২০০০ সালে বাদশাগন্জ পাবলিক হাইস্কুল থেকে স্টার মার্ক পেয়ে পাশ করার পর ভর্তি হলাম ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজ এ । এমন একটি এলাকা থেকে শহরে গেলাম যেখানে কোনদিন ধারনা দেওয়া হয়নি কিভাবে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হওয়া যায় । বাবা,মা এবং মামাদের ইচ্ছা ছিল মেডিকেলে পড়ানো আর আমার কম্পিউটার শব্ধটার প্রতি আকর্ষণ ছিল দুর্নিবার। দু,বার মেডিকেল এ ভর্তি পরিক্ষা দিলাম,কিন্তু হল না । চান্স পেলাম ময়মনসিংহ কৃষি ইউনিভার্সিটিতে ।
আমার বন্ধুরা আমাকে না জানিয়ে শা:বি:প্র:বি:র ফর্ম পুরন করে জমা দিল । ভর্তির ফলাফল এ দেখা গেল, আমার নাম এসেছে মেধা তালিকার এর প্রথম দিকে, বন্ধুদের কারো নামই এলোনা. ভর্তি হয়ে গেলাম শা:বি:প্র:বিতে কম্পিউটার বিষয়ে | ছয় মাস পর ক্লাশ শূরু হল । তারও ছয় মাস পর প্রথম নিজের কম্পিউটার হাতে পেলাম। দ্বিতীয়বর্ষ থেকে Java নিয়ে কাজ শুরু করলাম । যদিও জানতাম Java ডেভেলপার হিসেবে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন ।
ভার্সিটিতে পড়াশুনা শেষ করে ঢাকায় এলাম । টানা আট মাস বেকার থাকার পর চাকরি পেলাম Call centre এ। তিন মাস Job করার পর Android Developer হিসেবে Job পেলাম আরেকটি ফার্মে । ৯ September ২০১০ ঈদের আগের রাতে গ্রামে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে Odesk .com এ account খুলে Bid করলাম Android জবে । ক্লায়েন্ট ও সারা দিল সাথে সাথেই ।
সারারাত কাজ করে সকালে জমা দিলাম ক্লায়েন্ট এর কাছে । ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে ১০০ ডলার দিল । এটাই ছিল Odesk এ আমার প্রথম পেমেন্ট । ঢাকা ফিরে ফার্ম থেকে চাকরি ছেড়ে চলে গেলাম ময়মনসিংহে শুধুই ফ্রিলেন্সিং করার জন্য । ৭-৮ জন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে একটি টিম তৈরি করলাম Droid Bangladesh নামে ।
Graphic design, Android এবং লেআউট design শেখালাম তাদের। শা:বি:প্র:বি:র সদ্য পাস করা ২ জন কে নিযোগ ও দিলাম. এর ছয় মাস পর ২০১১ সালে ১লা মে মাসে চলে এলাম ঢাকাতে। কিছু ইনভেস্টর নিয়ে লিমিটেড কোম্পানি খুললাম । ২০১২ সালের শেষের দিকে কোম্পানিতে Employ দাড়ালো ২২ জন। ATN News টিভি চ্যানেল এর TECHNews এ সম্প্রচার করা হলো আমার ও টীম এর ইন্টারভিউ. (https://www.youtube.com/watch?v=nXXQswTUIvc)
বর্তমানে আরেকটি টিম (AAPBD) নিয়ে odesk .com, elance .com and freelancer .com এ কাজ করে যাচ্ছি ।
বিভিন্ন দেশ যেমনঃ-অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড প্রভৃতি দেশের ক্লায়েন্ট দের কাজই করা হয় বেশি । কিছু কিছু নিয়মিত ক্লায়েন্ট ও আছে,যারা সাধারণত ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে.
বাংলাদেশে ফ্রীলেন্সিংয়ে প্রচুর ভবিষ্যৎ আছে । কিন্তু সবারই উচিত নিজ নিজ ক্ষেএে দক্ষ হয়ে তারপর ফ্রীলেন্সিংয়ে আসা । একজন দক্ষ ফ্রিলেন্সার যেমন ভাল কাজের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট কে খুশি করে ছোট ছোট টিম বানাতে পারে, করতে পারে অন্যের কর্মসংস্তান, ঠিক তেমনি বাংলাদেশও পেতে পারে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা । আর সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে পেপাল চালু করা অচিরেই, ইন্টারনেট এর গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে পারলে এই ক্ষেত্র টার অনেক উপকার হবে. ব্যাঙ্ক গুলোর উচিত হবে সহজ শর্তে ICT উদ্যোক্তাদের লোন manage করা যাতে তারা টীম বানাতে গিয়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলাতে পারে সহজেই.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।