২০০৫ সালে সারাদেশে বিচারকদের প্রতি জঙ্গি হামলা হয়। নভেম্বর মাসে ঝালকাঠিতে দুজন সহকারী জজ নিহত হন। লক্ষ্মীপুর , চাঁদপুর, গাজীপুর সহ বিভন্ন স্থানেও হামলা হয় এবং অনেকে নিহত ও আহত হন। আহতদের মধ্যে জেলা জজ বিপ্লব কুমার গোস্বামীও ছিলেন। নিহত হন সহকারী জজ সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে।
এই সন্ত্রাসের কারণে ঐ বৎসর জেলা জজ সাহেবগণকে নিজ নিজ জেলাতেই অবকাশকালীন দায়িত্ব পালন করতে হয়। উল্লেখ করা প্রয়োজন প্রতি বৎসর ডিসেম্বর মাসে জেলা জজ আদালতের ছুটি থাকে। এই সময় জরুরী বিষয় সমূহ নিষ্পত্তি করার জন্য অবকাশকালীন জজ নিয়োগ করা হয়। তাঁরা একই সাথে তিন থেকে চারটি জেলায় ঘুরে ঘুরে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে এটা নিরাপদ ছিল না।
তাই জেলা জজদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং অবকাশকালীন জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। এর জন্য তাঁদেরকে বিশেষ ভাতা দেবার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। বিচারকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন করার লোকেরা বাধা সৃষ্টি করায় এটা হয় নাই। জঙ্গিদের বিচারে সোপর্দ করা হয়। ঝিনাইদহে এদেরকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রবীণ ও অভিজ্ঞ আইনজীবীগণ।
একুশ জঙ্গির মৃত্যুদন্ড হয়। এরপর তাদের মনোবল ভেঙ্গে যায়। তাদের নেতা কর্মীগণ ধরা পড়তে থাকে।
আসুন জঙ্গি হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত , শান্তি ও মুক্তি কামনা করি । আহতদের জানাই সমবেদনা ।
লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।