১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের পর টাঙ্গাইলে একটি উপনির্বাচন হয় । তাতে ছাত্রনেতা খালেক নেওয়াজ খানের কাছে শাসক দল মুসলীগ লীগ প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে। মুসলীম লীগের হেরিকেনের আলো নিভে যায়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৫৪ সনের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুসলীম লীগের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। সারা পূর্ব বাংলায় মুসলীম লীগ পায় মাত্র নয়টা আসন।
আজ সেই টাঙ্গাইলে উপ নির্বাচন হয়েছে । জনগণ আওয়ামী লীগের নৌকা ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা দুজন মিলেও বিজয়ী প্রার্থীর সমান ভোট পায় নাই। আওয়ামী লীগ যাকে বহিষ্কার করেছে জনগণ তাকে আদরে বুকে টেনে নিয়েছে। এই নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্ব ও তাদের জোটভুক্ত বন্ধুকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
হয়ত আওয়ামী পন্থী কোন বুদ্ধিজীবী গাজিপুরের কথা বলবেন। তবে সেখানে বিজয়ী হয়েছে তাজ উদ্দিনের কন্যা। এই পরিবারের সদস্য না হলে সেখানেও নৌকা ডুবে তলিয়ে যেতো। তাজ উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধে সফল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা উত্তরকালে তাকে মন্ত্রীসভা থেকে অপসারন করেছিলেন শেখ মুজিব।
অতএব আগামী দিন জনগণের বিজয়ের দিন আসছে। এবার অবসান হবে মেধাবী সন্তানদের অপমান করার ঘটনার। স্বাধীনচেতা বিচারকদের নিগৃহীত করার ঘটনার পরিণতি বরন করতে হবে শাসকদের। দুর্নীতিবাজ ও স্বজনপ্রীতিকারীদের পতন সমাগত। এগিয়ে চল জনগণ।
বিজয় আগত ঐ। দীর্ঘজীবী হোক স্বদেশ, দীর্ঘজীবী হোক বিপ্লব।
লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।