয় এবং বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলকে ঘিরে গড়ে উঠে রমরমা রহস্যাবৃত গল্প।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের আরেকটি রহস্যের সমাধান আজ পর্যন্ত কেও দিতে পারেনি। ফ্লাইট নাইনটিনের ঘটনার কয়েক বছর আগের কথা। টেডি টাকার পেশায় একজন ডুবুরী, একদিন সকালবেলা বারমুডার বেলাভূমিতে তিনি একটি অদ্ভুদ বস্তু দেখতে পান। সেটি ছিল ১৫০০-২০০০ পাউন্ড ওজনের উজ্জ্বল সাদা একটি পিণ্ড যার নাম দেওয়া হয় বারমুডা ব্লপ।
টেডি জানান ,' এটি একটি জৈব পদার্থ যা আগে কখনও দেখা যায়নি’। ওই পিণ্ডের টুকরো নিয়ে গবেষণা করা হল মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, এতে শুধু নিশ্চিত হওয়া গেল ওটা কোন প্রানিদেহের অঙ্গ। বিজ্ঞানীদের ধারনা ওটি কোন বড়সড় জলচর প্রাণীর। পিণ্ডটি শেষ পর্যন্ত টুকরো হয়ে গেলেও তা কখনই পচেনি।
(চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।