ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না যত্রতত্র ময়লা ফেলার দিক দিয়ে চাইনিজরা এক সময় আমাদের মতই ছিল, সরকারী কড়াকড়ির কারনে ধীরে ধীরে অনেক বদলে গেছে. এখন অনেক শহরই খুব্বি নিট & ক্লিন যেন রাস্তায় বসে খাবার খাওয়া যাবে. এদের সরকার ফুটপাতে যেমন অসংখ্য ডাস্টবিন বসিয়েছে তেমনি ট্রেনের ভেতরেও প্রতিটি কামরায় ময়লা ফেলার বাক্স আছে এমনকি বাসের ভিতরেও দরজার পাশে স্ট্যান্ডের সাথে ময়লা ফেলার ঝুড়ি বাঁধা আছে. আমরা মানুষ, আমাদের মধ্যে অনেক লোকের খাসলত এমন যে ইনাফ ফ্যাসিলিটি থাকা সত্বেও তারা চেঞ্চ হবে না ......এদের জন্য চীনা সরকারের রয়েছে স্পেশাল ব্যবস্হা. এই শহরে দেখি মহিলা কমিউনিটি পুলিশদের বিরাট ডান্ডা নিয়ে ঘুরতে. কেউ বাসার জানালা দিয়ে ময়লা রাস্তায় ছুঁড়ে ফেললে বা পথচারী যারা রাস্তায় কাশ-প্যাটা ফেলে তাদেরকে জোঁকের মত গিয়ে ধরে. উল্লেখ্য বিভিন্ন অফিস/পাবলিক প্লেসে শ্রেফ কাশ ফেলার জন্য বাক্স রাখা আছে. ফেলনা জিনিস থেকেও যে দুইটা পয়সা আসতে পারে সেটাও সরকার পাবলিকরে খুব ভালভাবে শিখাইছে যেমন লোকজন পুরনো ব্যাটারী ব্যাগে করে দোকানে নিয়ে যায়. নগদ পয়সাও পাইলো [যদিও যৎসামান্য পাশাপাশি যেখানে সেখানে ময়লা হল না] আবার সব ফেলনা জিনিস recycle এ চলে গেলো. সমাজের মানুষও পঁচা দূর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেলো আর জাতীয়ভাবে চিন্তা করলে দেশও ফিনানসিয়ালী উপকৃত হল. এক বয়স্ক লোকের কাছে শুনেছি একদম ছোট সাইজের ১০ টি পানির খালি বোতল recycle কোম্পানির কাছে ১ ইউয়ানে (১৩ টাকা) বিক্রি করা যায়. মানুষ অভ্যাসের দাস এটা যেমন সত্য তেমনি এটাও সত্য আঙুল বাঁকা করলে বদভ্যাসও চেঞ্চ হয় যার নমুনা চীনা সরকার দেখাচ্ছে.
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।