A Hero will Rise Up Just In Time ১ম পোষ্টে লিখেছিলাম "হরর মুভির দর্শকের সংখ্যা অনেক কম ব্লগে। " কিন্তু আমার এধারনা ছিল ভুল। হরর মুভির একটা মজার ব্যাপার হলো সব ধরনের মুভি প্রেমীরাই মাঝে মাঝেই হরর মুভি দেখতে অনেক পছন্দ করে। বাস্তবতার একঘেমী কাটাতে কিছুক্ষনের জন্য হলেও ঘুরে আসে অশরীরিদের অবাস্তব জগতে আর সেই সাথে হররপ্রেমীরা তো আছেই। সেইভাবে হিসাব করলে ব্লগে হরর মুভী প্রেমিকের সংখ্যা নিতান্তই কম না।
এই ধরনের সব হরর প্রেমীদের কথা মাথায় রেখে নিয়ে আসলাম আমার হরর মুভী রিভিউ এর ২য় পর্ব। এই পর্বের অনেক মুভির নামই অনেকের অজানা কিন্ত-কিন্তু-কিন্তু কথা দিতে পারি এর প্রায় প্রত্যেকটাই হয়ত চমকে দিবে আপনাদের, মুগ্ধ হবেন ঠিকই কিন্তু মুভি দেখা শেষে হয়ত ভাবতে বাধ্য হবেন- এমনটা কি হওয়ার কথা ছিল?
Fright Night 1985 : ২০১১ সালের ফ্রাইট নাইট মুভিটা নিশ্চয় অনেকেই দেখেছেন? যদি কেউ ভাবেন একই টাইপ হবে ১৯৮৫ সালের ফ্রাইট নাইট মুভিটা তাহলে ভুল করবেন। যদিও মূল থীমটা প্রায় একই।
ঘটনা সংক্ষেপ: চার্লি নামের এক টিনেজার হঠাৎ একদিন খেয়াল করলো ওদের নতুন প্রতিবেশী এক ভ্যাম্পয়ার। গভীর রাতে পিশাচ হয়ে ওঠে সেই লোকটা।
কেউ বিশ্বাস করলো না চার্লির কথা। শেষে নিজের গার্লফ্রেন্ড, একজন বন্ধু এবং একজন টিভি ভ্যাম্পায়ার হান্টারকে নিয়ে মিশনে নেমে পড়ে চার্লি। হয় নিজে শেষ হবে নাহলে সমূলে উচ্ছেদ করবে ভ্যাম্পায়ার গোষ্টিকে।
একটা কথা বলতেই হয় ১৯৮৫ সালের মুভি হিসেবে যতটা না ইফেক্ট দেখাতে পারার কথা তার চেয়ে অনেক ভালো হরর ইফেক্ট দেওয়া হয়েছে এই মুভিটাতে আর মুভি পাগলরা তো জানেনই , ইফেক্ট হরর মুভির অন্যতম ইম্পর্টেন্ট একটা ব্যাপার।
ডাউনলোড:Fright-Night
An American Werewolf in London : ভ্যাম্পায়ার এর পরই চলে আসি ওয়্যারউল্ফে।
আমেরিকা থেকে দুই বন্ধু বেড়াতে আসে লন্ডনের অখ্যাত এক গ্রামে। সরাইখানায় মানুষের কুসংস্কারতা দেখে মনে হাসলেও মুখে কিছু না বলে বাইরে বেড়িয়ে আসে দুইজন। কিছুদূর যেতেই এক বিশাল নেকড়ে দ্বারা আক্রন্ত হয় নায়কের বন্ধু। তাকে মেরে ফেলে নায়ককে আক্রমন করে। সময়মতো গ্রামবামী এসে পড়ায় বেঁচে যায় নায়ক, শুধু দেহে ছোট্ট একটা আচঁড় ছাড়া আর কিছুই হয়না।
নেকড়েটাকে মেরে ফেলার পর দেখা যায় ওটা আসলে একটা নেকড়েরূপী মানুষ যে কিনা বহুবছর ধরে আতঙ্ক হয়ে ছিল গ্রামবাসীর। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল সবাই, অবশেষে মৃত্যু হয়েছে এই ভয়ঙ্কর আতঙ্কের। কিন্তু সত্যিই কি শেষ হয়ে গেল আতঙ্ক? তাহলে নায়কের হাতের আচঁড়টার কি হবে?
ডাউনলোড: An-American-Werewolf-in-London
Trick 'r Treat : চারটা গল্পের এক ভয়ঙ্কর সমাহার Trick 'r Treat। একজন স্কুল পিন্সিপালের গোপনীয় খুনে জীবন, কিছু টিনেজারের হ্যালোইন পালন করতে জঙ্গলে যাওয়া এবং সেখানে বাস্তব ভয়াবহ হ্যালোইন পালন এবং আরো দুটো গল্পের এক ভয়ঙ্কর মিশ্রন Trick 'r Treat। দেখে ফেলেন, ভয় বলেন আর মজা বলেন- পবেনই।
ডাউনলোড: Trick-r-Treat
Insidious : এক সুখী পরিবার, হঠাৎ খেয়াল করলো এক আত্মা ভর করেছে তাদের সন্তানের উপর। জানা গেল সেটা সাধারন কোন আত্মা নয় বরং ভয়ঙ্কর শয়তান এক আত্মা যে তাদের সন্তান কে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে শয়তানের নিজস্ব জগতে। সন্তানকে বাঁচাতে তান্ত্রিকের সহায়তায় বাবাই পৌছে গেল সেই শয়তানের জগতে। বাবা কি পারবে তার সন্তানকে শয়তানের কবল থেকে মুক্ত করে আনতে? দেখতে থাকুন, ভয়াবহ এক টুইস্ট অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্য।
ডাউনলোড: Insidious
The Others :দুই বাচ্চাকে নিয়ে গ্রেস স্টুয়ার্ট থাকে নির্জন এক বাড়িতে।
বাচ্চাদুটোর আলো সহ্য করতে না পারা এক রোগ আছে যেজন্য দিনের বেলাতেও বাসাটায় বিরাজ করে রাতের মতো অন্ধকার। একদির ২ জন মহিলা এবং একজন পুরুষ কাজ করতে আসে বাড়িটাতে। কিন্তু ওদের আচরন কেমন যেন অদ্ভূত? ঘটতে থাকে অদ্ভূত ভয়ঙ্কর সব ঘটনা। কে ওরা, কি চায়? জানতে পারবেন মুভির শেষে আর সাথে অবশ্যই অকল্পনীয় এক টুইস্ট।
ডাউনলোড: দ্যা আদারস
সবগুলোরই ডাউনলোড লিংক দেওয়া আছে।
এর মধ্যে আবার অনেকগুলো লিংক পাবেন। ভালো হয় পুটলকার থেকে প্লে করলে। এখান থেকে সরাসরি মুভিটা অনলাইনে দেখতে পারেন আর আইডিএম থাকলে সরাসরি ডাউনলোড করতে পারবেন।
আগের পর্বঃ গা শিউরে ওঠা কয়েকটি হরর মুভির রিভিউ, যেগুলোর প্রত্যেকটাই মুগ্ধ করেছে এবং করবে মুভিখোরদের
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।