I love politics. I want death of those who killed our Army officers. ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি। গরুরা ভীষন ব্যস্ত! হাটে যেতে হবে, মানুষ কিনতে হবে। মানুষের দাম এবারে নাকি একেবারে পানির মতো সস্তা। গতবারে মানুষের দাম বেশ চড়া ছিল। বুড়া মানুষের চেয়ে জোয়ান যুবোক-যুবোতির দাম ছিল সবচেয়ে বেশী চড়া।
যুবতীদের বিক্রিয়ও করা হয়েছে শরীরের গঠন অনুযায়ী। যার গঠন যত আকর্ষণীয় তার দাম ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকার উপরে। আর যুবকদের দাম নির্ণয় হয়েছে "বিশেষ" জিনিষের সাইজ দেখে। যার যত বড় তার তত দাম। তবে এবারের ঘটনাটা ভিন্ন।
এবারে কোন কারন ছাড়াই দাম পরতে শুরু করেছে মানুষের। অবশ্য সাপ্লাইও ছিল অনেক। ভারত থেকে অনেক মানুষ এবারে এসছে। যার কারনে মানুষের দাম এবার কম। আর এমনিও ভারতের মানুষের দাম বাংলাডেশের মানুষের চেয়ে অনেক অনেক সস্তা।
এর অবশ্য কারণ আছে। ভারতের মানুষরা নিরানিষভোজি আর বাংলাদেশের মানুষরা মুরগির মাংসভোজি। ভারত থেকে গনহারে মানুষ আসায় বাংলাদেশের মানুষ ব্যবসায়ীরা পরেছে বিপদে। তাই আমাদের দেশের গরুরা যারা মানুষ ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের বুঝে শুনে দাম বলতে হচ্ছে এবং মানুষ বিক্রি করতে হচ্ছে। এমনেতেই বাংলাদেশি গরুদের, যারা মানুষ ব্যবসায়ীর সাথে জড়িত, তাদের অনেক হেনস্থা হতে হয় ভারতিয় গরু দ্বারা ।
ভারতিয় গরুরা কথায় কথায় বাংলাদেশী গরু গুলি করে মারে বর্ডারে। আর এতে অনেক মানুষ ব্যবসায়ী ঠিকভাবে ভারতীয় মানুষ আদান প্রদান করতে পারে না। এই সুযোগটাই ছিল বাংলাদেশি মানুষ ব্যবসায়ীদের। তারা ভেবেছিল যেহেতু ভারত থেকে মানুষ কম আসবে তাই হয়তো এবারে ঈদে গরুদের বাংলাদেশী মানুষের ওপরই ভরসা করতে হবে। এবং সেই সুবাদে দামটাও তারা চড়া ভাবেই আদায় করবে গরুদের কাছ থেকে।
কিন্তু তাদের আর সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। বাংলাদেশী গরু সরকার ভারতের গরু সরকারের কাছ থেকে গ্যারান্টি চাইলো যাতে ভারতীয় কোন গরু বাংলাদেশী কোন গরুকে যেন না মারে। আর তাই এবারের ঈদে মানুষের সংখ্যাও প্রচুর এবং দাকও কম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।