আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রশ্নের জবাবঃ ২০১৪ সালে আমি যাকে ভোট দেব ! প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ কিছু প্রশ্ন

প্রত্যাশাই জীবন, বিবেক বাধা, আর বিভ্রান্তিই গতি সঞ্ছারক। হোক সে গতি পশ্চাৎমুখী কিংবা অভিমুখী। এই গতিতেই রয়েছে প্রত্যাশা, হয়ত ঊর্ধ্বমুখী কিংবা নিম্নমুখী প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ এর কিছু প্রশ্ন এবং রাজনীতিবিদের উত্তর ও আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের কিছু আলোচনা। এই পোস্টে শুধু উত্তর লিখেছিঃ ১.উত্তরঃ রাজনৈতিক নেতাঃ আমার সরকার গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করেছে, আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ক্লিনিক পাড়ায় পাড়ায় বানিয়ে দেব। যেটা বলা উচিত ছিলঃ চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে না পারায় দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

আপনারা আমার দলকে নির্বাচিত করলে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো চিকিৎসা সেবা সুনিশ্চিত করার। আগামী ৫ বছরে যদি কথা রাখতে ব্যর্থ হই, তবে আর কোন দিন নির্বাচন করব না। ২.উত্তরঃ রাজনৈতিক নেতাঃ অতিসত্বর চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন করে সকল রাজনীতিবিদকে দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করা হবে। (রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশে যাওয়া যেতে পারে। ।

দয়া করে আমার দলকে নির্বাচিত করুন। যেটা বলা উচিত ছিলঃ চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে না পারায় দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। চিকিৎসা সেবা একটি মৌলিক অধিকার। এই অধিকার যেন ধনী-গরীবের মাঝে সমভাবে বন্টিত হয় সেই দিকে আমার দলের কড়া নজরদারি থাকবে। দেশের সকল সরকারী হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করবো।

যাতে সবাই দেশে চিকিৎসা করতে ভরসা পায়। ৩.উত্তরঃ রাজনৈতিক নেতাঃ যানজট নিরশনে সারা ঢাকায় ফ্লাই ওভার বানাবো। ঢাকা হবে ফ্লাই ওভারের নগরী। মালায়সিয়া থেকে পর্যটকেরা ফ্লাইওভার দেখতে ঢাকায় আসবে। ১৬ কোটি বাঙ্গালীর ৩২ কোটি হাত যদি একসাথে কাজে লাগে তবে ১৫-২০ টা ফ্লাইওভার কোন ব্যপার না।

যেটা বলা উচিত ছিলঃ যানজট নিরসনে ঢাকায় নতুন রাস্তা তৈরি করবো, যে সকল জায়গায় ফ্লাইওভার দরকার সেখানে ফ্লাইওভার তৈরি করবো। ঢাকার বাইরে যেসব স্থানে যানজট হয় সেখানে বিকল্প রাস্তা তৈরি করবো। রাস্তা তৈরিতে দলীয় লোককে টেন্ডার পাইয়ে দেব না। অতীতে রাস্তার দুরাবস্থার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। ৪. উত্তরঃ রাজনৈতিক নেতাঃ বর্ষাকাল বছরে ২ মাস থাকে, ২ মাস কোন ব্যপার না, তারপরেও আমার দল নির্বাচিত হলে সকল জলাবদ্ধতা দূর করবো।

যেটা বলা উচিত ছিলঃ জলাবদ্ধতায় যাদের জীবন যাত্রা অসহনীয় হয়ে যায়, তাদের কাছে ক্ষমা চাই। নির্বাচিত হলে নতুন ড্রেনেজ লাইন করে জলাবদ্ধতা নির্মূল করবো। নিয়মিত ড্রেনেজ লাইন পরিস্কার করার ব্যবস্থা করবো। বর্ষাকালে পানিবাহিত রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবো। ব্যর্থ হলে আর কোনদিন নির্বাচন করবো না।

৫. উত্তরঃ রাজনৈতিক নেতাঃ আমারা ইতিমধ্যে অনেকগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করেছি। সামনে নির্বাচিত হলে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। যেটা বলা উচিতঃ কুইক রেন্টাল বাংলাদেশের জন্যে অভিশাপ, আমার দল নির্বাচিত হলে সরকারী নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবো। পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করবো। আর কুইক রেন্টাল পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেব।

পূর্বে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে না পারায় ক্ষমা চাই। ৬. (এই পয়েন্টটি লিখব না, কারন দেশ বেকার মুক্ত হলে রাজনৈতিক জনসভা অসম্ভব হয়ে পরবে। ) ৭.উত্তরঃ রাজনৈতিক নেতাঃ আমারা হরতাল করবো না, অতীতে দেখেছেন আমারদের বিপক্ষদল কীভাবে হরতাল করেছে, হরতালের নামে গাড়ি ভাংচুর করেছে, মানুষের গায়ে আগুন দিয়েছে। সংসদকে অকার্যকর করেছে, আমারা গনতন্ত্র বিশ্বাসী, আমারা ক্ষমতায় গেলে হরতাল নির্মূল করবো। যেটা বলা উচিৎ চিলঃ অতীতে আমারা হরতাল করে মানুষ পুড়িয়েছি(উভয়দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য) এ জন্য অবনত মস্তকে ক্ষমা চাই।

ক্ষমতায় গেলে হরতাল সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করবো। যে অধিকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে, তা কখনো গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে না। যদি নির্বাচিত হতে না পারি তবে সংসদ বর্জন করবো না। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবো। উন্নয়নমূলক কাজে সরকারকে সহযোগিতা করবো।

১৫ টি প্রশ্নের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৭টির উত্তর লেখলাম। আবার লেখার ইচ্ছা আছে। আমার লেখায় কোন ভুলভ্রান্তি হলে দয়া করে সংশোধন করে দেবেন। আমি আনাড়ি। আমারকথাঃ ১৯৭১ এর যুদ্ধ এবং আমাদের স্বাধীনতা গণজাগরণের ফসল।

১৯৭১ এর গণজাগরণের মূলকারণ ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্য, ১৯৭১ এর গণজাগরণের মূললক্ষ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি, আসুন, মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তার জন্য একটি গণজাগরণ তৈরি করি। অন্যথায় ৭১ এর এক সাগর রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।