আজ অফিসের লিফ্টে একটা ঘটনার আড়ালের ঘটনা শুনলাম । সত্যিই ঘটনাটা শুনে মনটা খাড়াপ হয়ে গেল । অল্পের জন্য চোখের পানি আসতে আসতে আবার চলে গেল । এই দেশে কেউই নিরাপদ না । একজন জন প্রতিনিধি যদি নিরাপদ না থাকেন তবে আমরা কোন দিনও গনায় আসবো না ।
এই ভয়ে লংরোডে কোথাও গেলে এক গ্লাস পানিও খাই না । ঘটনার আড়ালের ঘটনা বলছি এই কারনে যে গত কাল দেশের মধ্যে এত বড় একটা দূঃঘটনা ঘটে গেল, ২৩১ জনের মত প্রান গেল অথচ রাজনৈতিক পাটর্ি আর অজ্ঞান পাটর্ি কেহই থেমে নেই । মানুষের ভিতর থেকে আত্মার অবস্থান খতম হইয়া গিয়াছে । শুনেছি মানুষের মৃত্যুর পর তার দেহ হইতে আত্মা আলাদা হইয়া যাইত এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহ সকল আত্মা একত্র করিয়া হাসরের ময়দানে সকলের পাঁপ পূণ্যের হিসাব করিবেন । কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মানুষের দেহের সাথেই আত্মারা অবস্থান করিত ।
যদি করিত আমরা এই দূনিয়াতে এমন দিন দেখতে পেতাম ? সকাল সকাল কতগুলি জীবন্ত মনুষকে ডেকে নিয়ে বেতন না দেয়ার ভয় দেখিয়ে গামর্েন্টসে কাজ করার জন্য চাপামাটির কবরের ভিতর ঢুকাইয়া দিতে পারিতো । মানুষ মরে যায়, ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে লাশ আর লাশ বের হয়ে আসতেছে তবুও দেশের রাজনীতি আমাদের শ্রুদ্ধেয় হাতে গনা কয়েকজন সদ্যোজাত রাজনীতিবিদ নিজেদের পেশাগত অগ্রগতির আলোকে নিজের দলের প্রতিমুতর্ি নিমর্ানের কথা না ভাবিয়া প্রতিপক্ষ দল বা গোষ্ঠিকে শক্ত করিয়া বগল তলে দাবাইবার সুযোগটি হাত ছাড়া করিতে চাইত না ।
সরকারের একজন জন প্রতিনিধী সাভার গামর্েন্টস দূঃঘটনা কবলিত স্থান পরিদর্শন এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ ঘোষনা করতে যাবেন, তিনিও অজ্ঞান পাটর্ির খপ্পর থেকে রেহাই পেলেন না । অজ্ঞান পাটর্ির ভাবা উচিৎ ছিলো তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোক তাকে অন্তত পক্ষে্য অজ্ঞান পাটর্ি সংক্রান্ত কর্মকান্ড থেকে রেহাই দেয়া । জানিনা কি বুঝে ওরা এমন একটা পদক্ষেপ নিলো ।
এমনও হতে পারে সরকারে মন্ত্রীসভার নতুন সদস্যদেরকে তারা নাও চিনতে পারে । যাই হোক মূল ঘটনায় যাওয়া যাক । ঢাকা সাভার রোডের কোন যায়গায় (সম্ভবত এনায়েতনগর নামক স্থানে) সরকারের কর্তাব্যাক্তি হালকা নাস্তা গ্রহনের জন্য হোটেল বা রেষ্টুরেন্টে থামেন । সেখানেই সম্ভবত অজ্ঞান পাটর্ির লোকেরা খাবারে ধুতরার বিষ জাতীয় কিছু একটা মিশিয়ে দিয়েছিলো এমন খাবার খেয়ে ফেলেছিলেন । যেহেতু সরকারী লোক সেহেতু ধুতরার বিষ তার সম্পূর্ন প্রভাব বিস্তার করতে না পারায় আংশিক প্রভাব ঠিকই পড়েছিলো ।
যাই হোক নাস্তার পর্ব শেষ করে সরকারের কর্তাব্যাক্তি সাভার ঘটনাস্থলে ঠিকই পৌছাইতে পেড়েছিলেন । পরিদর্শন যাথারীতি সরকারী নিয়মেই হলো কিন্তু সমস্যা এসে দাড়ালো সাংবাদ মাধ্যম তাও আবার বিদেশী । ধুতরার বিষ তার প্রভাব সবে মাত্র আরম্ভ করতে যাচ্ছিলো । বেরসিক সংবাদকর্মী !! এমনি সময় প্রশ্ন করা হয় সাভার দূঃঘটনা কবলিত বিল্ডিং সম্পকর্ে । ব্যাস আর যায় কোথায় ? স্বাভাবিক ভাবেই জবাব দিতে পারার কথা ।
কিন্তু ধুতরার বিষ আংশিক কর্ম তৎপরতা শুরুর কারনে জবাব আংশিক উল্টা পাল্টা এবং কাল্পনিক হয়ে গিয়েছিলো । কিন্তু সাংবাদিক সাক্ষাৎকার স্বরূপ যা যা ম্যাটেরিয়্যাল পেলো তার সবটুকুই যাচাই বাছাই না করেই প্রচার করতে যেন খুবই আনন্দ পায় । তার মধ্য যোগ হলো মানবদেহের উপর ধুতরা বিষের প্রভাব বিস্তারকৃত অবস্থায় একটি সাক্ষাৎকার । সাক্ষাৎকারটি প্রচার করতেই আওয়ামীলীগের সমালোচকদের ঝালমুড়ি আর চানাচুর বানানো হয়ে গেল । সমালোচকরা ভাবে যে ঝালমুড়ি আর চানাচুর চাবাইতে চাবাইতে আওয়ামীলীগের বারটা বাজিয়ে ফেলবে ।
থামবে না যতক্ষন না নতুন আরেক প্যাকেট ঝালমুড়ি আর চানাচুর না পাবে ।
ভুমিকা-১ঃ অফিসে ঘটনাটি যেভাবে শুনিয়াছিলাম সেইভাবে হবহু বলা সম্ভব হইল না বিধায় ঘটনার পাত্র এবং পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে উল্লে্যখ করা সম্ভব হইল না, সুতরাং আমি দূঃখিত ।
ভুমিকা-২ঃ অজ্ঞান পাটর্ির কর্মপন্থা: দূর দূরান্তে ভ্রমনে বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন যাত্রীদের সাথে অসৎ উদ্দে্যশ্যে নিজেকে পরিচয় করাইয়া খাবারের সাথে ধুতরার বিষ অথবা ক্ষেত্র বিশেষ হেরোইন মিশ্রীত পানীয় সেবন করাইয়া অথবা খাবার খাওয়াইয়া দেয় । তাদের খাবার খাইয়া সহ যাত্রী নেশায় অজ্ঞান হইয় পরিলে তাহার নিকটে থাকা টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, আংটি, সোনা দানা ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী লইয়া পালাইয়া যায় ।
উপসংহার-১ ঃ উক্ত সাক্ষাৎকারটি সকলে দয়া করিয়া মানবদেহে ধুতরার বিষক্রীয়া অথবা মানবদেহে হিরোইনের প্রতিক্রিয়া মনে করিয়া আওয়ামীলীগকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখিবেন ।
আওয়ামীলীগ ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসিলে অজ্ঞান পাটর্ির কবল হইতে নিজেকে রক্ষা করিতে না পারা কোন ব্যাক্তিকে আংশিক মেয়াদ কালের জন্য আইন শৃংক্ষলা রক্ষার দ্বায়ীত্বে অবশ্যই নিয়োজিত করা হইবে না । কারণ আংশিক মেয়াদে নিয়োগ না হইলে অজ্ঞান পাটর্ির লোকেরা নিশ্চই উনাকে সহজেই চিনিতে পারিত এবং আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তীর কথা না ভাবিয়া এত বড় দূঃসাহস দেখাইবার সাহস পাইত না ।
উপসংহার-২ ঃ আমি একজন বিশেষজ্ঞ হিসাবে দেখি সম্পূর্ন দোষ ঐ অজ্ঞান পাটর্ির লোকদের, কারণ ওদের জন্য এতো কিছু | ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।