আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেমি সিডন্সও জানতেন!

মোহাম্মদ আশরাফুলের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির খবর জেনে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনেও যে এমন একটা কাণ্ড ঘটে যেতে পারে, সেটা হয়তো ভাবতেও পারেননি অনেকে। কিন্তু আশরাফুলের স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর বিষয়টি নিয়ে একেবারেই ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানালেন জেমি সিডন্স। এই খবর শোনার পর নাকি মোটেও অবাক হননি বাংলাদেশের সাবেক এই কোচ। তাঁর বক্তব্য, ব্যাপারটা দুঃখজনক, কিন্তু অবাক করার মতো নয়।

এমনকি পর্দার আড়ালে অন্যায় কিছু একটা যে হচ্ছে, সেটি আঁচ করতে পেরে আইসিসি আর বিসিবিকেও জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনের সঙ্গে সিডন্সের সম্পর্ক ছিল টানা চার বছর। ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সিডন্স। হয়তো এই সময়েই অনেক কিছু আঁচ করেছিলেন অস্ট্রেলীয় এই কোচ। এ কারণেই হয়তো ব্যাপারটি ‘অবাক করার মতো নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।

আজ নিউজিল্যান্ডের ডোমিনিয়ন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সিডন্স বলেছেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু আমার মনে হয় খবরটা অবাক করার মতো কিছু নয়। জুয়াড়িদের অপরাধজগত খুবই শক্তিশালী একটা চক্র। ’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের হুমকির ব্যাপারটা বিসিবি ও আইসিসি কর্মকর্তাদের কানেও দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সিডন্স। প্রচুর অর্থকড়ি পাওয়ার প্রলোভন তরুণ খেলোয়াড়েরা প্রায়ই সামলাতে পারেন না।

আর আশরাফুল অনেক কম বয়সেই এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলেও অনুমান সিডন্সের, ‘আশরাফুল খুবই প্রতিভাবান তরুণ। সে সম্ভবত যখন শুরু করেছিল, সেই ১৫ বছর বয়সেই এই ফাঁদে পা রেখেছে। অন্য কারও প্ররোচনায়ই হয়তো সে এই পথে ঢুকে পড়েছে। তার জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে। কিন্তু আমি তার অপরাধটাকে কোনোভাবেই ক্ষমা করব না।

’ ফক্স স্পোর্টস। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.