Internet এর কথা নিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট | কথা হবে Internet দূণী্তি নিয়ে , অবহেলা নিয়ে |
শুরু করছি সমসাময়িক একটি ব্যপার নিয়ে , সাবমেরিন ক্যাবল কে অবহেলা নিয়ে :
"বাংলাদেশ ও বিনামূল্যে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল পেতে পারে"
Published by zswapan on Tue, 11/09/2012
বাংলাদেশের জন্য বিনামূল্যে আরেকটি সাবমেরিন ক্যাবল প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নব্বই দশকে বাংলাদেশকে একবার বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। সেই গল্প আমরা আজো করে বেরাই। এবং সেটাকে আমরা সবাই বোকামী হিসেবেই দেখে থাকি। প্রায় একই রকমের আরেকটি সুযোগ তৈরী হয়েছে এবার।
এবং সেটাও হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর সেজন্যই এই লেখার অবতারণা।
বাংলাদেশের জন্য বর্তমান সময়ের অনেকগুলো জরুরী বিষয়ের মধ্যে অন্যতম একটি হলো দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। আমি তো মনে করি, এটা পদ্মা সেতুর চেয়েও জরুরী। বর্তমান বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের একমাত্র যোগাযোগ হলো একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবল।
এটা দিয়ে আমাদের ভয়েস এবং ডাটা (ইন্টারনেট) দুটোই চলে। আর এটির কোথাও কখনও ত্রুটি দেখা দিলে সাথে সাথে বাংলাদেশ প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিনত হয়। আমাদের সামান্য স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইডথ ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছে। তা দিয়ে তো আর পুরো দেশ চলে না। এই কিছুদিন আগেই আমাদের বর্তমান ক্যাবল সিঙ্গাপুরের কাছে নষ্ট হলো।
পুরো দেশ প্রায় দু'মাসের মতো ভুগলো। শুধু ভুগলো বললে ভুল হবে। আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে, যা আমরা পরিমাপ করে দেখিনি। আমাদের সমস্ত যোগাযোগের মাধ্যম যেহেতু এখন এই সাবমেরিন ক্যাবল, তাই ক্ষতির পরিমানটাও অধিক বৈ কি!
আমাদের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল লাগবে, এটা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন। কিন্তু কিভাবে সেটা সম্ভব, সেটা নিয়ে নানান মতবাদ রয়েছে।
বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক দেশ, এবং একই বিষয়ে নানান মত থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে, এতো মতের মাঝ থেকেও আমাদেরকে একটি উপায় বেছে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নইলে, পরিকল্পনা করতে করতেই বছরের পর বছর পার করে দেবো, কাজটা বিলম্বিত হবে।
বাংলাদেশে সরকার এর ভেতর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ব্যক্তিগত খাতে একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। কিন্তু সেখানে এমন সব শর্ত দেয়া ছিল, যা দেখে কোনও টেলিকম অপারেটর এই খাতে বিনিয়োগ করতে চায়নি।
ফলে, সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে কেবলমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান “বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানী লি:” দেশের সাবমেরিন ক্যাবল বসাতে এবং সেবা দেয়ার ক্ষমতা রাখে। যেহেতু টেলিকমের সকল ক্ষেত্রেই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তাই এক্ষেত্রেও সহজ শর্তে লাইসেন্স দিলে ক্ষতির তো কিছু নেই! এটা একটি বিশাল অংকের বিনিয়োগ। তাই শর্তগুলো অন্যান্য দেশে যেভাবে রয়েছে, একই রকমের নিয়মের ভেতর করে দিলে, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে আসবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এখন যে নতুন সুযোগটি তৈরী হয়েছে, তা কোনও কনসোর্টিয়াম নয়, একটি প্রাইভেট কোম্পানী এশিয়াতে বিশাল এলাকা জুড়ে সাবমেরিন ক্যাবল বসাতে যাচ্ছে।
আমাদের বর্তমানে যে সাবমেরিন ক্যাবল রয়েছে সেটা হয়েছে ১৪টি দেশ মিলে একটি কনসোর্টিয়াম (SEA-ME-WE-4) করে। এবং একই রকম আরেকটি কনসোর্টিয়ামের (SEA-ME-WE-5) কাজ শুরু হয়েছে, যেখান থেকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিতে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে।
এর পাশাপাশি সারা বিশ্বেই ব্যক্তিগত খাতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সাগরের তলদেশ দিয়ে ফাইবার বসিয়ে গিয়েছে এবং যাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকাতে তো বটেই, এই এশিয়াতেও অনেক প্রাইভেট অপারেটর রয়েছে। তেমনি একটি নতুন উদ্যোগ হলো “ট্যাগার ক্যাবল”।
একজন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকার উদ্যোক্তা এর আগে ফ্ল্যাগ টেলিকম নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছিলেন যার মাধ্যমে আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান এবং মধ্যপ্রাচ্যের ২৮ হাজার কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল বসায়। পরবর্তীতে ভারতের রিলায়েন্স ওই কোম্পানীটিকে কিনে নেয়। এখনও সারা বিশ্বে অন্যতম বড় সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানী হিসেবে ওটা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেই একই উদ্যোক্তা এখন মাঠে নেমেছেন সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান, ইউএই, ওমান, ইয়েমেন, কেনিয়া, মালদ্বীপ, সৌদি আরব, মিশর, মাল্টা, তুরষ্ক, লেবানন, ইতালী, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ইতাদি দেশগুলোকে যুক্ত করে একটি নতুন সাবমেরিন ক্যাবল বসানোর।
এটার কাজ কেবলমাত্র শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ অপর যে কনসোর্টিয়ামের উপর কাজ করছে (SEA-ME-WE-5) সেটার কাজ শুরু হয়েছে ২০০৬ সালে, যা এখনও প্রকৃত কাজে হাত দেয়নি। সাবমেরিন ক্যাবল বসানোর প্রক্রিয়াগুলো এমন লম্বা সময় নিয়েই হয়। ট্যাগার ক্যাবল যা করছে, তা হলো বিভিন্ন দেশের সাথে একটি এমওইউ (MOU) সাইন করে নিচ্ছে। এবং এর ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংক/প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে ক্যাবল বসাবে। কোনও দেশকেই ক্যাবল বসানোর জন্য কোনও বিনিয়োগ করতে হবে না।
ট্যাগার ক্যাবল বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল বসিয়ে যাবে। আর সেই ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করে ১৫ বছরের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে। ট্যাগার ক্যাবলের কর্ণধার সুনিল ট্যাগার বলছেন, তার এই ক্যাবলের খরচ অন্য যেকোনও সাবমেরিন ক্যাবলের চেয়ে অনেক স্বস্তা হবে।
ট্যাগার ক্যাবল আগামী ১২-১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২, দুবাইতে আগ্রহী অপারেটরদেরকে চূড়ান্ত কথা বলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেখানে জাপান, সিঙ্গাপুর, মধ্য প্রাচ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ক্যাবল অপারেটররা উপস্থিত থাকবে।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এখনও কেউ নিশ্চিত করেনি। সুনিল ট্যাগারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যদি বাংলাদেশ থেকে কেউ ওখানে না যায়, তাহলে তারা সাবমেরিন ক্যাবল থেকে বাংলাদেশের ল্যান্ডিং স্টেশন বাদ দিয়ে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি সুনিলের সাথে কথা বলি। তিনি জানান যে, সরকারী কোনও প্রতিষ্ঠান, কিংবা ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনও অপারেটর, কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠান যারা ভবিষ্যতে লাইসেন্স পেতে পারে - তাদের কেউ ওখানে গিয়ে যদি বাংলাদেশের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে নতুন ম্যাপে বাংলাদেশের অবস্থানটি রাখা হবে।
আগেই বলেছি, সাবমেরিন ক্যাবল বসানো দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া।
এখানে রাতারাতি বলে কিছু নেই। বসানোর প্রক্রিয়াটি যেমন দীর্ঘ, এখানে ব্যবসার ধরনটিও দীর্ঘ। তবে অনেক বেশি সন্মানজনক। বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের ব্র্যান্ডে কাজ করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক গর্বের একটি বিষয়। তাই এই সুযোগটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে যা হতে পারে -
১. সরকারী কোনও কর্মকর্তাকে (বিটিআরসি, মন্ত্রনালয় কিংবা বিএসসিসিএল) দুবাইতে এই সম্মেলনে পাঠিয়ে বাংলাদেশের নামটি অন্তর্ভূক্ত করা।
২. ব্যক্তি মালিকানায় যারা দীর্ঘ মেয়াদী টেলিকম ব্যবসায় নিজেদেরকে যুক্ত করতে চান, তারাও তাদের কোনও প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে নিজেদের আগ্রহের নামটি ঢুকিয়ে রাখতে পারেন। এখুনি তো আর বিনিয়োগ করতে হচ্ছে না। আর সরাসরি তো বিনিয়োগও লাগছে না। অপারেটিং খরচ থেকে মাসে মাসে টাকা দিতে হবে, তাও আবার ১৫ বছরে।
সেক্ষেত্রে প্রস্তাবটি মন্দ নয়।
বাংলাদেশে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল পেলে দেশের নানান দিকে উন্নতি সাধন হবে। আমাদের তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাকআপ তৈরী হলে, আমরা আরো বেশি বাইরের সাথে সম্পৃক্ত হবো, এবং তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম আরো বেশি ব্যবসায়িক কার্যক্রমের স্বাক্ষর রাখবে। এমন একটি সুযোগ যেহেতু আমাদের হাতের কাছে এসেছে, সেটাকে খুটিয়ে দেখতে ক্ষতি কি?
পুনশ্চ: বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে এই ৩/৪ দিন হলো। আর কাজটি করেছেন ইয়াসিন আল ফারহাদ (শান্ত)।
ট্যাগার ক্যাবল অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশকে বিষয়টি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কেউ সাড়া দিচ্ছিল না। তাই সুনিল ট্যাগারকে আমি অনুরোধ করেছি বাংলাদেশের জন্য অপশনটি খোলা রাখতে। এবং এর মাঝে হয়তো কাউকে রাজী করানো যাবে। আমার মনে হয়, তিনি সেটা রাখবেন।
তাছাড়া, ট্যাগার ক্যাবলের অফিস আমেরিকার সিলিকন ভ্যালীতেই। আমি সরাসরি গিয়েও কথা বলে আসতে পারবো। তারপরেও সরকারের কিংবা কোনও ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে অংশগ্রহন করলে বিষয়টি অনেক বেশি প্রফেশনাল হবে বলে মনে করছি।
SOURCE: Click This Link
Read more about it From here : Click This Link
Read here the conversetion with Sunil Tagare
Click This Link
He directly said "NO'" when it was asked that will anyone joining from Bangladesh??
চলুন আরো কিছু জানা যাক :
"টগর ক্যাবল থেকে বাদ পড়ছে বাংলাদেশ"
Posted on October 17, 2012 BY ICTAB
সহজ শর্তে, স্বাশ্রয়ে এবং জিরো ক্যপেক্স-এ অপেক্ষাকৃত উন্নত প্রযুক্তি (লো-ল্যাটেন্সি, হাই-ক্যাপাসিটি) ব্যবহার করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন সুনিল টগর বহুদিন ধরে। এটি অবশ্যই ব্যবসায়িক উদ্যোগ – চ্যারিটি নয়, তাই ভাল-মন্দ বিচার করেই এগুতে হবে।
কিন্তু তিনি কি অফার করছেন, কিভাবে এটি বাস্তবায়ন করবেন, সেসব জানতে আমাদের এত অনিহা কেন? টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির একজন অভিজ্ঞ বক্তিকে এমন নির্লজ্জভাবে উপেক্ষা করার অর্থ কি?
গতমাসে দুবাইয়ে আগ্রহী দেশগুলোর প্রতিনীধিদের নিয়ে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। খোজ-খবর করে জানা যায় যে বাংলাদেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি রেগুলেটর বডি বিটিআরসিকেও যথেষ্ট সময় হাতে রেখে আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু, সঠিক সময়ে কেউ সাড়া দেননি। শেষ মুহুর্তে, মিটিংয়ের আগের দিন সমকালে একটি রিপোর্ট আসার সাথে সাথে সবাই নড়েচড়ে বসলেন। কেউ কেউ দুবাই থেকেই দৌড়ে পৌছাতে চেষ্টা করলেন।
কিন্তু তারপর কি হল তা আর জানা গেল না। কেউ যদি গিয়েও থাকেন, তারা কি গুম হয়ে গেলেন না-কি তাও চিন্তার বিষয়।
যা-ই হোক, টগর সাহেবের ব্লগ থেকে যা দেখা বা বোঝা যাচ্ছে, তা খুব সুবিধার নয়। টগর ক্যাবলের সর্বশেষ প্রাপ্ত সংস্করণ থেকে বাংলাদেশ বাদ পড়েছে। শেষ পর্যন্ত কি হয় তা আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের উপর নির্ভর করবে।
হয়তো আগামী মিটিংয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরও বাংলাদেশের জন্য পথ খোলা থাকবে, কিন্তু এখন হলে যে সন্মান নিয়ে কাজটা হতো, তা হয়তো হবে না। নিজেদের সন্মানের প্রশ্নে আমরা বরাবরই উদাসীন (পদ্মা সেতু একটি ভাল উদাহরন)।
দুবাইয়ের সেই মিটিংয়ের পর ফলোআপ এবং সম্ভবত চুড়ান্ত মিটিং হতে যাচ্ছে মুম্বইয়ে এই মাসে। এর মধ্যে অনেক কিছু এগিয়ে যাবার পরও বাংলাদেশের প্রশ্নে উত্তরটা একই রয়ে গেল।
কেউ যাচ্ছেন না। কেন যাচ্ছেন না তা জানার অধিকার আমরা সবাই নিশ্চয়ই রাখি। বাংলাদেশের কততম সাবমেরিন কেবল কোনটা হবে, কে তৈরি করবে, তা নিয়ে বিতর্ক, যাচাই-বাছাই হতেই পারে। কিন্তু কী কী বিকল্প আছে তা যাচাই করে দেখতে তো সমস্যা থাকার কথা নয়। বরং যদি তা না করা হয়, তাহলে এটি মনে করে নেয়া আমাদের জন্য কোন অপরাধ হবে না যে এর ভিতরে কোন দূর্নীতি বাসা বাঁধছে।
দেশের ১৬ কোটি মানুষের সবাই আজ বোঝেন আর না-ই বোঝেন, পদ্মা সেতুর মত সাবমেরিন কেবলও আমাদের জিডিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামোগত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এটি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে সঠিক ও সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহন অপরিহার্য। মহাসড়কের মত এই অপটিক্যাল কেবল নেটওয়ার্কও আজ বা কাল না চাইতেও সবার নিত্যপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে দেখা দিবে। সময় চলে গেলে অপ্রতুল লেন সংখ্যা বা ক্যাপাসিটি নিয়ে কেঁদেও কুল পাওয়া যাবে না। অতএব, আর বিলম্ব না করে আমাদের যেমন এখনই সচেতন হওয়া প্রয়োজন, তেমনি সরকারকেও জনগনের সামনে জবাবদিহীতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তা না হলে ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করবে না।
বিঃদ্রঃ গতমাসের নাটক দেখে এবার সুনীল টগর স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন “ওয়াক-ইন্স নট এলাওড“। আশা করা যায়, যাদের উদ্দেশ্যে একথা বলা হচ্ছে, তারা এর অর্থ বোঝেন, এবং সময় থাকতে ব্যবস্থা নেবেন।
Source: Click This Link
এখন এই টাগারের কথা বাদই না হয় দিলাম । এই বিনামূল্যের ক্যাবল এর কথা বাদ কিনতু যে ১৬৪ জিবিপিএস তাই যদি আমাদের দেয়া হয়, তাহলেও তো আমরা এখন যে গতি পাই তার প্রায় ৭ গুন গতি পাওয়ার কথা ।
এর মানে যদি কেউ ৫১২কেবিপিএস এর কানেকশন বেবোহার করেন তাহলে আসলে তার পাওয়ার কথা ৫১২X৭= ৩.৫৮৪mbps or 448KBps speed, almost half MBps speed..
কিনতু তা তো পাওয়া দূরে থাক, উলটা আমাদের আরো ৩.৫mbps speed এর টাকা দিতে হচ্ছে, এবং আমাদের টাকায় কেনা Bandwidth
আবার বিক্রি করে দূনী্তীবাজ আরো টাকা কামাচ্ছে!!!!!!! মানে আমাদের দুবার ঠকানো হচ্ছে আর কি!!!!
"আরো কিছু জিনিস জানা যাক এবার"
BY : তোফায়েল খান
ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবার আকাঙ্খা। বিশেষ করে যুবসমাজ। আর যারা ইন্টারনেট জগতে বসবাস করে তাদের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা এটা চাইবে, এটাই স্বাভাবিক।
মানুষের এই আকাঙ্খা, এই স্বপ্ন, এই চাওয়া কি অবান্তর? না কখনোই নয়। বরংচ সময়ের দাবি । তবে এ ঘোষনাটি যখন এসেছিলো, অনেকেই এর অন্তরালে ঘাপলা দেখতে পেয়েছিলো। বেশি সময় যায়নি এরই মধ্যে সেই থলের বিড়ালের দেখা মিলে গেছে। তাই লেখাটার শিরোনাম দিলাম “মেগাবাইট নয় গিগাবাইট চুরি”।
আজ আপনার আমার স্বপ্ন, আকাঙ্খার বুকে লাথি মেরে মুষ্টিমেয় কিছু লোক কি কাজটাই না করছে! কয়েকদিন আগে ফেসবুকে ছো্ট্ট একটি তথ্য আসার পর থেকে আমার কয়েকজন বন্ধু খুব তাগিদ দিচ্ছিল, আমি যেন এটি নিয়ে অল্প কিছু লিখি। কিন্তু লিখতে গিয়ে যা পেলাম, তা মোটামুটি ভয়ংকর। তাই শিরোনামে “আমরা কি সবাই ছাগল” ব্যবহার না করে পারলাম না। কেউ এর ভুল ব্যাখ্য করবেন না। ব্যাখ্যা আমিই করছি, লেখাটি পড়লেই বুঝতে পারবেন এ দেশের নীতি-নির্ধারকরা আমাদের ছাগল না এরচেয়ে আরও নীচের কিছু ভাবে।
আপনি কি জানেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানীর সিমিউই-৪ এর কক্সবাজার সংযোগে কত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আছে? মাত্র ১৬৪ জিবিপিএস। আর আমি আপনিসহ সারা বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কতটুকু ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছি সেটা জানেন? মাত্র ২২ জিবিপিএস। তাহলে বাকিগুলো কি হয়? এই জন্যেই তো বলেছি মেগাবাইট নয় গিগাবাইট চুরি। একটু পরেই জানতে পারবেন, কি হয় এগুলো।
বাংলাদেশ ২০০৬ সালের মে মাসে ৭.৫ Gbps ব্যান্ডউইথ নিয়ে সিমিইউ-৪ সাবমেরিন ক্যাবলে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ১ম আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ২৪ Gbps এ উন্নীত হয়। ২য় আপগ্রেডটি হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে, যা থেকে বাংলাদেশ ৪৫ Gbps ব্যান্ডউইথ অর্জন করে। আর তৃতীয় আপগ্রেডটি হওয়ার কথা ছিলো ২০০৯ এর ডিসেম্বরে যা থেকে বাড়তি আরও ১১০ জিবিপিএস যুক্ত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সে সময় নীতি নির্ধারকরা সেটা নেননি।
২০০৮ এ যখন ব্যান্ডউইথ ৪৫ জিবিপিএস, তখন সারা দেশের মানুষ আমরা ব্যবহার করতাম ১০ জিবিপিএস।
এখন প্রশ্ন, তাহলে বাকি ব্যান্ডউইথ কি হতো? প্রশ্নটি জমা রাখুন, উত্তর নিজেরাই পাবেন।
ভবিষ্যতে দেশের ব্যান্ডউইথ চাহিদা সামনে রেখে বিএসসিসিএল সরকারের অনুমতিক্রমে কনসোর্টিয়ামের আপগ্রেড-৩ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অতিরিক্ত 4 Million MIU*Km ক্যাপাসিটি আনয়নের ব্যবস্থা করেছে। গত ৩রা এপ্রিল ২০১১ তারিখে গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উক্ত Upgradation প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যে বিএসসিসিএল আপগ্রেড-৩ তে অংশগ্রহণ করার জন্য ৫০ কোটি টাকা নিজস্ব তহবিল হতে SEA-ME-WE-4 কনসোর্টিয়াম কে প্রদান করেছে। এর ফলে ব্যান্ডউইথ পরিমান ২০১২ সালের মে মাস নাগাদ ৪৪.৬০ Gbps হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০ Gbps এ পৌঁছাবে।
কিন্তু এটি আসলে হয়ে গেছে ২০১১ এর অক্টোবর মাসে |
অথচ সরকারের তাবেদার এক পত্রিকার দাবী এ ব্যান্ডউইথ এখনও যুক্ত হয়নি তবে যুক্ত হবে আগামী জুলাই মাসের শেষের দিকে।
তবে ভয়ংকর কথা হচ্ছে এই কাজটা ২০১০ সালেই হয়ে যাওয়ার কথা ছিল যা বিটিসিএল এর ওয়েবসাইট সেসময় এক প্রেস-রিলিজে ( http://www.bsccl.com.bd/index.html ) বলেছিল। তখন ঐটা স্থগিত করা হয়েছিল। কেন? যেহেতু যা ছিল তারই চারগুন ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত ছিলো। এত ব্যান্ডউইথ দিয়ে কি হবে, রপ্তানীর উদ্দ্যোগও প্রকাশ্য নেয়া যাচ্ছে না, এইসব অজুহাতে।
আর এদিকে এই একই সাবমেরিন ক্যাবলে অন্যান্য দেশগুলো আজ ১.২৮ Tbps এ উন্নিত হয়ে গেছে।
কত বড় রাষ্ট্রীয় ক্ষতি! যেমন ধরুন, এই মুহুর্তে সারাদেশ যদি ২২ Gbps এবং তার প্রতি মেগাবিট/সেকেন্ডের দাম ৮ হাজার টাকা হয় তাহলে মোট সাড়ে ১৭ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে। আর অব্যবহৃত রাখছে ১১৩ কোটি টাকারও বেশি ব্যান্ডউইথ। ব্যান্ডউইথ ব্যবহার না করা মানে অপচয় করা। কারণ ব্যান্ডউইথ সংরক্ষণ করার বস্তু না।
এটি টাকা নয় যে কোনো ব্যাংকে এটি জমা করবেন। গ্রামীনের পি২ প্যাকেজ নিয়ে আপনি ব্যবহার না করলেও যেমন মাস শেষে থাকবে না, তেমনি ১৬৪ জিবিপিএস এর ২২ জিবিপিএস ব্যবহার করলেও বাকিটুকু আমরা সঞ্চয় করতে পারব না। অথচ আমাদের ইডিয়ট পলিসি মেকাররা ব্যান্ডউইথ সংরক্ষনের নীতি গ্রহন করে! আরও আছে, ঐ মুহুর্তে সারাদেশে ২২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে এবং বাড়তি ব্যান্ডউইথ সরকার ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত চাহিদার কথা বিবেচনা করে সংরক্ষণ ও রপ্তানী করার চিন্তা ভাবনা করছে। কত বড় ইডিয়ট চিন্তা-ভাবনা, তাই না? উত্তরে আমি বলবো, তাদেরকে যদি ইডিয়ট ভাবেন তাইলে আপনি রামবোকা। কি হচ্ছে এই বাড়তি ব্যান্ডউইথ একটু পরেই জানতে পারবেন।
সরকার যদি পুরো ব্যান্ডউইথ আমাদের জন্য ছেড়ে দিতো তাহলে বর্তমানে আমরা যে স্পিডে কাজ করি তার ৭ গুণ স্পিড পেতাম। আফসোস তা কি আর হবে? ইতিমধ্যে বিভিন্ন ব্লগে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। একজন ব্লগার মন্তব্য করেছেন, ২০০৭ সাল থেকে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়ে, ৮০ ভাগ ব্যান্ডউইথ জোর করে অব্যবহৃত রাখার পরও ৩ বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যেখানে বিশ্বের সর্বনিম্ন গতিতে নেটে কাজ করে। বিশ্বের সর্ব উচ্চ ব্যান্ডউইথ মূল্যের জন্য বাংলাদেশের আইএসপিগুলোকে প্রতি ইউজার ৫ কিলোবাইট হারে ব্যান্ডউইথ ডিস্ট্রিবিউশন প্লান করতে হয়।
সর্বনিম্ন গতি সত্বেও বাংলাদেশে সরকার বিশ্বের সর্বোচ্চ দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে । কথা সত্য।
আজকের দিনে ১ Mbps এর নিচের গতিকে ইন্টারনেটই বলা হয় না। ব্রডব্যন্ডের সংঙ্গা ৫ এমবিপিএস করার দাবি উঠছে আজকাল। আপনি জানেন কি, বাংলাদেশের টেলি আইনে ২৫৬ kbps ও এর অধিক গতিকে ব্রডব্যন্ড বলা হয়।
কতই না মজার বিষয়! ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটে অস্ট্রেলিয়ায় ২৪তম অবস্থানে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ইন্টারনেটের গড় গতি ৪.৯ Mbps । আর অন্যগুলোর কথা নাইবা বললাম, বললে হয়তো আপনাদের মাথা ঘুরে যাবে কিংবা নিজেকে সত্যিই ছাগল মনে হবে।
আচ্ছা, তারপরও মোটের একটা হিসাব আপনাদেরকে দিই। দক্ষিন কোরিয়া বাংলাদেশের অর্ধেক জনগণ নিয়েও এই মুহুর্তে কত ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে, জানেন? ১১ টি ক্যাবলে দক্ষিণ কোরিয়া এই মুহুর্তে ২৫ টেরাবিট/সেকেন্ড বা ২৫০০০ Gbps ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে।
আর আমরা ১৬ কোটি জনগণের বাংলাদেশ মাত্র ১৬৪ Gbps এর মধ্যে ১৪২ Gbps ফেলে দিচ্ছি !! চলুন তো, সরকার যে হিসাব দিয়েছে সে মতেই (আমাদের হিসাব বাদ) এই ফেলে দেয়া বা অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ এর পরিমানটার বাজার মূল্যটা একটু দেখি! সাবমেরিন ক্যাবলে গত ৩ বছরে (৩০*৬০*৬০*২৪*৩৬৫*৩) ভাগ ১০০০ = ২৮,৩৮,২৪০ টেরাবিট বা প্রায় ৩০ লক্ষ টেরাবিট কন্টেন্ট অব্যবহৃত ছিল। এখন প্রতি জিবি ১০০/- টাকা করে ধরলেও এই ক্ষতির আর্থিক পরিমান ২৮,৩৮,২৪০*১০০*১০০০ = ২৮৩,৮২,৪০,০০,০০০ টাকা বা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। কি মাথা ঘুরে গেলো নাকি? এই হিসাবটা বের করে দেওয়ার জন্য একজন নামহীন ব্লগার ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। যে কিনা এই হিসাবটা আমাকে দিয়েছে।
আচ্ছা যাক।
মূল আলোচনায় আসি। আপনার কি মনে হয়, সরকারের নীতিনির্ধারকদের মাথায় এই হাজার হাজার কোটি টাকার হিসাবটা ঢুকেনি। তারা শুধু নদীর মাঝি আর বাস ড্রাইভারের উপরই অদৃশ্য চাঁদা আদায় করতে জানে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কিভাবে ঠকাতে হয়, তা বুঝি তারা জানেনা? এরকম ভেবে থাকলে আপনি বোকার স্বর্গে নয় বোকার নরকে বাস করছেন। বিএসসিসিএল, বিটিসিল এবং অবৈধরা অবশিষ্ট ১৪২ জিগাবিট ব্যান্ডউইথ অবৈধ ভিওআইপি কলে গোপনে ডাইভার্ট করে প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক কল করছে।
যার দ্বারা মুষ্টিমেয় কিছু লোক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ঘাড়ে বসে কলা খেয়ে ছাগলের মতো আমাদের খোসা ধরিয়ে দিচ্ছে। বিটিসিএল এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে জানিয়েছে, এই কাজে সরকারের উচু পর্যায়ের বেশ কিছু লোকের হাত রযেছে। তবে সে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিতে পারায় আমি কারও দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে চাই না। আমি সমস্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে শুধু এতটুকু বলতে চাই, আমাদের টাকা দিয়ে কেনা এই ব্যান্ডউইথ যেন আমরা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারি।
আর সমস্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বলতে চাই, আমরা ছাগল নই যে আমাদের খোসা ধরিয়ে দিবে আর আমরা তা বসে বসে চিবোব। এই মুহূর্ত থেকে প্রতিবাদী হোন, আওয়াজ তুলুন। তবেই প্রমাণ হবে আমরা ছাগল নই!!!!
Source : http://www.techspate.com/tufael-khan/9229.html
এখন আমাদের প্রশ্ন হল আমরা কেন আমাদের সম্পূ্র্ণ Bandwidth পাব না?? আমরা তো ঠিক ই টাকা দেই |
দেখুন কতোবড় নিবো্ধ । দেশকে না দিয়ে ভূটান, মিয়ানমার এর সাথে Bussiness করতেছে | এদের কোন ভাষায় গালি দেয়া উচিত ? জানা নাই |
বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ পেতে চায় ভূটান
Published on Fri, 27/01/2012 - 12:46am
বাংলাদেশের কাছ থেকে সহজেই ব্যান্ডউইথ পেতে সম্প্রতি লিখিত আবেদন জানিয়েছে ভূটান সরকার। গত সপ্তাহে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের কাছে এ চিঠি পাঠায় তারা।
চিঠিতে তারা এখনই অন্তত দশ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ নেবে বলে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীল কান্তি বোস এমন আবেদন আসার বিষয়টি স্বীকার করে প্রিয়.কমকে বলেন, আমাদের দিক থেকেও তাদের চিঠির জবাব দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে চায় বলে আগ্রহের কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হবে। তবে এতো সহজে ভূটান ব্যান্ডউইথ পেতে পারে কিনা সেটিও বিবেচনার বিষয় রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভূটানের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যান্ডউইথ আমদানির বিষয়টি মৌখিকভাবে জানান।
তার প্রেক্ষিতেই এ আবেদন এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুনীল কান্তি বোস বলেন, ভুটানে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির আগে অবশ্যই ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতা করতে হবে। তাছাড়া ভারতের পূর্বদিকের আটটি প্রদেশও যেহেতু আগে থেকে বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ পেতে চায় সেক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের সুরাহ একই সঙ্গে করা যেতে পারে।
জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে ভারত আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ডসহ পূর্ব দিকের আটটি রাজ্যে কম খরচের ব্যান্ডউইথ পেতে বাংলাদেশের সাবমেরিন কেবল কোম্পানির (বিএসসিসিএল) কাছে আবেদন করে। সেলক্ষ্যে ত্রিপুরার সরকারও বাংলাদেশ ঘুরে গেছে।
আবার বাংলাদেশেও কুমিল্লা এবং রংপুর দিয়ে দুটি লিংকের মাধ্যমে ওই রাজ্যগুলোয় ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু নানা কারণে সেসব কাজ আর এগুয়নি।
তবে এবার আগামী মার্চের শুরুতে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে টেলিযোগযোগ সচিবের নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের পূর্বদিকের রাজ্যগুলো সফরে যাচ্ছে। তখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তাছাড়া ব্যান্ডউইথ রপ্তানির জন্যে ইতিমধ্যে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় পরারাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কাছে অনুমোদনও চেয়েছে।
সুনীল কান্তি বোস জানান, ভারতের বিষয়টি সুরাহ হয়ে গেলে একই সঙ্গে ভুটানেও ব্যান্ডউইথ দেওয়া সম্ভব হবে। এরপর নেপালের বিষয়েও চিন্তা করার সুযোগ তৈরী হবে।
সংশিষ্টরা জানান, বর্তমানে বিএসসিসিএলের ৪৪ দশমিক ৬ গিগাবাইটের মধ্যে মাত্র ২৩ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ দেশের মধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ গিগাবাইট ব্যন্ডউইথের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও একই সঙ্গে বিসিএসসিসিএলের ব্যান্ডউইথের ক্ষমতা ১৬০ গিগাবাইট পর্যন্ত নেওয়ার কার্যত্রক্রম চলছে। জুনের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে।
তখন অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ সহজেই রপ্তানি করা যাবে। তাছাড়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ নিতে ইতিমধ্যে বিএসসিসিএল সিম-উই-৫ এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সংযোগ পেলেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বিএসসিসিএলের অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে বলে জানা সুনীল কান্তি বোস।
এর আগে বিএসসিসিএল কয়েকবার ব্যান্ডউইথ রপ্তানির দরপত্র আহবান করে বিজ্ঞাপন দিলেও শেষ পর্যন্ত রপ্তানি করতে পারেনি। তবে এবার সব সম্ভব হতে পারে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিএসসিসিএলের ব্যবস্থপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন।
Source: Click This Link
বাংলাদেশের কাছে ব্যান্ডউইথ চেয়ে মিয়ানমারের ডেপুটি মিনিষ্টারের চিঠি
Published on Fri, 16/03/2012
বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ পেতে চাইছে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারও। একই সঙ্গে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির (বিএসসিসিএল) সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তিও করতে চাইছে দেশটি। গত ১ মার্চ এ সংশ্লিষ্ট একটি চিঠি পাঠিয়েছে মিয়ানমারের কমিউনিকেশন্স, পোষ্ট অ্যান্ড টেলিগ্রাফ মন্ত্রনালয়ের ডিপুটি মিনিষ্টার টিনটি লুইন। উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে ভূটান।
এই চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসসিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ১১ মার্চ এ সংশ্লিষ্ট অপর একটি চিঠিতে তাদের দেশে যাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীল কান্তি বোসের নেতৃত্বে ওই দলে বিএসসিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ আরো কয়েকজন থাকবেন। ১২ থেকে ১৯ মে ওই দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো দেখতে যাবে ওই প্রতিনিধি দল।
মনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে মিয়ানমার এক গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ সোয়াপ (আদান/প্রদান) করতে চায়। একই সঙ্গে অপর এক গিগাবাইট তারা নিতে চায় ব্যবসায়িক ভিত্তিতে।
এ থেকে মাসে বিএসসিসিএলের অনেক টাকা আয় হবে বলে তারা অনুমান করছেন।
মিয়ানমারের পক্ষে বিএসসিসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে সিঙ্গপুর ভিত্তিক ব্লুবেরি টেলিকম।
বর্তমানে মিয়ানমারের কেবল সি-মি-উই-৩’র সংযোগ রয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই সংযোগের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রয়েছে সি-মি-উই-৪’র সংযোগ।
তাছাড়া বাংলাদেশ সিম-উই-৫-এর সংযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমারকে সঙ্গী করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন মি. মনোয়ার।
Source : Click This Link
এবার পুরাতন কিছু কথা আমি বলি :
বাংলাদেশে প্রযুক্তি গ্রহনে বৃদ্ধ, আবাল, অপদার্থ, বেজন্মা আমলাদের অবদান-
এদেশের রাজনীতিবিদরা সব সময়ই গন্ডমূর্খ, খাচ্চর ও চোর ছিল, তাই দেশের সকল আইন ও নীতিমালা তৈরীতে আমলারাই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
আপনি জানেন আশির দশকে বাংলাদেশে ভিসিআর/ভিসিপি আমদানী নিষিদ্ধ ছিল, আমলারা তখন মন্ত্রীপরিষদে বলেছিল, এতে আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে, ওরা ব্লু ফ্লিম দেখবে।
এক সময় এখানে ফ্যাক্স মেশিন আমদানী বন্ধ ছিল, তখন আমলারা/সচিবরা বলেছিল, তথ্য ট্রান্সফার/পাচার হয়ে যাবে।
এদেশে ফটোকপি মেশিনও প্রথমে আমদানী নিষিদ্ধ ছিল, আমলারা/সচিবরা বলেছি, বেআইনী ভাবে বই সব কপি হয়ে যাবে।
১৯৯৩ সালে বাংলাদে সাবমেরিন ক্যবল সংযোগ নিতে ব্যার্থ হয় তখন সংশ্লষ্ট আমলারা/সচিবরা প্রধানমন্ত্রী ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে বুঝিয়ে ছিল এটা নিলে দেশের সকল তথ্য পাচার হয়ে যাবে, গোপনীয়তা বলে কিছু থাকবে না, দেশের নিরাপত্তা হুমকীর মধ্যে পরবে।
সারা দুনিয়া ২০০০ সালের ভেতরেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু হলেও বাংলাদেশে পেপল চালু হচ্ছে না, এখানে আমলারা/সচিবরা বলছে এতে দেশের সব টাকা বিদেশ পাচার হয়ে যাবে।
২০০১ সালে ৩জি আবিষ্কার হলেও গত দশ বছর যাবৎ বাংলাদেশে ৩জি ঝুলে আছে, ২০০৪ সালেই দেশে ৩জি ওপেন করার কথা উঠলেও আমলারা বলে আসছে এতে আমাদের তরুন সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে, ওরা উলঙ্গ হয়ে একে অন্যকে নেকেড কল করবে। এমন কি ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা দিলেও ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবের জন্য আজও ৩জি ওপেন হচ্ছে না, আর যা হতে যাচ্ছে শুনছেন তা ভুটানের ৩জির চেয়ে অধম হবে।
এমনি আরও শত শত অতি গুরুত্বপূর্ন উদাহরন আছে যেগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীকে টেকনিক্যাল পরামর্শ দেয়ার কথা সংশ্লিষ্ট সচিবের। অথচ টেকনিক্যালে গন্ডমূর্খ, দেশ ও জাতির শত্রু এই সকল আমলা/সচিবরা সব সময় কুপরামর্শ দিয়ে আসছে।
তাই আজ জনগণের সোচ্চার হওয়া উচিত, যেন মন্ত্রনালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রফেশনাল ব্যক্তিদের সচিব হিসাবে বসানো হয় -
আগে দেশ বাঁচাও পরে ক্যাডার প্রীতি ...
Bandwidth এর এমন হাল এবং দূণী্তি তো আছেই ,এর উপর আছে আবার অপারেটর এর FUP জুলুম । আসলে তারা যে এই টা কি POLICY দাড়া করাইছে , মানুষ কে কি বলদ ভাবে? নিবে Unlimited এর টাকা, বলবে Unlimited প্যাকেজ , আর ডাউনলোড দিলেই FUP এর ফাপরে পড়া লাগবে | সারাদিন ডাউনলোড কর কোনো প্রব্লেম নাই,সুধু রাত ১০টা থেইকা ভোর ৪ টা পর্যন্ত ডাউনলোড করলে FUP এ পরবা আর সেইটা আবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত চালু থাকবে !! ৬ টার পর Original Speed restore হবে !!! আরে আমাগো দেশে আইসা আমাগো সামনে মুলা ঝুলাইআ ফাপর দিয়া টাকা কামাইয়া লইতাছো ভালো , এর পর ও কেন FUP এ ফেলাইয়া আরো বাশ দিআ যাইতেছো ???
বাংলাদেশ এই Speed নিয়েই Freelancing sector এ worlds top country. Speed increase করলে যে শীর্স স্থান আমাদের, তা বলাই বাহুল্য । এছাড়াও তথ্যর দুয়ার খুলবে সবার জন্য |
সবার জাগরনে দেশ জাগবে ।
আমরা আমাদের এই অধিকার আদায়ে সফল হলে তার সুফল আসবে সাথেসাথে । ১৬ কোটি মানুষ এর এক জন ও অনূপকৃত থাকবে না ।
চলুন আমরা সবাই এগিয়ে যাই একসাথে , Internet এর পথে |
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।