I never knew how to worship until I knew how to love.
কুরবানী হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য !
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কষ্টার্জিত নিজ অর্থ ব্যয় করে পশু কুরবানী করা একটি ইবাদত।
সাহাবি ইবনে ওমর (রা,) বলেছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দশ বছর মদিনাতে ছিলেন, প্রতি বছর কুরবানি করেছেন। (আহমদ ও তিরমিজি, আহমদ শাকের হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)
কুরবানির উদ্দেশ্য অবশ্যই হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি।
লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কুরবানী দিলে সেই কুরবানির কোনো মূল্য নেই।
কুরবানী দেওয়ার সময় আমদের কৃপনতা করা উচিত নয়! সামর্থের মধ্যে উত্কৃষ্ট সুন্দর পশু কুরবানী দেয়া উচিত।
নিশ্চই আমরা সবাই জানি যে, আল্লাহ হাবিলের কুরবানী কবুল করেছিলেন কারণ হাবিল তার পালিত হৃষ্টপুষ্ট পশু কুরবানী দিয়েছিল। আর কাবিলের কুরবানী গৃহিত হয়নি কারণ সে তার শস্য থেকে কিছু দুর্বল বীজ/দানা/ শস্য কুরবাণী স্বরুপ উপস্থাপন করেছিল!
সামর্থ্য থাকলে একাধিক পশু কুরবানী দেয়াই উত্তম! এখানে মূল বিষয় হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করা। কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে পশু কিনে তা আল্লাহর জন্যই জবাই করা।
বিদায় হজ্জে রাসুল (সাঃ) ১০০ উট কুরবানী দিয়েছিলেন! (বুখারী)
লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে লোকের বাহবা পাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানী দিলে তা কুরবানীই হবে না। কারণ আমল নির্ভর করে নিয়তের উপর।
উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত,..... সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যা সে নিয়ত করবে। সুতরাং আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের দিকে হিজরাত করবে তার হিজরাত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে হবে। আর যে ব্যক্তি হিজরাত করবে দুনিয়ার উদ্দেশ্যে, কিংবা কোন মহিলাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে, তাহলে তার হিজরাত হবে সেই দিকে যেদিকে সে হিজরাত করল। -বুখারী, মুসলিম।
অজ্ঞতা থেকে মন্তব্য করা থেকে বিরত হনঃ
আমরা অনেক সময় অনেক ধনী লোকের বাড়ির সামনে একাধিক কুরবানির পশু বাধা দেখে মন্তব্য করি, ''দেখছেন লোক দেখানোর জন্য, বড় লোকী দেখানোর জন্য কুরবানী দিতেছে !''
নিতান্তই আপনি যদি জানেন যে লোকটি অসত, দুর্নীতিবাজ, ঘুষ খোর তাহলে ইটা বুঝা যায় যে সে লোক দেখানোর জন্যই এই কাজ করছে। কিন্তু লোকটি যদি বড় ব্যবসায়ী হয়। তার টাকা আছে সে একাধিক কুরবানী দিবে। বরং এটাই তো উচিত যার সামর্থ্য বেশি সে বেশি কুরবানী দিবে!
পথে ঘাটে মানুষের বাড়িতে কুরবানির পশু দেখেই এরকম মন্তব্য করা উচিত নয় যে লোক দেখানোর জন্য কুরবানী দিচ্ছে ।
তার অন্তরের নিয়ত তো আমরা জানিনা ।
নিজের কুরবানির গরুর দাম বলে বেড়ানোও ঠিক না। এতে রিয়া তথা লোকদেখানোর আশংকা থাকে। হতে পারে একটি সুন্দর পশু আপনি বেশি দাম দিয়ে কিনেছেন আবার অন্য আরেকজন কম দামে কিনেছে।
আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। হটাত পারবনা কিন্তু চেষ্টা করে যেতে থাকলে অবশ্যই পারব! যখনই কাওকে জিগ্গেস করতে যাবেন ভাই কত দামের গরু দিচ্ছেন তখনই নিজেকে থামানোর চেষ্টা করবেন।
হয়ত হাতাত হাতাত থামাতে পারবেন না কিন্তু এক সময় ঠিকই পারবেন।
অনেকে লজ্জায় পরে দাম বেশি বলে যে ভাই এত টাকার কুরবানী দিতাছি!
এলাকায় খোজ নিয়ে যারা কুরবানী দিতে পারছেন না তাদেরকে গোস্ত দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। ভিক্ষুকরা বাসায় আসবে কিন্তু এই শ্রেনীর লোক তো আপনার কাছে গোস্তের জন্য আসবে না। এভাবেই ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি পাবে যে আমরা যারা কুরবানী দিচ্ছি তারা যারা কুরবানী দিতে পারেনি নানা সমস্যায় তাদেরকে কুরবানির গোস্ত দিব ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।